×

প্রথম পাতা

গাজা সিটি

ধ্বংসস্তূপ থেকে ৬০ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার

Icon

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ধ্বংসস্তূপ থেকে ৬০ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার

কাগজ ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার গাজা সিটিতে গত এক সপ্তাহের তীব্র অভিযানের পর সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল। গত বৃহস্পতিবার রাতে সেখান থেকে সেনাদের সরিয়ে নেয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও উদ্ধারকারী সংস্থাগুলো গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, তাদের এই অভিযানে এলাকার সড়ক ও বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শেজাইয়া এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ৬০টিরও বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আশপাশের ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক মরদেহ আটকে আছে বলে জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের আলোচনার মধ্যেই গাজা সিটিতে অভিযান চালায় ইসরায়েল। গত বৃহস্পতিবার গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানায়, শহরের এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সৈন্যরা চলে যাওয়ার পর ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা গাজা শহরের শেজাইয়া পাড়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ৬০ জনেরও বেশি মানুষের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। সংস্থাটির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আশপাশের ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো কয়েক ডজন মরদেহ আটকে আছে। ইসরায়েলি বাহিনী আশপাশের ৮৫ শতাংশেরও বেশি আবাসিক ভবন ধ্বংস করে দিয়েছে। শেজাইয়া বর্তমানে একটি দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় পরিণত হয়েছে- যা বসবাসের জন্য উপযুক্ত নয়।

গাজার বাসিন্দা ও উদ্ধারকারী দলগুলো সতর্ক করে বলেছে, কিছু এলাকা থেকে ট্যাংক সরিয়ে নেয়া হলেও, কিছু স্থানে ইসরায়েলি স্নাইপার ও ট্যাংকগুলো উঁচু স্থান নিয়ন্ত্রণ করছে। বাসিন্দাদের সেখান থেকে ঘরে ফিরে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে।

মাহমুদ বাসাল স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে খণ্ড খণ্ড মরদেহ, পুরো পরিবারগুলোর মরদেহ রয়েছে। এমনকি একটি ঘরের মধ্যে পুড়ে যাওয়া একটি পরিবারের মরদেহও রয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার জানায়, তারা গাজা সিটিতে হামাসের সক্ষমতা ধ্বংস করার জন্য অভিযান পরিচালনা করছে। আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে ও বেসামরিক ক্ষতি কমাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে তারা। বেসামরিকদের আড়ালে অবস্থানের ইসরায়েলি অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখা দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে ট্যাংক-বিধ্বংসী রকেট ও মর্টার হামলা চালিয়েছে। এতে কয়েক জন ইসরায়েলি সেনা হতাহত হয়েছে। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।

গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া যুদ্ধের আগে গাজা সিটিতে উপত্যকার মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশেরও বেশি বাস করত। বছরের শেষের দিকে শহরটি বেশির ভাগই ধ্বংস হয়ে যায়। তবে কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তাদের ঘরে ফিরে আসেন। পরে আবারো ইসরায়েল তাদের সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য করে।

গতকাল শুক্রবার সকালে সিভিল ইমার্জেন্সি টিম আগুন নেভানোর পর বেশ কিছু বাসিন্দা ক্ষয়ক্ষতি পরীক্ষা করতে ফিরে আসেন। সংবাদমাধ্যমে আসা বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে ধ্বংসপ্রাপ্ত সড়ক ও ভবন দেখা গেছে। আল-আহলি হাসপাতালে সাদা কাপড়ে মোড়া নামযুক্ত মৃতদেহগুলো মেঝেতে শায়িত ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা মুসা আল-দাহদুহ মনে করেন, ভারী বিমান ও ট্যাংক হামলা চলাকালে ইসরায়েলি বাহিনী তার দুই ছেলেকে, তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং পরে তাদের ছেড়ে দেয়। তিনি বলেন, আমার মা হুইলচেয়ারে, আমার স্ত্রীও। আমার নাতির পা পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তাকে পিঠে করে বহন করতে হয়েছে তার বাবাকে।

হামাস জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণে খান ইউনিসে ব্রিটেন ও তুরস্কভিত্তিক মুসলিম এনজিও আল-খাইর ফাউন্ডেশনের জন্য কাজ করা ৪ ব্যক্তি একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে আসছে। এতে হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৮৮ হাজারেরও বেশি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

‘অন্তর থেকে ভুল বুঝতে পারলে সুযোগ পেতে পারে আ.লীগ’

‘অন্তর থেকে ভুল বুঝতে পারলে সুযোগ পেতে পারে আ.লীগ’

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গ্রেপ্তার

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গ্রেপ্তার

ইউএইয়ের মধ্যস্থতায় রাশিয়া-ইউক্রেনের ২০৬ যুদ্ধবন্দী বিনিময়

ইউএইয়ের মধ্যস্থতায় রাশিয়া-ইউক্রেনের ২০৬ যুদ্ধবন্দী বিনিময়

১৪ সেপ্টেম্বর: সারাদিন যা যা ঘটলো

১৪ সেপ্টেম্বর: সারাদিন যা যা ঘটলো

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App