লেবার সরকারে চাপে অবৈধ বাংলাদেশিরা
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মুনজের আহমদ চৌধুরী, লন্ডন (যুক্তরাজ্য) থেকে : ব্রিটেনে লেবার পার্টি সাধারণ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য বিজয় অর্জন করে ১৪ বছর পর সরকারে তাদের প্রত্যাবর্তন হয়েছে। এই ঐতিহাসিক জয় ব্রিটিশ বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের জন্য ইতিবাচক খবর নিয়ে এসেছে, কারণ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চারজন সংসদ সদস্য তাদের নির্বাচনী এলাকায় পুনর্নিবাচিত হয়েছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, চারজনই লেবার পার্টির সদস্য, যা শ্রমিকদের প্রতি সম্প্রদায়ের জোরালো সমর্থন রয়েছে।
দেশটিতে নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে এবার বাজিমাত করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীরা। লন্ডনের হ্যামস্টেড ও হাইগেট আসন থেকে টানা চতুর্থবার বিজয়ী হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। এই আসনে বিপুলসংখ্যক ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি। এদিকে, টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রিন ও স্টেপনি আসন থেকে টানা পঞ্চমবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রোশনারা আলী। বাংলাদেশি পপলার অ্যান্ড লাইম হাউজ আসন থেকে আপসানা বেগম দ্বিতীয়বার জয়লাভ করেছেন। আর লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল ও একটন আসনে টানা চতুর্থবার জয়ী হয়েছেন ড. রূপা হক। তারা সবাই বিরোধী লেবার পার্টির প্রার্থী।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, লেবার পার্টির জয়লাভ এবং দেশটিতে সরকার গঠনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের খুব একটা হেরফের হবে না। তবে দেশটিতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। কারণ ব্রিটেনে ঋষি সুনকের সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশে সরকারের একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তির ফলে দেশটিতে অবৈধ বাংলাদেশিরা থাকতে পারবেন না। লেবার পার্টি সরকারে আসায় এখন সেই চুক্তিগুলো বাস্তবায়ন করবে। এতে বাংলাদেশিদের চাপ থাকবে। এছাড়া গত কনজারভেটিভ সরকারের আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে আসামি আদান-প্রদানের ব্যাপারেও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এসব চুক্তি কার্যকর হলে তারেক জিয়ার লন্ডনে থাকা সম্ভব হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যারা জয়ী হয়েছেন- তাদের মধ্যে রুশনারা আলী বা টিউলিপ সিদ্দিককে পরবর্তী সময়ে মন্ত্রিসভায় লেবার নেতা স্যার কির স্টারমার নিয়োগ করতে পারেন। আর এটি হলে যুক্তরাজ্য সরকারের মন্ত্রী হিসেবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ইতিহাস তৈরি করবে।