×

প্রথম পাতা

আর্থিক খাতের দানব এস আলম

Icon

মরিয়ম সেঁজুতি

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আর্থিক খাতের দানব এস আলম

ছবি: সংগৃহীত

দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতের আলোচিত নাম ‘এস আলম গ্রুপ’। প্রতারণা, জালিয়াতি, ব্যাংক লুটপাটের মাধ্যমে লাখো কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচারসহ নানান কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকায় দেশের অন্যতম বড় এ ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর নাম এখন সবার মুখে মুখে। প্রতারণা, জালিয়াতি ও হুন্ডির মাধ্যমে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম, তার স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শেখ হাসিনা সরকারের সময়েই এস আলমের দুর্নীতি নিয়ে কিছুটা আলোচনায় এলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি ব্যাংক কোম্পানি আইন ভেঙে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা নজিরবিহীনভাবে সাতটি ব্যাংক ও দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বড় অঙ্কের শেয়ার দখলে নেয়। আর এ অসাধ্য কাজটি সম্ভব হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারণে। মূলত বিশেষ অনুমতি দিয়ে এই পরিবারকে সহায়তা করেছে ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অভিযোগ রয়েছে- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর নিয়োগে এস আলম গ্রুপের বিশাল প্রভাব ছিল। যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি সিদ্ধান্ত নয়; বরং নিজেদের কাছের লোক বড় পদে নিয়োগের জন্য এস আলমের স্বেচ্ছাচারিতার সঙ্গে তাল মেলাতেন কর্তাব্যক্তিরা।

তবে সরকার পতনের পর এস আলমের এসব লুটপাটের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জোরালো হয়েছে। জনগণের দাবিতে সাড়া দিয়ে ড. মোহাম্মদ ইউনূস সরকার ঘোষণা দিয়েছে এস আলম গ্রুপের সব সম্পদ এখন জনগণের। তাই কাউকে তাদের সম্পদ না কেনারও পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের বলেন, এস আলম ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি, যিনি সুপরিকল্পিতভাবে ব্যাংক লুট করেছেন। এ রকম বিস্তৃত আকারে এবং এত সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে ব্যাংক লুট করা অন্য কোথাও শুনিনি। পৃথিবীতে কেউ এমন ব্যাংক ডাকাতি করেছে কিনা, তা জানা নেই। তিনি বলেন, এস আলম গ্রুপের সম্পদ যেন কেউ না কিনে। দেশের স্বার্থে অন্য কেউ যেন এই সম্পদে হাত না দেয়। এই সম্পদ আমরা আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে ব্যবহার করতে চাই।

সূত্রে জানা গেছে, এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম (এস আলম) ও তার সহযোগী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এই তদন্ত করছে।

এছাড়া বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে এস আলম গ্রুপের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় লেনদেনের তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করেছেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. নূর-ই-আলম। গত ২১ আগস্ট দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে এস আলমের অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক। উচ্চ আদালতের এক আদেশের পর অনুসন্ধান বন্ধ রাখা হয়েছিল। আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণের পর পুনরায় অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। অনুসন্ধান তদারকি করছেন মানিলন্ডারিং শাখার পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী।

সিআইডি বলছে, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে এস আলমসহ সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে একদিনের ব্যবধানে আবার বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের (পিআর) অনুমতি নিয়েছেন। তারা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সাইপ্রাস ও ইউরোপে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করে নিজের ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ করেছেন।

সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, পাচার করা অর্থে সিঙ্গাপুরে ২৪৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মুলধনে ক্যানালি লজিস্টিক প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়া ভুয়া নথি তৈরি, জাল-জালিয়াতি এবং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিদেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি ও বিনিয়োগের উদ্দেশে নামে-বেনামে ছয়টি ব্যাংক থেকে ৯৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন বলেও জানায় ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। সূত্র জানায়, বিদেশে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান শেল কোম্পানি খুলে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১৮ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। এস আলমসহ তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ছেলে আহসানুল আলম ও আশরাফুল আলমসহ তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে অর্থ পাচার করা হয়েছে। এই বিষয়ে মানিলন্ডারিং আইন ও বিধি অনুযায়ী সিআইডি অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে।

জানা যায়, সাধারণত বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও গ্রুপটি কোনো নিয়মনীতি মানেনি। প্রতিষ্ঠানটি এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১২ হাজার কোটি টাকা পাচার করার মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়েছে। গত এক দশকে সিঙ্গাপুরে এস আলম অন্তত দুটি হোটেল, দুটি বাড়ি, একটি বাণিজ্যিক স্পেস এবং অন্যান্য যে সম্পদ কিনেছেন সেখানেও বিভিন্ন উপায়ে কাগজপত্র থেকে তার নাম সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলেও জানা যায়।

এস আলমের উত্থান যেভাবে : ১৯৬০ সালে চট্টগ্রামের পটিয়া জেলায় জন্ম নেন এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ। তার বাবা মোজাহেরুল আলম ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা। সাত ভাই ৫ বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। পড়ালেখা শেষ করেই ব্যবসায় মনোযোগ দেন। শুরুতে অল্প পুঁজি নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও একে একে পরিবহন খাত, ব্যাংকিং, ভেজিটেবল অয়েল, চিনি পরিশোধনাগার, পাওয়ারপ্ল্যান্টসহ বেশ কিছু সেক্টরে ব্যবসা গড়ে তোলেন। পরিবহন শিল্পে তার প্রবেশ এস আলম বাস সার্ভিসের মাধ্যমে। বর্তমানে তিনি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান। এছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশের আরো ৬টি বেসরকারি ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার হিসেবে ছিলেন; যা ইতোমধ্যে সরকার নিজের দখলে নিয়েছে। ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ইউনিয়ন ব্যাংক, এনআরবি গেøাবাল ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।

কোম্পানির তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে, বর্তমানে এস আলমের মালিকানাধিন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। যার অর্থনৈতিক মূল্য দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি। ১৯৮৫ সালে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ট্রেডিং বিজনেস দিয়ে যাত্রা শুরু করা সাইফুল আলম মাসুদের সম্পত্তি মূলত ফুলে ফেঁপে দানবে পরিণত হয় ২০০৯ সালের পর থেকে। সাইফুল আলম মাসুদের কোম্পানি এস আলম গ্রুপ দেশজুড়ে প্রথম পরিচিতি অর্জন করে পরিবহণ ব্যবসার মাধ্যমে। একই সঙ্গে চলে বিদেশ থেকে তেল, চিনি গমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সে বছরই ওমান বাংলাদেশ লিভিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড কিনে নেন সাইফুল আলম। সেই থেকে ব্যবসা ক্ষেত্রে শুরু হয় তার দখলবাজি আর মাফিয়াতন্ত্র। ক্ষমতায় এসে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ২০১৩ সালে চট্টগ্রামের বাঁশখালিতে এস আলম এবং চায়না গ্রুপ সেফকো থ্রির যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত হয় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট। যার ৭০ শতাংশ এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন। জোর পূর্বক নিলামের মাধ্যমে কিনে নেন একুশে টিভি। নেক্সাস টিভিও তার মালিকানাধীন।

ধীরে ধীরে সম্পদ বাড়তে থাকে সাইফুল আলমের; বাড়তে থাকে কোম্পানির পরিধি। এবার ব্যাংকিং খাতে নজর পড়ে তার। টার্গেট দেশের সবচেয়ে স্বাবলম্বী ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠাতা জামায়াতপন্থিদের জোরপূর্বক সরিয়ে দখল করে নেন ইসলামী ব্যাংক। এরপর ব্যাংকিং কোম্পানি আইন ১৯৯১ লঙ্ঘন করে ১৯টি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকেরও অর্ধেক শেয়ার নিয়ে নেয় এ গ্রুপ। একই অবস্থায় কিনে নেয় আরো কয়েকটি ব্যাংক। ২০১৮ সালে অনেকটা একই পদ্ধতিতে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের বড় অংশ নিয়ে নেয় এই শিল্প গ্রুপ। তৎকালীন সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের আশীর্বাদ থাকায় তার এসব দখলদারির প্রতিবাদ করতে পারেনি কেউ। উল্টো সরকারি সব বাহিনী নেমেছে তার পক্ষ হয়ে। ব্যাংক বিমা দখল করে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে নামে-বেনামে টাকা তুলেছেন সাইফুল আলম। ছয় ব্যাংক থেকে লোপাট করেছেন অন্তত ৯৫ হাজার কোটি টাকা। সম্পদ যত বাড়ছিল ততই দানবে পরিণত হচ্ছিল এস আলম গ্রুপ।

ইসলামী ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটি এস আলমের স্বজনদের প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। অন্যদিকে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক তাদের আর্থিক প্রতিবেদনে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ দেখিয়েছে। অন্য ব্যাংকগুলোও এ দুই ব্যাংকের দেখানো পথেই পা ফেলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এস আলমের আত্মীয়দের দেয়া ঋণ নথিতে উল্লেখ করা তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি হবে। এক কর্মকর্তা বলেন, শুধু ইসলামী ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের প্রকৃত পরিমাণ ৭৫ হাজার কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

একটি ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, অনেক পরিচালক ক্ষমতার অপব্যবহার করে বছরের পর বছর ঋণ পুনঃতফসিল করেছেন। এভাবে তারা ঋণখেলাপি হওয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করেছেন। তাই পরিচালকদের ক্ষমতায় পরিবর্তন আনতে হবে, যেন তারা খেলাপি হওয়া থেকে বাঁচতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণ পুনঃতফসিল করতে না পারে।

তথ্য উপাত্তে দেখা গেছে, ব্যাংকের বোর্ডে এস আলম পরিবার কীভাবে আধিপত্য বিস্তার করেছে। তাদের দখলে থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ছাড়া বাকিগুলো ইয়োলো জোনে আছে। অর্থাৎ ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা ‘ভালো’ ও ‘ভঙ্গুর’ এর মাঝখানে আছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, একটি পরিবার কীভাবে ব্যাংকিং খাতকে নিয়ন্ত্রণ করে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ এস আলম পরিবার। তিনি বলেন, এজন্য ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক দায়বদ্ধ। এছাড়া সরকার আইন সংশোধন করে এস আলমকে ব্যাংকগুলোর ওপর আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ করে দিয়েছে।

ব্যাংক বিমা জমি দখল, লুটপাট ও হত্যার বাইরে নিত্যপণ্যের বাজারে কৃত্তিম সংকট তৈরি করেও জনগনকে জিম্মি করার অসংখ্য অভিযোগ আছে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সময় সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও আমলে নেয়নি সরকার। এভাবেই শেখ হাসিনার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দেশের অন্তত এক লাখ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিদেশে পাচার করেছে এস আলম গ্রুপ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক এমপি সেলিম আলতাফ গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক এমপি সেলিম আলতাফ গ্রেপ্তার

পেশাদার সাংবাদিকতা করেছি, আমি সরকারের সুবিধা নেইনি

রিমান্ড শুনানিতে শ্যামল দত্ত পেশাদার সাংবাদিকতা করেছি, আমি সরকারের সুবিধা নেইনি

১৭ সেপ্টেম্বর: সারাদিন যা যা ঘটলো

১৭ সেপ্টেম্বর: সারাদিন যা যা ঘটলো

শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র কতটা গুরুত্ব বহন করে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র কতটা গুরুত্ব বহন করে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App