সরিয়ে দেয়া হলো নজরুল ইসলাম মজুমদারকে
এবার এক্সিম ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবার বেসরকারি খাতের এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ পিএলসি বা এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তার স্ত্রী নাছরিন ইসলামকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিএবির চেয়ারম্যানের পদ দখল করে রেখেছিলেন নজরুল ইসলাম মজুমদার।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক আদেশে পর্ষদ বাতিল করা হয়। একই আদেশে নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠানো আদেশে বলা হয়, আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। নতুন পর্ষদে পরিচালক হয়েছেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডার মো. নজরুল ইসলাম স্বপন, মো. নুরুল আমিন, অঞ্জন কুমার সাহা এবং স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এস এম রেজাউল করিম ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট খন্দকার মামুন। নতুন পর্ষদে পরিচালকদের মধ্যে শেয়ারহোল্ডার তিনজন আগেও ব্যাংকটির পরিচালক ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নজরুল ইসলাম মজুমদার ব্যাংকটির কয়েকজন মূল উদ্যোক্তাকে বের করে দিয়ে সমালোচিত হন। গত কয়েক বছরে এই ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে বিপুল অঙ্কের ঋণ বের করে নিয়েছেন তিনি। তার বড় একটি অংশ পাচার করেন নজরুল ইসলাম মজুমদার। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এরই মধ্যে নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। এছাড়া কোথায় কত টাকা পাচার করেছেন তারা, সে অনুসন্ধানও শুরু করেছে।
নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ দখলে রাখেন। ব্যাংকের কোনো আইন পরিবর্তন বা অন্যকোনো অনৈতিক সুবিধার দরকার হলেই সিএসআর তহবিল নিয়ে হাজির হতেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পরা তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে ৬টি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করে দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গেøাবাল ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংককে এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া এস আলমের মামাতো ভাই সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের পরিবারমুক্ত হয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক।