×

শেষের পাতা

ওবায়দুল কাদের

কোটা আন্দোলনে মতলবি মহলের ইন্ধন আছে

Icon

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কাগজ প্রতিবেদক : আন্দোলনের নামে যারা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ অ্যাকশন নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা ধৈর্য ধরছি। সময়মতো সব কিছুই দেখবেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। তিনি আরো বলেন, কোটা আন্দোলনে মতলবি মহলের ইন্ধন আছে। ছাত্রলীগকে দোষ দেয়া এখন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা প্রশাসনিক দুর্বলতা নয়, আমরা ধৈর্য ধরছি। ধৈর্য ধরা মানে দুর্বলতা নয়। জনজীবনে কোনো দুর্ভোগ আমরা মেনে নেব না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অবমাননাও সহ্য করব না।

আদালতের চূড়ান্ত রায় আসা পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনে যারা ক্ষমতার মঞ্চের পরিবর্তনের দিবাস্বপ্ন দেখছেন, তা অচিরেই কর্পূরের মতো উবে যাবে। যে আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই, যে আন্দোলন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে টার্গেট করে, মুক্তিযুদ্ধকে টার্গেট করে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিকৃত ইতিহাস উপস্থাপন করে, সে আন্দোলন আমরা মোকাবিলা করব, প্রতিহত করব, পরাস্ত করব।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে দাবি করে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন- ‘কোটা সুবিধা মুক্তিযুদ্ধের নাতিপুতিরা পাবে, নাতো রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে?’ এই কথাটা বিকৃত করা হচ্ছে। টকশোর উপস্থাপক পর্যন্ত এটি বিকৃত করে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরির অপপ্রয়াস চালিয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আন্দোলনকারীরা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের না ভেবে রাজাকার ভাবল কী করে? তাদের তো রাজাকার বলেননি। প্রধানমন্ত্রী তো কোটা আন্দোলনের কাউকে উদ্দেশ করে রাজাকার শব্দটি ব্যবহার করেননি। তাহলে এটা কেন হলো? এই আন্দোলনের একটা অংশ রাজাকারের পক্ষ অবলম্বন করছে, এটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার। এর পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। এর পেছনে আছে তারেক রহমান। এটা হচ্ছে কোটাবিরোধিতার নামে সরকারবিরোধী আন্দোলন। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীকেই ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করায় ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে যায়। বিএনপি-জামায়াতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাতায় তাদের কে কে স্পটে থাকবে, নাশকতা চালাবে- তার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে গুপ্তহত্যার পরিকল্পনা চলছে। এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের বক্তব্য উল্লেখ করে কাদের বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে যা বলেছেন, তা নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। তারা অন্য দেশের গণতন্ত্র সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারাটা দেখে নিতে পারে। এসব আজগুবি তথ্য তারা কোথা থেকে পেল?

ছাত্রলীগকে দোষ দেয়া যেন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পত্রপত্রিকায় যা দেখতে পেলাম, তাতে ছাত্রলীগকে দোষ দেয়া যেন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। সব দোষই যেন নন্দ ঘোষ ছাত্রলীগের। অথচ এই হামলায় ছাত্রলীগের ৫০০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতা আছে ২০ জন। দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারকে উৎখাতের জন্য দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যকেও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। আদালতের রায় বলপ্রয়োগের মাধ্যমে পরিবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এসবের পেছনে একটা মতলবি মহল আছে।

কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত আগেও সড়ক ও কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে ফসল কুড়োতে চেয়েছিল। সেই ব্যর্থ চেষ্টার পর অনেক ষড়যন্ত্র করেছে, অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। সেই আন্দোলনেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের অবস্থানের কাছে তারা পরাস্ত হতে বাধ্য হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন বাংলাদেশে চলছে, লন্ডনে বসে দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিএনপি প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছে। একটি অরাজনৈতিক আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। তারেক রহমান প্রতিনিয়ত ২০১৪, ২০১৫, ২০১৮ সালের মতো রাজনৈতিক আন্দোলন করার জন্য বিভিন্ন অপশক্তিকে লেলিয়ে দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের পাশাপাশি কিছু সমমনা দলও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

পেশাদার সাংবাদিকতা করেছি, আমি সরকারের সুবিধা নেইনি

রিমান্ড শুনানিতে শ্যামল দত্ত পেশাদার সাংবাদিকতা করেছি, আমি সরকারের সুবিধা নেইনি

১৭ সেপ্টেম্বর: সারাদিন যা যা ঘটলো

১৭ সেপ্টেম্বর: সারাদিন যা যা ঘটলো

শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র কতটা গুরুত্ব বহন করে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র কতটা গুরুত্ব বহন করে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

কবির, নূরুল, তৌফিকসহ আরো যারা গ্রেপ্তার হলেন

কবির, নূরুল, তৌফিকসহ আরো যারা গ্রেপ্তার হলেন

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App