বিশ্বমানের খেলোয়াড় তৈরির তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর
‘শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তুলতে তার সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে, যে কারণে প্রতিটি বিভাগে বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘খেলাধুলার জন্য ট্রেনিং করিয়ে উপযুক্ত করে গড়ে তোলাটা সবচেয়ে বেশি দরকার। সেজন্য বিকেএসপি আগে ঢাকায় ছিল এখন প্রত্যেক বিভাগে একটা করে করা হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে ট্রেনিং পায় এবং আন্তর্জাতিক মানে যেন আমাদের খেলোয়াড়রা পারদর্শী হয়ে ওঠে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) আয়োজিত ‘শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।
লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও শরীর চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলা সবাইকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করবে, পাশাপাশি সবার মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে উঠবে। তিনি বলেন, খেলাধুলা ও শরীর চর্চা যেমন সবাইকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করবে, পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে উঠবে। তেমনি নিজেকে আরো উন্নত করবার একটা চেতনা জাগ্রত হবে। তিনি বলেন, খেলাধুলা, লেখাপড়া, সংস্কৃতি চর্চার মধ্যে দিয়ে নিজের দেশের সংস্কৃতি, নিজের জ্ঞান, নিজের মেধা-মনন, সেটা প্রকাশ করার সুযোগ পাবে। সেজন্য আমরা খেলাধুলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিই।
খেলাধুলার প্রসারে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন আমরা সরকারে এসেছি তখন থেকে আমার প্রচেষ্টা, বাংলাদেশ যেন খেলাধুলায় আরো এগিয়ে যায়, আমাদের ছেলেমেয়েরা এতে আরো বেশি মনোযোগী হয়। বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় আমরা খেলার মাঠ করে দিচ্ছি, সেটা হলো শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। কারণ আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সবাই যেন খেলোধুলার প্রতি আরো মনোযোগী হয়।
প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা, এটা সবচেয়ে বেশি দরকার। সেজন্য আমরা প্রতিটি বিভাগে একটি করে বিকেএসপি করে দিচ্ছি। আমরা চাই খেলাধুলাসহ সব দিক থেকে দেশ এগিয়ে যাক। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের অর্থনীতিকে উন্নত করেছি, দারিদ্র্যের হার আমরা অর্ধেকের বেশি
কমিয়ে এনেছি, এখন ১৮ দশমিক ৭ ভাগ। অতিদারিদ্র্যের হার ২৫ ভাগের ওপরে ছিল, এখন তা ৫ দশমিক ৬ ভাগে নামিয়ে এনেছি। ইনশাল্লাহ, এইটুকুও থাকবে না। বাংলাদেশে কোনো মানুষ অতিদরিদ্র থাকবে না। প্রত্যেককে বিনা পয়সায় ঘর করে দিচ্ছি, লেখাপড়ার বই দিচ্ছি, বৃত্তি দিচ্ছি, সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এই ধারা অব্যাহত রেখে আমরা এগিয়ে যাব। বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে বিশ্ব দরবারে এগিয়ে যাবে, উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে।
খেলাধুলায় বাংলাদেশ ভালো করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশে মেয়েদের বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ও ছেলেদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্ট প্রতিযোগিতা আছে। সেখান থেকে ধীরে ধীরে ভালো খেলোয়াড় উঠে আসছে। তারা শুধু দেশে না, দেশের মাটি পার হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য মর্যাদা বয়ে নিয়ে আসছে। বাংলাদেশকে খেলাধুলার মাধ্যমে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা, এটা তারা করছে।
ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে এক সময় উপযুক্ত খেলোয়াড় গড়ে উঠবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলাধুলা করে কোনোদিন হয়তো ফুটবলে আমরা চ্যাম্পিয়নও হয়ে যেতে পারি। সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।
টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইসলামী ব্যাংক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।