বিএনপিপ্রধান খালেদা জিয়া ‘মুক্ত’ : বঙ্গভবন
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেতক : দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘মুক্তি’ দেয়ার কথা জানিয়েছে বঙ্গভবন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গভবনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের গত সোমবারের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে ‘মুক্তি’ দেয়া হয়েছে।
দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা সোমবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণেই জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এদিন বৈঠকে খালেদা জিয়ার মুক্তির ‘সর্বসম্মত’ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছিলেন।
খালেদা জিয়া ২০২০ সাল থেকে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্ত আছেন। এখন তাকে কোন প্রক্রিয়ায় ‘মুক্তি’ দেয়া হয়েছে, সে বিষয়ে বঙ্গবভনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কিছু বলা হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া ১ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তি দেয়া শুরু হয়েছে এবং এরই মধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছেন।
থাকছেন হাসপতালেই খালেদা জিয়া : গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা জানেন, ম্যাডাম খুব অসুস্থ। আমি গতকাল রাতে দেখা করেছি। সুতরাং যখনই তিনি ফিট মনে করবেন, সুস্থবোধ করবেন, তখন তিনি জনগণের সামনে উপস্থিত হবেন।
দলীয় সূত্র জানায়, আপাতত বিএনপি চেয়ারপারসনের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে শায়রুল কবির বলেন, আপাতত হাসপাতালেই চিকিৎসা চলবে ম্যাডামের।
দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দি ছিলেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার।