সিলেট অফিস : সিলেটে মাত্র ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে সড়কে ঝরেছে চার প্রাণ। এর মধ্যে তিনজনই নারী, অপরজন শিশু। গত রবিবার বিকাল ৪টা থেকে রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে সিলেট মহানগর, কোম্পানীগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জস্থ পর্যটন স্পট সাদাপাথর থেকে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। রবিবার বিকাল ৪টার দিকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের খাগাইল নামক স্থানে পেট্রোল পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- নরসিংদী সদর থানার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী স্মৃতি আক্তার (২৫) ও তাদের ৭ বছরের শিশু ছেলে আব্দুল্লাহ। এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন ও অটোরিকশা চালক আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সিলেট শহর থেকে সাদাপাথর বেড়াতে যান দেলোয়ার হোসেন। বিকালে অটোরিকশাযোগে সিলেট শহরে ফিরছিলেন তারা। পথে খাগাইল এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির একটি ট্রাক ওই অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান স্মৃতি ও আব্দুল্লাহ। আহত হন দেলোয়ার ও অটোরিকশা চালক।

অপরদিকে জগন্নাথপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় রেসা বেগম (৪০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একই পরিবারের আরো চারজন। রেসা বেগম জেলার ছাতক উপজেলার ঝিগলী গ্রামের সুহেল মিয়ার স্ত্রী। রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার পাগলা-জগন্নাথপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের খাশিলা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

এছাড়া সিলেট মহানগরের চৌকিদেখীতে রেজিস্ট্রেশনবিহীন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় আছমা বেগম (৩০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট এয়ারপোর্ট সড়কের চৌকিদেখী পেট্রোল পাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা আছমাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আছমা সুনামগঞ্জ সদর থানার নুরিশপুর গ্রামের লিটন মিয়ার স্ত্রী। পরিবারের সঙ্গে চৌকিদেখীর ৩ নম্বর গলির একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি।