থ্রিলারধর্মী সিরিজে নীল-তৃণা
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
এক ব্যর্থ লেখক। থাকেন থাইল্যান্ডের পাতায়াতে। বড় প্রকাশককে দিয়ে বই ছাপানোর চেষ্টা করেও বারবার ব্যর্থ হয়েছেন। হতাশায় ডুবে সবার থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্য লেখক যান ফিফি দ্বীপে। সেখানে আকস্মিক তার দেখা হয়ে যায় এক বিচিত্র ব্যক্তিত্বের সঙ্গে। বাঙালি এই ভদ্রলোক আবার কিছুটা পাগলাটেও বটে! ফলে প্রবাসে দুই বাঙালির বন্ধুত্ব গড়ে উঠতেও বেশি সময় লাগেনি। কথায় কথায় লেখক জানতে পারেন, ওই পাগলাটে ভদ্রলোকের লেখা প্রথম বইটি এক নামজাদা প্রকাশনা একটা বড়সড় অঙ্ক দিয়ে ছাপছে। আর এখান থেকেই নতুন এক মোড় নেয় গল্পের প্রেক্ষাপট। এর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটে যায় কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এসব কিছুর উত্তরই মিলবে ক্লিক ওটিটির প্রথম আন্তর্জাতিক স্তরের রহস্যময় ওয়েব সিরিজ ‘মিল্কশেক মার্ডার্স’ এ। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এই রুদ্ধশ্বাস থ্রিলারধর্মী সিরিজের ট্রেলার। চলতি মাস অর্থাৎ জুলাইতেই ক্লিকে এক্লক্লুসিভ স্ট্রিমিং হতে চলেছে এই সিরিজের। পরিচালনা করেছেন অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি গল্প, চিত্রনাট্য, চিত্রগ্রহণ, আবহ সংগীত, সম্পাদনা, রং বিন্যাসের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। এই সিরিজটি প্রযোজনা করেছেন ঐন্দ্রিলা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই সিরিজে অভিনয় করতে দেখা যাবে সৌরভ দাস, নীল ভট্টাচার্য, তৃণা সাহা এবং জয়ী দেব রায়কে। এর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করবেন অলোক সান্যাল, তপস্যা দাশগুপ্ত, জয়ন্ত মণ্ডল, রানা মুখোপাধ্যায়, অগ্নিভ জুন বন্দ্যোপাধ্যায়, অঙ্কিতা রায়, চয়ন দে এবং সহেলি মণ্ডল। এই সিরিজে সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন প্রতীক রায়। আর সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন মণিশঙ্কর দেবনাথ এবং অগ্নিভ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর্ট ডিরেকশনের দায়িত্বে ছিলেন সুভারতী বিশ্বাস। সাউন্ড ডিজাইন এবং ভিএফএক্স করেছেন তীর্থঙ্কর মজুমদার এবং রজত দলুই। সিরিজের পোশাক পরিকল্পনা করেছেন নন্দিনী সেনগুপ্ত। আর মেকআপের দায়িত্বে রয়েছেন রাজদীপ। পরিচালক অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘মিল্কশেক মার্ডারস নতুন যুগের দ্রুতগতি সম্পন্ন এক ব্যতিক্রমী থ্রিলার। এর চরিত্রগুলো ভাগ্যের হাতে আকস্মিক সাফল্যের খেলায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত নিরাশা আর নিদারুণ যন্ত্রণার জালে জড়িয়ে পড়ে চরিত্রগুলো। প্রথমবার ক্লিকের সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে কাজটা করে যথেষ্ট আনন্দ পেয়েছি। এখানে অবশ্যই উল্লেখ করব কলাকুশলীদের কথা। তারা এভাবে পাশে থেকে সহযোগিতা না করলে এই কাজটা করা সম্ভব ছিল না।’ অভিনেতা সৌরভ দাস বলেন, ‘কাটাকুটি এবং পিকাসোতে অভিনয় করার পরে এটি ক্লিকের সঙ্গে আমার তৃতীয় সিরিজ। আর প্রতিটি সিরিজেই আমার চরিত্রায়ন অনন্য, মৌলিকভাবে ভিন্ন এবং আকর্ষণীয়। আউটডোর শুটিংয়ের সময়সূচি খুব কঠিন ছিল। কিন্তু পরিচালক অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার প্রথম আউটডোরে শুটিং যাওয়ার অভিজ্ঞতাটি অসাধারণ।’ অভিনেতা নীল ভট্টাচার্যের কথায়, ‘এই সিরিজটি খুবই স্পেশাল এবং বিভিন্ন কারণে আমার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি। একজন অভিনেতা হিসেবে ছোট পর্দায় বেশ কয়েক বছর কাটানোর পর ওয়েব সিরিজে এটাই আমার প্রথম পদার্পণ। আমি আমাদের পরিচালক অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ক্লিকের কাছে কৃতজ্ঞ, তারা আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন এবং আমাকে এই ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রকে তুলে ধরার আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন।’
অভিনেত্রী তৃণা সাহার বক্তব্য, ‘এটি ক্লিকের সঙ্গে আমার দ্বিতীয় সিরিজ। আর আমার উভয় কাজই প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ঐন্দ্রিলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিমের সঙ্গে ছিল। আন্তর্জাতিক লোকেশনে শুট করা আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ। আর এই ওয়েব সিরিজে আমার স্বামী নীলের সঙ্গেও আমার প্রথম কাজ। আমি খুব উৎসুকভাবে এর জন্য অপেক্ষা করে রয়েছি।’
ক্লিক ওটিটির ডিরেক্টর নীরজ তাঁতিয়া বলেন, ‘দর্শকদের কাছে থ্রিলার স্ক্রিপ্টের চাহিদার একটা উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। লেখক, পরিচালক, সিনেমাটোগ্রাফার এবং সম্পাদক হিসেবে অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায় একজন অসাধারণ সৃজনশীল কিউরেটর। জনপ্রিয় অভিনেতা সৌরভ দাস, নীল ভট্টাচার্য, তৃণা সাহা এবং জয়ী দেব রায়ের সঙ্গে এই সিরিজ বানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা এই সিরিজে দর্শকদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। প্রেম, প্রতারণা, বিভ্রাট এবং দ্বিধার আবেগে বিস্তৃত ক্যানভাসকে চিত্রিত করবে এই সিরিজ।’
:: মেলা ডেস্ক