কাগজ ডেস্ক : ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহ থেকে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা বেড়েছে। তেহরানে ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান। এর বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি।

ইসরায়েলের ওপর ইরান প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে, এমন আশঙ্কা বাড়তে থাকার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার জাতীয় নিরাপত্তা দলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

বাইডেন বলেন, ইসরায়েল আক্রান্ত হলে তাদের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে সে বিষয়ে তাকে অবহিত করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, উত্তেজনা এড়াতে কর্মকর্তারা রাত-দিন কাজ করছেন।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ আরো অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের লেবানন ছাড়তে বলেছে। তাদের আশঙ্কা, লেবাননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলায় ভূমিকা রাখতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ ওয়েবসাইট এক্সিওসের তথ্যানুসারে, সোমবার জাতীয় নিরাপত্তা দলের বৈঠকে বাইডেনকে বলা হয়, ইরান কখন এবং কী ধরনের হামলা চালাতে পারে, তা নিয়ে এখনো কিছু নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে একদিন আগে জি-৭-এর প্রতিনিধিদের ব্লিঙ্কেন জানান, ইরান ও হিজবুল্লাহ ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে।

বৈঠকে ব্রিফিংয়ের পর এক বিবৃতিতে বাইডেন জানান, ইরান ও তাদের ছায়াগোষ্ঠীগুলোর হুমকি সম্পর্কে আমরা নতুন নতুন খবর পাচ্ছি। আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং ইসরায়েলের ওপর আবার হামলার ক্ষেত্রে তাদের সহায়তা করার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, উত্তেজনায় কারো স্বার্থ হাসিল হবে না। এতে কেবল সংঘাত আরো বেশি হবে, সহিংসতা হতে পারে, আরো নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিতে পারে।