ফের আইজিপি হলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পদে আবারো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। গতকাল শুক্রবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক শাখার উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তার চুক্তির মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে তার আগের চুক্তির ধারাবাহিকতায় ও একই শর্তে আগামী ১২ জুলাই অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ১ বছর মেয়াদে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি পদে আবারো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হলো। এর আগে বেনজীর আহমেদ অবসরে যাওয়ার পর বিসিএস পুলিশ ক্যাডার অষ্টম ব্যাচের কর্মকর্তা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ১১ জুলাই পর্যন্ত দেড় বছর মেয়াদে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। সম্প্রতি ১২ জুলাই থেকে নতুন আইজি নিয়োগ দেয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে নানা জল্পনা চলছিল। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বর্তমান আইজিপিকেই নিয়োগ দেয়া হলো। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আইজিপি পদে দায়িত্বরত অবস্থায় তিনিই প্রথম চাকরির বয়সসীমা শেষ হওয়ার পরও বর্ধিত মেয়াদে দায়িত্ব পান। এর আগে কেউ চৌধুরী আল-মামুনের মতো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাননি। অবশ্য অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে পুলিশপ্রধান পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের নজির আছে। বিশেষ করে ২০০১-০৩ সময়কালে পুলিশের ১৮তম আইজিপি হিসেবে চুক্তিভিত্তিক দায়িত্ব পালন করেন সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়া মুদাব্বির হোসেন চৌধুরী।
পুলিশ সদরদপ্তর সূত্র জানায়, আইজিপি পদে নতুন করে মেয়াদ বাড়া চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা থানার শ্রীহাইল গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে স্নœাতক সম্মান ও স্নœাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত। তার স্ত্রী চিকিৎসক। তিনি সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজে কর্মরত রয়েছেন। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ১৯৮৯ সালের ২০ ডিসেম্বর অষ্টম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি অত্যন্ত সততা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, বিশেষ করে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, সিআইডি, ঢাকা ও ময়মনসিংহ রেঞ্জ এবং র্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর গ্রেড-১ পদোন্নতি পান।