ভারত থেকে শেখ হাসিনার বিবৃতি স্বস্তির নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সরকার পতনের পর ভারত থেকে শেখ হাসিনা যে বিবৃতি দিচ্ছেন তা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য স্বস্তির নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য অন্তরায়। আমরা চাই তিনি ভারতে বসে যেন এটা না করেন। বিষয়টি ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার বেশ কয়েকজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দিলে সেটা দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে না। এটা আমি তাকে (ভারতীয় হাইকমিশনারকে) বলেছি। সরকারের অবস্থান এটাই। তবে এটার জবাব তিনি (হাইকমিশনার) কীভাবে দেবেন? তিনি তো ডিসাইড করতে পারবেন না। তিনি এ নিয়ে কিছু বলতে পারেন না বলে আমি মনে করি। হাইকমিশনারের পক্ষে এর উত্তর দেয়া সম্ভবও না। এটা সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তিনি যেটা পারেন, তার সদর দপ্তরে জানাবেন। আমি নিশ্চিত তিনি এটা সদর দপ্তরে জানাবেন।
শেখ হাসিনার বিবৃতিকে আমরা কী হিসেবে দেখব- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সরাসরি ‘হোস্টাইল অ্যাক্ট’ হিসেবে বলছি না। কিন্তু এটা তো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অন্তরায়, সেটাই তাকে বলার চেষ্টা করেছি। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে নিয়ে আমি কোনো কথা বলিনি। শেখ হাসিনার নামে মামলা হয়েছে, তাকে ফেরানোর বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কথা বলবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা হলে তারা (আইন মন্ত্রণালয়) যদি বলে তাকে ফেরত আনতে হবে, আমরা আনব। না হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। এটা দুটি মন্ত্রণালয়ের কাজ স্বরাষ্ট্র ও আইন। তারা যেভাবে পরামর্শ দেবে সেভাবেই আমরা কাজ করব।
ভারতের গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে কিছু বলেছেন কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বলেছি এখানে কিছু ঘটনা ঘটেছে সেটি আমরা খবর নিয়েছি, প্রধান উপদেষ্টা হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। আমরা চাই সবাই যেন সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে, কারো ওপর হামলা সরকার সহ্য করবে না। দোষীদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে। তাকেও (হাইকমিশনার) বলেছি ভারতের গণমাধ্যম এটাকে অতিরঞ্জন করে খারাপ পরিবেশ তৈরি করছে, এটা ঠিক না। সীমান্ত নিয়ে কিছু বলেছেন কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বলেছি কিছু সমস্যা আছে। এই একটি ইস্যু আমরা দুপক্ষ চাইলে সমাধান করতে পারি। আমার বিশ্বাস আমরা চাইলে এটা পারি।