×

প্রথম পাতা

বেইলি রোডে আগুন

কাচ্চি ভাইয়ের মালিক সিরাজ গ্রেপ্তার

Icon

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর মালিক সোহেল সিরাজকে ২ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরই অভিবাসন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির কাছে হস্তান্তর করে। এ নিয়ে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। গতকাল সাংবাদিকদের উদ্দেশে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজামউদ্দিন ফকির বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন সোহেল সিরাজ। সঙ্গে সঙ্গেই অভিবাসন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির কাছে হস্তান্তর করে। তিনি বলেন, বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় হওয়া মামলায় গতকাল সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে সোহেল সিরাজকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড চায় সিআইডি। শুনানি শেষে আদালত তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামে আটতলা ভবনে আগুন লাগে। ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছিল বিরিয়ানির দোকান কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ। এছাড়া ভবনটির অন্যান্য তলায়ও ছিল অনেকগুলো খাবারের দোকান। সাপ্তাহিক ছুটির আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে ভবনটিতে ছড়িয়ে পড়া আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮ জন নারী ও ৮ শিশু ছিল। তারা সবাই খাবার খেতে ভবনটির বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় ভবনটিতে থাকা ফাস্ট ফুড দোকান চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক (২৯), কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের মালিক সোহেল সিরাজ (৩৪) ও ভবনের ম্যানেজার মুন্সি হামিমুল আলম বিপুলকে (৪০) আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, আগুনে পুড়ে যাওয়া গ্রিন কোজি কটেজের মালিক আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ। ভবনটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন মুন্সি হামিমুল আলম। নিয়ম ভঙ্গ করে ভবনটিকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য ভাড়া দেয়া হয়েছিল। আসামিরা অবৈধভাবে সেখানে রেস্টুরেন্ট খুলে ব্যবসা করছিলেন। আগুন লাগার কারণ হিসেবে এজাহারে বলা হয়, ভবনটির নিচ তলায় থাকা রেস্টুরেন্টে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে প্রথমে আগুন লাগে। পরে তা পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন না করে গ্যাসের সিলিন্ডারগুলো সেখানে মজুত করে রাখা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে আরো জানা যায় যে, গ্রিন কোজি কটেজ আবাসিক ভবন হিসেবে নির্মিত হলেও পরবর্তীতে উল্লেখিত আসামিরা বিভিন্ন ফ্লোরে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য বাণিজ্যিক সনদ সংগ্রহ করেন। রেস্টুরেন্টের মালিকরা রান্না করার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার বা চুলা ব্যবহারে ফায়ার সার্ভিস থেকে অনুমতি নেননি। রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণের জন্য পর্যাপ্ত ফায়ার এক্সটিংগুইশারসহ অন্যান্য ফায়ার ফাইটিং যন্ত্রপাতি ছিল না। এমনকি ভবনটিতে ফায়ার এক্সিট সিঁড়িও নেই। মামলাটি এখন তদন্ত করছে সিআইডি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App