প্রশ্নফাঁস
সেই প্রিয়নাথের বিরুদ্ধে রয়েছে মামলা ৩ ভাইকে নিয়ে দেন সরকারি চাকরি
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : বিসিএস প্রশ্নফাঁস চক্রে গ্রেপ্তার ১৭ জনের অন্যতম প্রিয়নাথের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে। শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে পল্লী এলাকায়। এলাকাবাসীর চোখে তেমন একটা না পড়লেও কয়েক বছর আগে সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে নতুন করে কয়েক বিঘা জমিও কিনেছেন। বাড়িঘর কাঁচা হলেও সদ্য তুলেছেন সেমিপাকা বাড়ি। চার রুমের সেমিপাকা ঘরে তালাবদ্ধ থাকলেও একটি রুমে থাকেন তার মা রাজবালা। কেউ কেউ বলছেন, এলাকায় তেমন একটা সম্পদ না করলেও শ্বশুরবাড়ি দিনাজপুর ও ঢাকায় রয়েছে অঢেল সম্পদ।
চার ভাইয়ের মধ্যে বড় প্রিয়নাথ রায়। এসএসসি পরীক্ষার পর বাবা রাইতু বর্মন মারা গেলে অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠেন তিনি। এরপর বন বিভাগে চাকরি নিয়ে সংসারে হাল ধরেন। ডিগ্রিপাশ করে সেনাবাহিনীর অডিটর পদে যোগ দেন প্রিয়নাথ রায়। এরপর জড়িয়ে যায় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে। এরই সুবাদে তার ছোট ৩ ভাইকে নিয়ে দিয়েছেন সরকারি চাকরি।
এছাড়া ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরে চাকরি দেয়ার নাম করে অনেকের কাছে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মামলাও রয়েছে একাধিক।
প্রিয়নাথের মা রাজবালা বলেন, বড় ছেলে সরকারি চাকরির পাওয়ার পর স্ত্রী, সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকে। কিছুদিন থেকে প্রিয়নাথের স্ত্রী বাবার বাড়ি দিনাজপুরে অবস্থান করছেন। প্রিয়নাথ গত ৫ বছর থেকে কোনো যোগাযোগ রাখেন না বলে দাবি করেছেন প্রিয়নাথের মা।
তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে তার ছেলে জড়িত নন বলে দাবি করে বলেন, এটি চক্রান্ত। ওই গ্রামের বাসিন্দা বিপ্লব কুমার বলেন, এলাকার কাঞ্চন ও পাশের গ্রামের প্রকাশের কাছ থেকে একশ শতাংশ জমি কিনেছেন।
এছাড়া ২-৩ বছর আগে তার কাঁচাবাড়ি থেকে পাকাবাড়িও করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, প্রিয়নাথ এলাকায় আসেন গোপনে। তাকে চোখে পড়ে না। তবে উপরে হাত থাকায় তার তিন ভাইকে সরকারি চাকরি নিয়ে দিয়েছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, চাকরি দেয়ার নামে প্রিয়নাথের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, রয়েছে ওয়ারেন্টও।