জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর হচ্ছে গণভবন
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গতকাল বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া সভায় বিচার শেষের আগে আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যক্রম চালাতে পারবে না এমন সিদ্ধান্তেও একমত হন উপদেষ্টারা। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যা ছিল বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের পঞ্চম বৈঠক। সভায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে জয়লাভে সব কর্মকর্তা, খেলোয়াড় ও কোচকে অভিনন্দন জানানো হয়।
গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত জানান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ সময় তিনি বলেন, গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে পরিণত করা হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় গণভবন যেমন ছিল তেমন রেখে স্মৃতি জাদুঘর করা হবে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আসিফ মাহমুদ বলেন, সাউথ কোরিয়ায় এমন স্মৃতি মেমোরিয়াল করা হয়েছিল। আরো অন্য দেশেও হয়েছে। তাদের থেকে জেনে গণভবনকে স্মৃতি জাদুঘর করা হবে। সেখানে ফ্যাসিবাদী সরকারের কর্মকাণ্ড প্রদর্শিত হবে। গার্মেন্টস শ্রমিক অসন্তোষ কাটাতে রিভিউ কমিটি করা হবে বলেও জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিক অসন্তোষ কাটাতে রিভিউ কমিটি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই কমিটি গার্মেন্টস শ্রমিকদের স্বল্পমেয়াদি দাবি পর্যালোচনা করবে। এই কমিটিতে গার্মেন্টস মালিকদের প্রতিনিধিও থাকবে।
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করতে দেয়া হবে না জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, তারা রাজনীতি করতে পারবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত জনগণের। যেহেতু আওয়ামী লীগ গণহত্যা ঘটিয়েছে, সে দায় মাথায় নিয়ে দলটি কীভাবে ফিরবে, সেটা জনগণের সিদ্ধান্ত। তাদের ওপরেই এই সিদ্ধান্ত ছেড়েছি। এর আগে গত বুধবার ডয়চে ভেলে বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ নাহিদ ইসলামও এই কথা জানিয়ে বলেছেন, গণহত্যার জন্য আগে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তাদের ব্যক্তিদের বিচার হবে এবং এরপর জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে তাদের রাজনীতি থাকবে কিনা।