সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশি কারাগারে আটক ১১ হাজার ৪৫০ শ্রমিক-প্রবাসী
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : বিদেশের কারাগারে ১১ হাজার ৪৫০ জন বাংলাদেশি প্রবাসী ও শ্রমিক আটক আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদের লিখিত প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন।
ড. হাছান মাহমুদ জানান, বহির্বিশ্বের কারাগারে আটক বিষয়ে মিশনগুলো থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পর্তুগালে দুইজন, মিসরে ছয়জন, ইতালিতে ৮১ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩৮৫ জন, কোরিয়ায় ছয়জন, শ্রীলঙ্কায় তিনজন, কাতারে ৪১৫ জন, লিবিয়ায় নয়জন, স্পেনে ১৯ জন, হংকংয়ে ১২২ জন, সিঙ্গাপুরে ৬৬ জন, ব্রুনাইয়ে ১৬ জন, চীনে ১৯১ জন, আরব আমিরাতে ৪০৪ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৯ জন, সৌদি আরবে ৫ হাজার ৭৪৬, মালয়েশিয়ায় ২১৯ জন, আলজেরিয়ায় পাঁচজন, থাইল্যান্ডে চারজন, লেবাননে ২৮ জন, গ্রীসে ৪১৪ জন, ইরাকে ২১৭ জন, তুরস্কে ৫০৮ জন, মায়ানমারে ৩৫৮ জন, জাপানে দুইজন, জর্ডানে ১০০ জন আটক রয়েছেন। এছাড়া ভারতে ১ হাজার ৫৭৯ জন, ওমানে ৪২০ জন, মোজাম্বিকে চারজন, বেলজিয়ামে দুইজন, মালদ্বীপে ৭০ জন আটক রয়েছেন।
এমপি নাহিদ নিগারের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রবাসে কোনো বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করলে তার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা অথবা নিকটাত্মীয় বা বৈধ অভিভাবকের অভিপ্রায় অনুযায়ী প্রবাসে তার লাশ দাফনের জন্য বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর সঙ্গে সমন্বয়করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। কোন অনিয়মিত অস্বচ্ছল প্রবাসীর মৃত্যু হলে, এবং তার পরিবার আবেদন করলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখা ওই প্রবাসীর মৃতদেহ সরকারি খরচে দেশে প্রত্যাবাসন করে এবং বিভিন্ন দেশে মৃত প্রবাসীদের দেহ সংশ্লিষ্ট দেশে দাফনের জন্য ও দাফন বাবদ অনুদান দেয়।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বিভিন্ন দেশ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো সরকারি খরচে ৫২টি মৃতদেহ বাংলাদেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে বলেও জানান তিনি।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, যুক্তরাষ্ট্র সেদেশে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টসপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কখনোই শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা দেয়নি।
তবে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এমএফএন নীতির আলোকে গার্মেন্টস পণ্যের উপর আরোপিত আমদানি শুল্ক হার বাংলাদেশ এবং অন্যান্য প্রতিযোগী দেশসমূহের জন্য অভিন্ন। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধার আওতায় থাকাকালীন সময়েও গার্মেন্টস পণ্য এর আওতা-বহির্ভূত ছিল। এই সুবিধা বাদে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির একক বৃহত্তম বাজারে পরিনত হয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি যুক্তরাষ্ট্র তাদের জিএসপি পদ্ধতি পুনঃপ্রবর্তন করেনি। জিএসপি সুবিধা পুনরায় চালু হলে তাতে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি এবং সেক্ষেত্রে গার্মেন্টস পণ্যকেও জিএসপির আওতায় আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।