বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল
ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনায় সফল হবেন
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনায় সফল হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ড. ইউনূসের ঢাকায় আসার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস তো ছাত্রদের-আমাদের মনোনীত ব্যক্তি যাকে আমরা গোটা জাতির পক্ষ থেকে এই দায়িত্ব দিয়েছি, তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী যে, তার সফল নেতৃত্বে, তার যোগ্য নেতৃত্বে যে বিষয়টি (আইনশৃঙ্খলা) আপনি বললেন এটা কাটিয়ে উঠে তিনি তা পূরণ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় শুধু কিন্তু সেটা নয়। এই গোটা সমস্যার মূল হচ্ছে গণতন্ত্রের অভাব। সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হচ্ছে তার অন্যতম প্রধান কাজ। যত দ্রুত তিনি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারবেন, ততই তিনি সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা কী জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রথমটা হচ্ছে যে, আপনার আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে, তার জন্য চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। দ্বিতীয় হচ্ছে যে, অতি দ্রুত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক যে সরকার আছে সেখানে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তৃতীয়টি হচ্ছে, অর্থনীতি সচল রাখার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ সময় বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক পারভেজ রেজা কাঁকনকে নিয়ে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে যান মির্জা ফখরুল। সেখানে কোটা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ তৎকালীন সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের হামলা-গুলিবর্ষণের ঘটনায় গুরুতর আহত কয়েকশ মানুষের চিকিৎসা চলছে। তাদের দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আমরা
অভিবাদন জানাই। সেই সঙ্গে যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আহতদের চিকিৎসার জন্য আমরা হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি। আমাদের ড্যাবের চিকিৎসকরা কাজ করছেন, আমাদের ছাত্ররা কাজ করছেন।
দেশ অস্থিতিশীলের চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে : এদিন বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে দলটির মহাসচিব বলেছেন, এরই মধ্যে দুষ্কৃতকারীরা রাজধানীসহ দেশব্যাপী পরিকল্পিত অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি, হামলা, ভাঙচুর ও লুটতরাজে লিপ্ত হয়েছে। কয়েকটি জেলায় সংখ্যালঘুদের বসতবাড়ি, দোকানপাটে আক্রমণ চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অনেককে ভয় দেখিয়ে বাড়ি ও এলাকাছাড়া করার মতো সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত দুষ্কৃতকারীদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রেখে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আইন যেন কেউ নিজ হাতে তুলে নিতে না পারে সেজন্য গণতন্ত্রকামী মানুষ সার্বিক সহায়তা দেবে। দেশকে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তকে প্রতিহত করতে হবে।
তিনি বলেন, সুযোগসন্ধানী অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে হবে, কেউ যেন বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অপতৎপরতা চালাতে না পারে সে সম্পর্কে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে সাবধান থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অপকর্মকারীরা যেন পার পেতে না পারে সেজন্য সার্বক্ষণিক পাহারা দেয়ার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টাকারীদের সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। অপতৎপরতাকারীদের সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া গেলে সেটি তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা বাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য এলাকাবাসী ও দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।