সড়ক উপদেষ্টা
মেট্রোরেল চালু হবে ৭ দিনের মধ্যে
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়বিষয়ক উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বোর্ডের সভা না হওয়ায় মেট্রোরেল চালু করা যায়নি। স্টাফদের কিছু দাবি আছে। তবে সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে মেট্রোরেল চালু করার চেষ্টা করা হবে। এ বিষয়ে আগামীকাল (আজ সোমবার) মেট্রোর বোর্ড মিটিং হবে।
গতকাল রবিবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে প্রথম অফিস করতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়বিষয়ক উপদেষ্টা। বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি।
উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, সরকার পরিবর্তনজনিত প্রশাসনিক শূন্যতা পূরণ হয়েছে। এই সরকার সবার সরকার। সবার জন্য কাজ করবে। আগের মতো সিঙ্গেল সোর্স প্রকিউরমেন্ট হবে না। চেনা মুখে ঠিকাদারি হবে না। সবার অংশগ্রহণ থাকতে হবে। ই-টেন্ডারিং দিয়ে ধোঁকা দিয়েছে। ধোঁকাবাজির দিন শেষ। এছাড়া সারাদেশের হিসাব করে পরিকল্পনা কমিশন বড় প্রকল্প নেয়ার সিদ্ধান্ত নেবে। শুধু ঢাকা বা বড় শহরগুলো নয়, মানুষের চলাচলের চাপ বিবেচনায় নিয়ে পুরো দেশের সড়ক ঠিক করতে হবে। দেশের সড়ক নির্মাণ ব্যয় বিশ্বে প্রথম। এই অপবাদ দূর করতে হবে। সড়কের নিম্নমানের কাজ গ্রহণযোগ্য হবে না। সরকার আয় করতে পারেনি, তাই ব্যয় সংকোচন করতে হবে। ঢাকার প্রধান সড়কে গাড়ি থামার জায়গা করতে হবে। জায়গায় জায়গায় গাড়ি থামতে পারে না। এখন মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ভিন্ন।
সড়ক উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের এত বছর পর এখন জনপ্রত্যাশার সরকার রয়েছে। সাংবাদিক রোজিনার মতো বিষয় হবে না। আইনের মধ্যে থেকে সাংবাদিকদের সার্বিক সহায়তা দেয়া হবে। আমরা কম কাজ করবো না বরং বেশিই করব। তা নাহলে প্রবৃদ্ধি কমে যাবে। আমাদের প্রেফারেবল কেউ নাই। সক্ষম লোক আমাদের কাজ করবে।
তিনি বলেন, সড়ক ও জনপথের বিভিন্ন স্থাপনা আগুন ও ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো মেরামতের ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছি। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও সেতু ভবনের দুটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত এফডিসি র?্যাম্প চালু করার নির্দেশ দিয়েছি।
সড়কে চাঁদাবাজি-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, যানবাহনে চাঁদাবাজির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রের কাছে জিজ্ঞাসা করুন। সড়ক যোগাযোগ রেগুলেটরি মিনিস্ট্রির বিষয়। চাঁদাসংক্রান্ত ইস্যু স্বরাষ্ট্রের বিষয়। সড়কে কেউ চাঁদাবাজিতে জড়িত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিআরটিএতে ভিন্ন পরিবেশ তৈরি করব। বিআরটিএকে জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। তিন দিনের বেশি লাইসেন্স প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে পারে না। অনলাইনের অযুহাত দেখানো যাবে না। বিআরটিএর অবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার ড্রাইভার একটা লাইসেন্স নিতে ৭ বার ছুটি নিয়েছে। একটা লোককে আপনি একটা টেস্ট নিতে পারেন। এটা ভ্যালিড, তা নাহলে তো সড়কে দুর্ঘটনা ঘটাবে। একদিন সাবমিশন, আরেক দিন টেস্ট, আরেকদিন পাবেন। এই তিন দিনের বেশি বিআরটিএকে সময় দেয়া যাবে না।
এ সময় উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে পাশে থাকা বিআরটিএর কর্মকর্তারা বলেন, স্যার এখন আমাদের ৯৫ শতাংশ সেবা অনলাইনে দেয়া হয়। এর প্রতিউত্তরে উপদেষ্টা বলেন, অনলাইন, অনলাইন এগুলো বলবেন না। আমাকে এটা বলে সাহায্য করেন যে, একটা ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে কতদিন লাগে? কতবার যেতে হয়? এখন একটা অজুহাত শুরু হয়েছে অনলাইন, কম্পিউটার। কয়টা লাইসেন্সের আবেদন পেয়েছেন? কতদিনের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে, আবেদন গ্রহণের তারিখ এবং ডেলিভারি দেয়ার তারিখ- আপনারা সচিবকে দেবেন। এমনভাবে রিপোর্ট করবেন যেখান থেকে আমি একটা সিদ্ধান্ত দিতে পারি। অনেক সময় উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটা কিছু লিখে দেয়া হয়। এগুলো মেহেরবানি করে করবেন না।