দুদক চেয়ারম্যানকে জানালেন সারজিস-হাসনাত
সমন্বয়কদের নাম ভাঙিয়ে মিথ্যা মামলা ও চাঁদাবাজি
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নাম ভাঙিয়ে কেউ কেউ মিথ্যা মামলা ও চাঁদাবাজির চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলার বিষয়টি দুদক চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন এই দুই সমন্বয়ক। একই সঙ্গে নিরপরাধ কাউকে হয়রানি না করতে চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আসেন সারজিস ও হাসনাত। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তারা।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সারজিস বলেন, একটা গোষ্ঠী মিথ্যা মামলা ও চাঁদাবাজির চেষ্টা করছে। এ দুটি সমস্যা খুবই প্রকট। কেউ আমাদের নাম ভাঙিয়ে যদি মিথ্যা মামলা বা চাঁদাবাজির কোনো কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে কমিশন যেন কঠোরভাবে অবস্থান নেয়। যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করে যেন ব্যবস্থা নেয়া হয়। তিনি বলেন, আমরা কখনো চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলা সমর্থন করি না। যারা এগুলো করে তাদের যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হয়।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, খবর পেয়েছি আমাদের নাম ব্যবহার করে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। স্বাক্ষর নকল করে মামলা দেয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নাই। আমাদের নাম ব্যবহার করে অসাধু উপায়ে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বার্তাটি স্পষ্ট করতে এসেছি, আমাদের লিগ্যাল কোনো অথরিটি নাই। আমাদের নাম ব্যবহার করে বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা নেয়ার ও দেয়ার এখতিয়ার আমরা রাখি না। সিস্টেম সিস্টেমের মতো চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, দুদকের কাছে এ অনুরোধটি নিয়ে এসেছি- দুদকের যে আইন রয়েছে সে অনুযায়ী সব কিছু চলবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় সমন্বয়ক পরিচয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে মামলা দেয়া হচ্ছে, হয়রানি করা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেহেতু নিজের পরিচয় ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ হাসিল করতে পারছে না, বিতর্কিত করার অভিপ্রায়ে তারা আমাদের নাম ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্যকে পুঁজি করে জোর করে কিংবা বাধ্য করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে। কাউকে পদে বসানো, কাউকে পদত্যাগ করানো, কারো থেকে চাঁদা তোলা বা তদবির করা এগুলো প্রাচীন অতীত। আমরা এসবকে লকারবন্দি করতে চাই।