কাগজ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে যে ১০টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, তাতে অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ভারতের কাছে নির্ভরশীল হয়ে পড়বে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে রেল করিডোরসহ বিভিন্ন সমঝোতা সম্পর্কে সরকার জনগণের কাছে ‘মিথ্যাচার’ করেছে। তারা সব সময় ‘প্রতারণার’ আশ্রয় নিয়েছে, প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মানুষকে তারা বোকা বানানোর চেষ্টা করেছে।

গতকাল সোমবার বিকালে শেরেবাংলা নগরের চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নতুন সভাপতি জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে আইনজীবীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।

ফোরামের সহসভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং মহাসচিব কায়সার কামাল, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, খোরশেদ আলম, ইকবাল হোসেন, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, সগীর হোসেন লিওনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ভারত তার দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যোগাযোগ করলে সেটি দেশের কোনো কাজে আসবে না বলেও দাবি করেন ফখরুল। বলেন, অন্যান্য বিষয়গুলো আকাশ-স্থল-নৌপথ সবখানে সরকার ভারতকে পার্টনারশিপে দিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, পার্টনারশিপে কোনো আপত্তি নেই, কানেক্টিভিটিতে আমাদের আপত্তি নেই। বাংলাদেশ কি পেল সেটাই হচ্ছে প্রধান। আমরা তো এখানে কিচ্ছু পাইনি। এই সমঝোতাগুলোর অর্থই হচ্ছে যে, অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে নির্ভরশীল করে ফেলবে ভারতের কাছে এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নতুন সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেছেন, দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য আমরা আজকে শপথ নিয়েছি। অল্প কিছুদিনের মধ্যে আমরা চেষ্টা করব বিচার বিভাগের মাধ্যমেই আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য এবং সে জন্য সব আইনজীবী প্রস্তুত হয়ে আছেন।