×

শেষের পাতা

প্রতিবেদনে তথ্য প্রকাশ

স্টেম শিক্ষায় পিছিয়ে নারীরা সামনে চারটি প্রধান চ্যালেঞ্জ

Icon

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

 স্টেম শিক্ষায় পিছিয়ে নারীরা সামনে চারটি প্রধান চ্যালেঞ্জ
কাগজ প্রতিবেদক : আগামী দশকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত (স্টেম)- এই চারটি বিষয়ে কর্মসংস্থান অন্যান্য পেশার তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হারে বাড়বে। ইউএসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান-ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিস্টিকস (বিএলএস) ২০১৯-২৯ এর তথ্য অনুযায়ী, এই বিষয়গুলো থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২৯ সালে ৮ শতাংশ হারে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের কারণে এই বিষয়গুলো থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাকরির সুযোগ দ্রুত বাড়লেও এসব ক্ষেত্রে দেশের নারীদের প্রবেশগম্যতা পুরুষের তুলনায় অনেক কম। বাংলাদেশে স্টেম ক্ষেত্রে নারীদের প্রতিনিধিত্ব মাত্র ১৪ শতাংশ- যা জেন্ডার বৈষম্যের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রের বৈষম্যকেও বিশেষভাবে নির্দেশ করে। এটিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ‘সিস্টেম বিজনেস কেইস’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহযোগিতায় দেশের শীর্ষ স্থানীয় পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আয়োজক প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- দেশের বিখ্যাত বিজনেস কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান লাইটক্যাসল পার্টনার্স, ১০ মিনিট স্কুল, এ টু আই, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ ও ডেভলার্ন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এক্ষেত্রে চারটি প্রধান চ্যালেঞ্জ দৃশ্যমান। এগুলো হচ্ছে- ছেলেমেয়ে বৈষম্যগত সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রত্যাশার চাপ, এসব বিষয় থেকে পাস করা নারীদের সামনে দেশে রোল মডেল হিসেবে তেমন বড় কোনো দৃষ্টান্ত না থাকা, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে জেন্ডারভিত্তিক নিয়োগ নীতি না থাকা কিংবা কিছু প্রতিষ্ঠানে নীতিমালা থাকলেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন না করা এবং নারীদের জন্য অফিসে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার ঘাটতি ও নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে প্রায় ৭০০ জনের বেশি অংশগ্রহণকারীদের ওপর জরিপ করে এই তথ্য উঠে আসে। সিস্টেম এর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থী, ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও অ্যালামনাই সদস্যদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। ২০টি মূল প্রশ্ন ও ৯টি ফোকাস গ্রুপভিত্তিক আলোচনার মধ্য দিয়ে এই চিত্র উঠে আসে। এতে আরো বলা হয়, ২০১৯-২৯ এর তথ্য অনুযায়ী, অন্যান্য বিষয়ে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য এই সুযোগ মাত্র ৩ দশমিক ৭ শতাংশ হারে বাড়তে পারে। তবে বিশ্বব্যাপী স্টেম পেশাগুলোতে নারীদের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তারা এখনো কম প্রতিনিধিত্ব করে। বর্তমানে বিশ্বে নারীদের ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং ¯œাতক পাস প্রায় ২৮ শতাংশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ২২ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি খাতের স¤প্রসারণ হলেও এই পেশায় নারীরা এক-তৃতীয়াংশেরও কম। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই হার ১ দশমিক ৫ শতাংশের কম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন। আরো বক্তব্য রাখেন নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের বিজনেস ডেভলপমেন্ট উপদেষ্টা অসিম রহমান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ের অধ্যাপক ড. মাহমুদা নাজনীন প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App