সুনামগঞ্জ
সাবেক ৪ এমপিসহ ৯৯ জনকে আসামি করে মামলা
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, সুনামগঞ্জ থেকে : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ সুনামগঞ্জের চার সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ নুরুল হুদা মুকুট, সম্পাদক নোমান বখত পলিনসহ ৯৯ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে আদালতে একটি মামলা হয়েছে।
গত রবিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট নির্জন কুমার মিত্রর আদালতে মামলাটি করেন দোয়ারাবাজার উপজেলার এরোয়াখাই গ্রামের নাজির আহমদের ছেলে মো. হাফিজ আহমদ।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি অ্যাড. রনজিত চন্দ্র সরকার ও মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখত, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল, যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার মঞ্জুর আহমদ, জামালগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম শামিম, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস, সদর মডেল থানার সাবেক ওসি খালেদ চৌধুরী, মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাসেল আহমদ, তাহিরপুর উপজেলা আ. লীগ সভাপিত হাজি আবুল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর, উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আপ্তাব উদ্দিন, তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা বারুমহাল-১ এর ইজারাদার রতন মিয়াসহ ৯৯ জন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাদীর ভাই জহুর আলী ও রিপন মিয়াসহ আহতদের শহরের পুরাতন বাস স্টেশনে গুলি করে রামদা দিয়ে কুপিয়ে পেট্রলবোমা ও ককটেল ফাটিয়ে বিনা উসকানিতে আহত করেন। হামলায় আসামিদের কেউ স্বশরীরে ছিলেন, আবার কেউ হুকুম দিয়েছেন। এমনকি আহতরা হাসপাতালেও আওয়ামী চিকিৎসকদের অসযোগিতায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হন। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।
মামলার আইনজীবী মাসুক আলম ও আব্দুল হক বলেন, গত ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জে মিছিল করার সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে আক্রমণ করা হয়েছে। এ সময় পুলিশও হামলা করেছে। এ ঘটনায় আমরা দ্রুত বিচার আইনে আদালতে মামলা করেছি। আশা করি আদালত মামলা রুজুর আদেশ দেবেন।