×

শেষের পাতা

পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে কোম্পানি

Icon

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে কোম্পানি

কাগজ প্রতিবেদক : নিজের নাম বাদ দিয়ে ইনস্টটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (শিফট) আইন অনুমোদন করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আয়োজিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়া মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে যতœ ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পাস হওয়া নতুন অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে পদ্মা সেতু রক্ষণাবেক্ষণে কোম্পানি গঠন এবং কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে রপ্তানি নীতির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ওইদিন বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে যতœ ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পাস হওয়া নতুন অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাহবুব হোসেন বলেন, গতকাল (রবিবার) বাজেট পাস হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সবাইকে একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। সবাই যাতে যতেœর সঙ্গে, নজরদারির সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়ন করেন। দ্রুততার সঙ্গে, নিপুণতার সঙ্গে, স্বচ্ছতার সঙ্গে যাতে বাজেট বাস্তবায়ন হয়, সেই বিষয়ে সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, মন্ত্রী ও সচিব সবাইকে বলেছেন- বাজেট সঠিকভাবে বাস্তবায়নে যাতে আমরা সবাই মনোনিবেশ করি। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি সরকার কোনো সহানুভূতি দেখাবে না বলে দাবি করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, হাতে গোনা কয়েকজন সরকারি কর্মচারী দুর্নীতি করে। তাদের জন্য বাকি সবাই বিব্রত হয়। সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতি নিয়ে যেভাবে আলোচনা হচ্ছে, প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দুর্নীতি তো সবাই করে না। একটি অফিসের সবাই কি দুর্নীতিবাজ? হাতে গোনা কয়েকজন করে এবং ওই হাতে গোনা কয়েকজনের জন্য বাকি সবাই বিব্রত হয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে মাহবুব হোসেন বলেন, সরকারের তরফ থেকে অবস্থানটি পরিষ্কার করা হয়েছে। দুর্নীতির কোনো বিষয়ের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে কোনো রকম সহানুভূতি দেখানো হবে না; দেখানো হচ্ছেও না। সেটি আমরা সিরিয়াসলিই নিয়েছি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে যেসব সংবাদ বের হচ্ছে তা নিয়ে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাদের। তবে এর বাইরেও অনেক কর্মকর্তাকে দুর্নীতির জন্য সাজা পেতে হয়, সেটা গণমাধ্যমে আমরা দেই না। তাই সবাই জানেন না এ বিষয়ে। তিনি এ সময় আরো জানান, সরকারি প্রকল্পের টাকা খরচ করে কর্মকর্তাদের বিদেশ যাওয়া শতকরা ৯০ ভাগ বন্ধ হয়েছে।

পদ্মা সেতু পরিচালনা কোম্পানি হচ্ছে : পদ্মা সেতু পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকার আলাদা একটি কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি হবে শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি। এর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর টোল আদায়সহ পরিচালনার কাজ চলবে। গতকাল নিয়মিত বৈঠকে ‘পদ্মা ব্রিজ অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি, পিএলসি’ গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। ২০২২ সালের ২৫ জুন বহুল কাক্সিক্ষত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী

সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা ও দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। পদ্মা সেতু এখন সরকারের সেতু বিভাগের সম্পদ। সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল থেকে যে আয় হচ্ছে, তা জমা হচ্ছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ব্যাংক হিসাবে। এখন কোম্পানি গঠিত হলে এই সেতু পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চলে যাবে কোম্পানির অধীন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, কোম্পানি আইন অনুযায়ী এই কোম্পানি গঠন করা হচ্ছে। এই বোর্ডে থাকবেন ১৪ জন। তারা জনবল কাঠামো ঠিক করবে। বোর্ডে সেতু বিভাগ, অর্থ বিভাগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা থাকবেন। বর্তমানে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের কাজ পরিচালনা করছে। পাঁচ বছরের জন্য তাদের ৬৯৩ কোটি টাকায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা সেতু বিভাগের হয়ে টোল আদায়, সেতুর দুই প্রান্তে ওজন মাপার যন্ত্র বসানো, সেতুতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও আনুষঙ্গিক মেরামতের দায়িত্বে রয়েছে। পদ্মা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কবে নাগাদ কোম্পানির অধীন যাবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওই চুক্তি শেষ হওয়ার পর এই কোম্পানি কাজ করবে।

নিজের নামে ইনস্টিটিউট স্থাপনে প্রধানমন্ত্রীর ‘না’ : মাদারীপুরের শিবচরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে চায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি)। তবে প্রধানমন্ত্রী তার নামে এটি স্থাপনের বিষয়ে ‘না’ বলেছেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটির নাম বদলে হচ্ছে ‘ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি আইন ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মাহবুব হোসেন এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে উপস্থাপিত শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (শিফট) আইন-২০২৪ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনের জন্য সভায় উপস্থাপিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই বললেন এটি তার নামে হবে না। এটি থেকে শেখ হাসিনা নাম বাদ দিয়ে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি আইন-২০২৪ এই নামে অনুমোদিত হয়েছে। এই ইনস্টিটিউটটি মূলত আইসিটি সংক্রান্ত প্রযুক্তি, গবেষণা, প্রযুক্তি উৎপাদন, গবেষণায় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটির একটি গভর্নিং বর্ডি থাকবে এবং একজন প্রধান পৃষ্ঠপোষক থাকবেন। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার নামটা বাদ দিয়েছেন, তিনি তার নামটি গ্রহণ করেননি। তিনি এর আগেও এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

১৩ সেপ্টেম্বর: সারাদিন যা যা ঘটলো

১৩ সেপ্টেম্বর: সারাদিন যা যা ঘটলো

ডোনাল্ড লু’র নেতৃত্বে আজ ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল

ডোনাল্ড লু’র নেতৃত্বে আজ ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল

রাজধানীতে ট্রাফিক পুলিশকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

রাজধানীতে ট্রাফিক পুলিশকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

বিএনপি নেতা আশফাকের নেতৃত্বে বায়রার ইসি বৈঠকে হামলা-ভাঙচুর

বিএনপি নেতা আশফাকের নেতৃত্বে বায়রার ইসি বৈঠকে হামলা-ভাঙচুর

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App