শিবিরের কৌশল!
‘মরিচের গুঁড়া ও লাঠি সঙ্গে এনো’
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : ‘সবাই আন্দোলনে আসবে। মরিচের গুঁড়া সঙ্গে এনো। লাঠি নিয়ে আসবে।’ সোমবার রাত থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই এসএমএস দেয়া হয়েছে বারবার। পাশাপাশি প্রতিটি গ্রুপে একটি কমন ম্যাসেজ দিয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সবাইকে নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করতে। এরপর থেকেই ওই এসএমএস পোস্ট করার হিড়িক পড়ে যায়।
কমন ম্যাসেজটি হলো- ‘আস্সালামু আলাইকুম। আমাদের কোনো ব্যাচমেট যদি আজকে বা আগামীতে সাধারণ ছাত্রছাত্রী তথা আমাদের ভাইবোনদের ওপর আক্রমণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাকে আমরা আমাদের ব্যাচ থেকে বর্জন করব এবং আমাদের সঙ্গে কোনো ক্লাস বা পরীক্ষায় সে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তাকে ব্যাচ থেকে সামগ্রিকভাবে বয়কট করা হবে।’ নিচে লেখা রয়েছে- সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ। এরপর নিজ নিজ বিভাগ, সেশন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বসাতে হবে। এরপর হ্যাশট্যাগ দিয়ে কোনো স্প্যাস না দিয়ে পরপর লিখে যেতে হবে- রক্তাক্তঢাবি, কোটাসংস্কারচাই, বাংলাদেশকোটাআন্দোলন, কোটাআন্দোলন২০২৪। এরপর ইংরেজিতে লিখতে হবে- নো মোর কোটা, প্রটেক্ট স্টুডেন্টস, সেভ স্টুডেন্টস, বাংলাদেশ কোটা মুভমেন্ট, ফোকাস অন বাংলাদেশ, ঢাকা ইউনিভার্সিটি এ্যাটাক, ডিইউ আন্ডার এ্যাটাক, কোটা রিফর্ম মুভমেন্ট, নো মোর ইনজাস্টিস।
এসব এসএমএসের ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ঝিলিক ভোরের কাগজকে বলেন, তাদের ক্লাসের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে বারবার মরিচের গুঁড়া এবং লাঠি সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে যেতে বলা হচ্ছে। মরিচের গুঁড়া সঙ্গে নেয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সংঘর্ষ বাঁধলে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ কর্মীদের চোখে যেন ছুড়ে মারা যায়।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সূচি নিজ ওয়ালে পোস্ট করেছেন গ্রুপে পাওয়া কমন এসএমএস। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, তবে কোটা সংস্কার চাই। এখনো কোনো আন্দোলন-মিছিলে আমি যাইনি। কিন্তু আমার সহপাঠীরা আন্দোলন করছে। তাদের রক্ত ঝরছে। তাই পোস্ট শেয়ার করেছি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সুপ্তি কমন এসএসএম শেয়ার করেছেন। এই এসএমএসের উৎস জানতে চাইলে তিনি জানান, ক্লাসের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে পেয়েছেন। ক্লাসের সবাই তাই শেয়ার দিয়েছেন।