×

ফ্যাশন

পোশাকে হ্যাপেনিং ভাইব!

Icon

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পোশাকে হ্যাপেনিং ভাইব!
নাজমুল হক ইমন গ্রীষ্মকালে সবার আগে আরাম ও স্বস্তিকে দিতে হবে প্রাধান্য। তবে সেটা স্টাইলের সঙ্গে আপস না করেই। গরমে সবারই উচিৎ ঢিলেঢালা পোশাক পরা। যত ঢোলা তত ভালো। ঢিলেঢালা পোশাকের ভেতর দিয়ে খুব সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে। এতে পরিধানে আরাম পাওয়া যায়। অনেকেই ভাবেন ঢিলেঢালা পোশাকে ঠিকমতো স্টাইল করা যায় না। কথাটা মোটেও ঠিক নয়। ঢোলা বা ওভারসাইজ পোশাক এখন ট্রেন্ডি। এ ধরনের পোশাক স্টাইল করা যায় হাজারভাবে। তবে সময় ও মুডের উপর নির্ভর করে গরমের ফ্যাশনে নিরীক্ষাধর্মী কাজ করছে দেশীয় রেডি টু ওয়ার ব্র্যান্ডগুলো। কাপড়ের রঙে প্রাধান্য এই গরমে হালকা রঙের পোশাক বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। হালকা রঙের পোশাক পরলে যেমন আরাম, তেমন চোখকেও দেয় প্রশান্তি। এর ভেতর সাদা রঙের পোশাক গরমের জন্য সবচেয়ে আরামদায়ক। কারণ, এর তাপ শোষণের ক্ষমতা খুব কম। স¤প্রতি জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের গবেষক বিজ্ঞানী তোশিয়াকি ইচিনোজের একটি গবেষণার ফলাফল বেরিয়েছে, যেখানে তিনি ও তাঁর গবেষক দল মিলে বের করেছেন কোন রঙের পোশাক তীব্র গরম ও রোদে স্বস্তি দিবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সাদার পর হলুদ, ধূসর ও লাল রঙের কাপড় শরীর ঠান্ডা রাখে। তাই গরমের জন্য গোলাপি, বেগুনি, নীলের হালকা শেডের পোশাক বেছে নেওয়া যায়। স্বস্তি সুতি কাপড়ে এমন আবহাওয়ায় সবচেয়ে ভালো সুতি কাপড়ের পোশাক। এর কোনো বিকল্প নেই। সুতি কাপড়ের ভেতর দিয়ে বাতাস চলাচল করতে পারে। এ ছাড়া এর ঘাম শোষণক্ষমতাও বেশি। সুতির পরই গরমে আরামদায়ক কাপড়ের দৌড়ে এগিয়ে নরম লিনেন। এ ছাড়া বেছে নিতে পারেন খাদি, ভিসকস, ধুপিয়ান, শিফন, সিল্কের পোশাক। গরমে কোনোভাবেই ভারী ও সিনথেটিক কাপড়ের পোশাক পরা উচিৎ নয়। পোশাকের ধরন এই সময় মেয়েরা বেছে নিতে পারেন ঢিলেঢালা কামিজ, কুর্তি, টিউনিক, টপস। ফুলহাতার পোশাক না পরে হাফহাতা বা স্লিভলেস পোশাক পরতে পারেন। বটম হিসেবে এখন পালাজ্জো, ধুতি সালোয়ার, ওয়াইড লেগড জিনস বা গ্যাবার্ডিনের প্যান্ট, লম্বা স্কার্ট খুব চলছে। এগুলো গরমে পরতেও বেশ আরামদায়ক হবে। ট্রেন্ড হিসেবে এখন মিডি ও ম্যাক্সি ড্রেসের জনপ্রিয়তা অনেক। ছেলেরা এই সময় একরঙা, ছাপা বা চেকের ঢিলেঢালা শার্ট পরতে পারেন। এ ছাড়া ক্যাজুয়াল পোশাক হিসেবে সুতি কাপড়ের ফতুয়া বা শর্ট পাঞ্জাবিও পরা যেতে পারে। এগুলোর সঙ্গে স্ট্রেট কাট জিনস ও চিনো খুব ভালো মানায়। গরমে ছোট-বড়, নারী–পুরুষ সবার জন্য আরামদায়ক পোশাক হলো টি–শার্ট। অন্যদিকে এখন আমাদের দেশে ছেলে ও মেয়ে উভয়কেই হাওয়াই ও কিউবান শার্ট পরতে দেখা যাচ্ছে। এ ধরনের শার্ট গরমে স্টাইল ও স্বস্তি দুটিই দিতে পারে। পুরুষের গ্রীষ্মের পোশাকে সারাবছর দেশের ফ্যাশন হাউসগুলোয় গরমের পোশাক বিক্রি চলছে এখন। গরম আর বৃষ্টির কারণে দেশের প্রকৃতি এখন নানা রঙে বর্ণিল। প্রকৃতির এই রঙের কারণেই আলাদা করে ঝলমলে রঙের পোশাক পরার দরকার পরে না। তাই পোশাকের রং কিছুটা হালকাই রাখেন ডিজাইনাররা। আর অফিস বা সারাদিন ফুরফুরে থাকতে বেছে নিতে পারেন টি-শার্ট বা পোলো বা শার্টের মতো পোশাক। জিনস বা গ্যাবার্ডিন প্যান্টের সঙ্গে এগুলো মানিয়েই যাবে। কাটে-ছাঁটে নতুন এসব দিব্যি স্টাইলিশ দেখাবে আপনাকে। ফ্যাশন ব্র্যান্ড ক্যাটস আই এর পরিচালক সাদিক কুদ্দুস বলেন, ‘গরমে ফ্লোরাল মোটিভ খুব জনপ্রিয় তরুণদের পোশাকের ক্যানভাস হিসাবে। তবে ফরমাল বা ক্যাজুয়াল ড্রেসআপ ভিন্নতর হতে পারে পরিবেশ এর নির্ভর করে। বাকি সময় বা রাতের কোন দাওয়াতে গেলে পোলো, শার্টের চাহিদাও থাকে গরমের সময়টায়। এবার যেমন গরমের কারণে রঙ এবং প্রিন্টের দিকে নজর দেয়া হয়েছে। প্যাটার্ন নিয়েও চলছে নানা ধরনের নিরীক্ষা। এছাড়াও এধরনের পোশাক গরম ছাড়াও সারা বছরই পরাও যায়। ইদানিং পলো টি-শার্ট এবং শার্টের ক্ষেত্রে এক কালার বেশ চলছে।’ ফ্যাশন হাউস জেন্টল পার্কের চেয়ারম্যান শাহাদৎ চৌধুরী বাবুর সঙ্গে কথা বলেও তেমনটা বোঝা গেল। তিনি বলেন, বিষয়টা কিন্তু এমন না; যে গরমে ছেলেদের পোশাকে শুধু সাদা রং চলছে। সব রঙের দেখা মিলবে গরমের পোশাকে। তবে সেখানে গাঢ় রং না নিয়ে সব ধরনের রঙেরই হালকা শেড বেছে নেয়া হয়। এতে গরমে এক ধরনের স্বস্তি পাওয়া যায়। এবার আসি গরমের পোশাকেই কেন সারা বছর। কেননা, সকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে গরমের তীব্রতা। নানা কাজে ছুটতে হয় ঘরের বাইরে। প্রচণ্ড গরমে একদিকে যেমন চারপাশের সবকিছুতে অস্থির লাগে তেমনি ঘেমে নেয়ে একাকার হয় পুরো শরীর। এই প্রচণ্ড গরম থেকে ছেলেদের কিছুটা রেহাই পেতে তাই নজর দিতে হবে নিত্যদিনের পোশাকের দিকে। এধরনের আবহাওয়ায় কেমন পোশাক পড়লে গরম কম লাগবে এবং পোশাকে কী কী বৈশিষ্ট্য থাকবে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নারীর জন্য গরমে চাই আরাম গরমে পোশাকের কাট-ছাঁটেও চলে এসেছে নতুনত্ব। এই গরমে দেবে আরাম এমন কাপড়ের কদর বেড়ে গেছে। পোশাকে ড্রেপিং বা ড্রাফটিং কাট প্যাটার্ন বৈচিত্র্য ডিজাইনারদের মুন্সিয়ানায় পাচ্ছে ভিন্নতা। কেমন হবে রোদ বৃষ্টির এই গরমে যাপিত জীবনের ফ্যাশন ট্রেন্ড বা সাজ- পোশাক? ডিজাইনারদের বয়ানে, এমন সময়ে পোশাক হতে হবে হালকা রং, পাতলা কাপড়, আরামদায়ক কাটে তৈরি। দৈনন্দিন কাজকর্ম, বন্ধুদের আড্ডা বা নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে তাই একটু আরাম পেতে হলে পোশাকে এই বিষয়গুলো যেন থাকতেই হবে। বেশ ক’বছর ধরেই উপমহাদেশীয় ফ্যাশনধারার অনুসারে ম্যাক্সি ড্রেস, গাউন স্টাইল সিঙ্গেল কামিজ বা লং প্যাটার্ন পোশাক চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে আমাদের দেশের তরুণীদের কাছেও এই ট্রেন্ড জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গরমের সময় এই পোশাক বেশ আরামদায়ক হবে, আর ট্রেন্ডি তো বটেই। তবে ফ্যাশনে সময়টা যেহেতু গ্রীষ্মকাল, সেহেতু বডি কাটিংয়ে দুই-চারটা নতুনত্ব তো চোখে পড়েই। তাও পূর্ব ফ্যাশনের বাইরে নয়। তেমনি কিছু ডিজাইনের মধ্যে ঢোলা, কার্ভ স্লিভ, বেল স্লিভ উল্লেখ্য। নেকের পরিবর্তন দেখা যায় বেশ। সেমি বোট নেক, পরট্রেইট, জুয়েল, স্কয়ার, গেদার্ড নেক, সেট ইন স্লিভ নেকের মতো প্যাটার্নেও উন্নত ডিজাইন বেশি দেখা যায় এখন। নেকে এমব্রয়ডারি, প্রিন্টের কাজ এখন ফ্যাশনের বাইরে। তবে বডিতে হালকা কাজ ট্রেন্ডের মধ্যেই। লং কাটের কুর্তি, টপস বা লং পোশাক সবকিছুতেই আভিজাত্য নিয়ে আসবে। মানিয়ে যাবে দিনে ও রাতে দুই সময়েই। এদিকে আন্তর্জাতিক ফ্যাশনেও চলছে এখন হাতার নকশা বৈচিত্র্য। মজার বিষয় হচ্ছে, একই ধাঁচের নকশার হাতা ব্যবহার করা যায় কামিজ বা সিঙ্গেল কুর্তিতে। পোশাক : সেইলর

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App