×

প্রথম পাতা

অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা

প্রধান উপদেষ্টা হচ্ছেন ড. ইউনূস

আন্দোলন সমন্বয়কদের প্রস্তাবে সম্মত ড. ইউনূস > বঙ্গভবনে সব পক্ষের বৈঠকে চূড়ান্ত হবে সিদ্ধান্ত > দাবি মেনে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিলেন রাষ্ট্রপতি

Icon

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

প্রধান উপদেষ্টা হচ্ছেন ড. ইউনূস

কাগজ প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়ার সময় বেঁধে দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই সংসদ ভেঙে দিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত সোমবার রাতেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার সময় সংসদ ভেঙে দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া দ্রুতই আরেকটি জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, দেশে লাগাতার ছাত্র আন্দোলনের জেরে সোমবারই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতে গোপন আশ্রয়ে রয়েছেন। সরকার ভাঙার পর থেকেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবি জানাতে শুরু করেন। এদিকে, শেখ হাসিনার পদত্যাগের প্রেক্ষাপটে দেশে দ্রুত একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করার প্রস্তাব দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। ড. ইউনূসও তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তি দেয়া শুরু হয়েছে এবং ইতোমধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছেন। এরআগে বিকাল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙ্গার আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এক ভিডিও বার্তায় আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরও ফ্যাসিস্ট হাসিনার সংসদ বিলুপ্ত করা হয়নি। আজ (মঙ্গলবার) বিকাল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙা না হলে আগামীকাল কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

সংসদ ভেঙে দেয়ার আগে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একটি ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির জন্য সারসংক্ষেপ আকারে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভাংগিয়া দেয়া প্রসঙ্গে’ শিরোনামে সেই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। ৩০ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দিয়ে দেশ ত্যাগ করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদে (সংলাপ-১) বিধান রয়েছে: যে, ‘এই সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুসারে কেবল প্রধানমন্ত্রী ও ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতীত রাষ্ট্রপতি তাহার অন্য সব দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য করিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে আদৌ কোনো পরামর্শ দান করিয়াছেন কিনা এবং করিয়া থাকিলে কি পরামর্শ দান করিয়াছেন, কোনো আদালত সেই সম্পর্কে কোন প্রশ্নের তদন্ত করিতে পারিবেন না।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তার সঙ্গে পরামর্শ নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলা, জনস্বার্থ, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক জীবন যাতে বিপদের সম্মুখীন না হয় সে জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদের অধীন তার বিচক্ষণতা/সহজাত ক্ষমতা প্রয়োগ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভাংগিয়া দিতে পারেন। রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬ এর অনুচ্ছেদ ৪ (সংলাপ-২) এর অধীন জাতীয় সংসদ ভাংগিয়া দেয়ার বিষয়টি মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপন সংসদ সচিবালয়ের কর্মপরিধিভুক্ত। যেহেতু তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা করা প্রয়োজন, সেহেতু রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬ এর বিধি ৩৩ (সংলাপ-৩) এর আওতায় জনস্বার্থে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি অনুচ্ছেদ ৩-এ বর্ণিত অবস্থাধীনে সমীচীন বিবেচনায় রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬ এর অনুচ্ছেদ ৪ এর ব্যতিক্রম সদয় অনুমোদনপূর্বক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভাংগিয়া দেয়ার লক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিজ্ঞপ্তি (পতাকা-ক) জারি করতে পারেন। সে অনুযায়ী অনুচ্ছেদ ৪ এর প্রস্তার মহামান্য রাষ্ট্রপতির সানুগ্রহ বিবেচনা ও অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলো।

একই সঙ্গে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। এ প্রস্তাবে ইউনূস সম্মতিও দিয়েছেন। ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোরশেদ গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, হ্যাঁ, স্যার ছাত্রদের ওই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৪টার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া ভিডিও বার্তায় নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দেয়ার দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। ভিডিও বার্তায় নাহিদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা দিতে আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছিলাম। কিন্তু জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় এখনই রূপরেখা ঘোষণা করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। তার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে, তিনি দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ থাকবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হোক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকি সদস্যদের নামও আমরা সকালের মধ্যে ঘোষণা করব। আমরা সকালের মধ্যে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া দেখতে চাই। নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, প্রিয় মুক্তিকামী ছাত্রজনতা, আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের এ অভ্যুত্থান ও বিপ্লবের পরই অরাজকতা, নাশকতা করছে ফ্যাসিস্ট এবং তাদের দোসররা। আমরা দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলি চলছে, মন্দিরে হামলা হচ্ছে এবং নাশকতা ও লুটপাট চলছে। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার জন্যই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। আমরা মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাও রাজপথে থাকবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এ সমন্বয়ক বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাকে রাজপথে থেকে অভ্যুত্থানকে রক্ষা করতে হবে। ছাত্র-জনতার প্রস্তাব ছাড়া কোনো ধরনের সরকার মেনে নেয়া হবে না। আমরা আগেও বলেছি, সেনা শাসিত সরকার অথবা সেনা সমর্থিত সরকার অথবা ফ্যাসিস্টদের দোসরদের কোনো বি-টিম সরকার, কোনো গণবিরোধী সরকার মেনে নেয়া হবে না।

এদিকে সংসদ বিলুপ্তির পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের ডাকে গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে গেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ জন সমন্বয়ক। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় তারা বঙ্গভবনে গেছেন বলে সাংবাদিকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তাদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দীন খান রয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ১৩ সদস্যের একটি টিম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও তিনবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু, আলোচনায় ১৮ নাম : শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনার কথা জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে সেনাপ্রধান বলেন, দেশে একটা ক্রান্তিকাল চলছে। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে কাজ পরিচালনা করব। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমরা সুন্দর আলোচনা করেছি। সেখানে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে দেশের সব কার্যক্রম চলবে। সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর মন্ত্রিসভার অন্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা পদত্যাগ করেছেন বলে গণ্য হবে। এতে মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হয়ে যায়। তবে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারবেন বলেও সংবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে। সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে, যদি- (ক) তিনি কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র প্রদান করেন।’ অন্য মন্ত্রীদের পদের মেয়াদ নিয়ে সংবিধানের ৫৮ (৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করিলে বা স্বীয় পদে বহাল না থাকিলে মন্ত্রীদের প্রত্যেকে পদত্যাগ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে; তবে এই পরিচ্ছেদের বিধানাবলি-সাপেক্ষে তাহাদের উত্তরাধিকারীগণ কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাহারা স্ব স্ব পদে বহাল থাকিবেন। ‘মন্ত্রী’ বলিতে প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী অন্তর্ভুক্ত।’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কত সদস্য হবেন এমন প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, এখনো খুব আর্লি স্টেজ। আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করা হবে। আজকেই রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। রাতের মধ্যেই সমাধানে যাওয়ার চেষ্টা করব। দুয়েকদিন আমাদের সময় দেয়া লাগতে পারে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা দেয়া হবে। তবে এই মুহূর্তে আমি সমস্ত দায়িত্ব নিচ্ছি। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীসহ দেশবাসীর সহযোগিতা চাই। সেনাপ্রধানের ভাষণের পর অন্তর্বতীকালীন সরকারের দায়িত্ব কে নেবেন এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের সর্বত্র। তবে বিভিন্ন সূত্রে ১৮ জনের নাম আলোচনায় ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। বিএনপিবিহীন এ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় আওয়ামী লীগ। এরপর ১১ জানুয়ারি গঠিত হয় নতুন মন্ত্রিসভা। ওই মন্ত্রিসভায় সদস্য ছিলেন প্রধানমন্ত্রীসহ ৩৭ জন। পরে ১ মার্চ আরো সাতজন প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দেয়া হয়। পরে মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা হয় প্রধানমন্ত্রীসহ ৪৪ জন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৫ জন মন্ত্রী ও ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। পাঁচ বছরের জন্য মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এ মন্ত্রিসভা প্রায় সাত মাসের মাথায় বিলুপ্ত হলো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

কোহলির ছক্কায় ভাঙল চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের দেয়াল

কোহলির ছক্কায় ভাঙল চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের দেয়াল

আয়নাঘর সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ, প্রয়োজনে যে কাউকে তলব, প্রজ্ঞাপন জারি

আয়নাঘর সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ, প্রয়োজনে যে কাউকে তলব, প্রজ্ঞাপন জারি

ভারত সিরিজে যেসব রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে টাইগাররা

ভারত সিরিজে যেসব রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে টাইগাররা

বাংলাদেশ সিরিজে বিশ্রামে থাকছেন ভারতের যেসব তারকা

বাংলাদেশ সিরিজে বিশ্রামে থাকছেন ভারতের যেসব তারকা

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App