সংবাদকর্মীদের আয়কর
নোয়াব সভাপতির বক্তব্য শুনবেন আপিল বিভাগ
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মচারীদের আয়কর মালিক দেবেন নাকি সাংবাদিকরা দেবেন এ বিষয়ে মতামত নিতে নিউজ পেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) সভাপতি একে আজাদের বক্তব্য শুনবেন আপিল বিভাগ। এ জন্য আগামী ৪ আগস্ট তাকে নিজে উপস্থিত থেকে অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে নোয়াবের বক্তব্য উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সমীরণ মল্লিক। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড সাধন কুমার বনিক। এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মচারীদের আয়কর মালিক দেবেন নাকি সাংবাদিকরা দেবেন এ বিষয়ে নোয়াবকে পক্ষভুক্ত করেন আপিল বিভাগ।
জানা যায়- সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে নবম সংবাদপত্র ওয়েজবোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়। এ বোর্ড অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা-পরামর্শের পর ‘নবম সংবাদপত্র ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ’ চূড়ান্ত করে ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর তা তথ্য মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করে। ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নবম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা করে সরকার। সে প্রজ্ঞাপনের সপ্তম অধ্যায়ের ৩ নম্বর শর্তে বলা আছে, ‘সকল শ্রেণির সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থায় কর্মরত সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক এবং প্রশাসনিক কর্মচারীগণের বেতনের ওপর আরোপিত আয়কর সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদেয় হবে।’
একই অধ্যায়ের ৭ নম্বর শর্তে বলা হয়েছে, ‘সকল শ্রেণির সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার কর্মরত সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক এবং প্রশাসনিক কর্মচারীরা প্রত্যেক বছরে অথবা তার অংশ বিশেষ ছয় মাস বা এর অধিক সময় চাকরির জন্য সর্বশেষ প্রাপ্ত বেতনের ভিত্তিতে নির্ধারিত দুই মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ গ্র্যাচুইটি হিসেবে প্রাপ্য হবেন।’ অথচ প্রজ্ঞাপনে ‘সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, কার্যকরণ ও প্রয়োগ’ শিরোনামের দ্বাদশ অধ্যায়ের ৪ নম্বর শর্তে মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ তুলে ধরে বলা হয়, ‘সাংবাদিক, কর্মচারীদের নিজেদের আয় থেকে আয়কর পরিশোধ করবেন এবং বছরে মূল বেতনের সমান একটি গ্র্যাচুইটি পাবেন।’
নবম ওয়েজবোর্ডের মন্ত্রিসভা কমিটির এই সুপারিশ চ্যালেঞ্জ করে ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুজ্জামান। তখন রিটটির প্রাথমিক শুনানির পর ওই বছরের ২৫ নভেম্বর আদালত রুল জারি করেন। সে রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে মন্ত্রিসভার সুপারিশ দুটিকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।