আমীর খসরু
নির্বাচনের টাইম ফ্রেম জানতে চেয়েছে রাশিয়া
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : রাশিয়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের টাইম ফ্রেম জানতে চেয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট, নির্বাচন ইত্যাদি বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি, যত দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেনতিয়েভিচ মন্টিটস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্পেশাল অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য শ্যামা ওবায়েদও উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর জাতিসংঘের সমন্বয়কারী, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত এবং চীনা রাষ্ট্রদূতের পর এবার রুশ রাষ্ট্রদূত বৈঠক করলেন বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের দিনক্ষণ জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট, নির্বাচন ইত্যাদি বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, ইতোমধ্যে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি। আমরা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এবং তাদের কার্যক্রমে আমরা পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যে রিফর্মগুলো নিয়ে আলোচনা হবে, সেগুলো তাড়াতাড়ি করে একটা নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে ব্যবসাবাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আমীর খসরু।
বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যতে এই সংকট উত্তরণ নিয়ে আমরা কী চিন্তা করছি। আমাদের তরফ থেকে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, বিএনপি সবার সঙ্গে সম্পর্কে বিশ্বাসী। কোনো বিশেষ দেশ বা আলাদাভাবে আমরা কাউকে দেখি না। সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে এবং বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে রাশিয়ার মানুষের সম্পর্ক থাকবে, দুই দেশের সম্পর্ক থাকবে। রাশিয়া একটি বিশাল দেশ। সেখানে ট্যুরিজমের সুযোগ আছে। তারা এখানে বোধহয় একটা অফিসও খুলতে চাচ্ছে, ভবিষ্যতে ব্যাংকের শাখা করতে চাচ্ছে, আমরা স্বাগত জানিয়েছি।
ভবিষ্যতে রাশিয়াতে বাংলাদেশকে কীভাবে তুলে ধরা যায়, রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের প্রোডাক্টের একটা জায়গা তৈরি করতে তাদের সহযোগিতার কথা বলেছি। সুতরাং সার্বিকভাবে দুই দেশের যে সম্পর্ক তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, যেভাবে আমরা অন্য দেশের সঙ্গে করছি। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের যেখানে সম্ভাবনা আছে রাশিয়াতে, রাশিয়ার যদি সম্ভাবনা থাকে এখানে, বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করে- বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করে সম্পর্ক গড়ে উঠবে। বন্ধুত্ব হয় দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান মিউচ্যুয়াল রেসপেক্ট ও মিউচ্যুয়াল ইন্টারেস্টের ভিত্তিতে। সুতরাং রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সেভাবে সম্পর্ক হবে।