জেলে বসে প্রেমপত্র লিখছেন জ্যাকুলিনের প্রেমিক
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কয়েক বছর ধরে বারবার ইডির জেরার মুখে পড়ছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। এবার ফের সেই সুকেশ চন্দ্রশেখরের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বলিউডের অভিনেত্রীর নামে জারি হয়েছে সমন। বুধবার সেই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিনেত্রীকে ডাকল ইডি। ২০০ কোটি প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় জ্যাকুলিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারকরা। গত ৩ বছর ধরে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় জ্যাকুলিন জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন। সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার যে প্রতারণা মামলায় চলছে, সেই মামলাতেই নাম জড়িয়েছে জ্যাকুলিনের। এক বেসরকারি স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তা শিবিন্দর মোহন সিংহের স্ত্রী অদিতি সিংহের থেকে ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে সুকেশের বিরুদ্ধে। সেই সময় সুকেশের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন জ্যাকুলিন। ইডির দাবি, সুকেশ জালিয়াতি করা টাকায় জ্যাকলিনের জন্য দামি উপহার কিনতেন। ২০২২ সালে দায়ের করা চার্জশিটে দাবি করা হয়, জ্যাকলিন সুকেশের অপরাধ সম্পর্কে অবগত হয়েও ওই সমস্ত দামি উপহার, মূল্যবান গয়না নিতেন। এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই জ্যাকুলিনকে পাঁচবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। বুধবার আবার ডাকা হয় তাকে। অভিনেত্রীর দাবি, সুকেশের সঙ্গে তার বর্তমানে কোনো সম্পর্ক নেই, অথচ বারবার তার কাছে আসার চেষ্টা করছে সুকেশ। এমনকি আদালতের কাছে নিরাপত্তাও চেয়েছেন অভিনেত্রী। দিল্লি পাতিয়ালা হাউস কোর্টে মামলা করে সুকেশের থেকে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন জ্যাকুলিন। নায়িকার দাবি, জেল থেকেই একের পর এক চিঠি লিখে তাকে উত্ত্যক্ত করছে সুকেশ। এই মুহূর্তে যে জেলে রয়েছে সুকেশ সেখান থেকে একাধিক প্রেমপত্র লিখছে সুকেশ। যদিও সুকেশের সঙ্গে তার সম্পর্কের কারণে এখনো সব সময় তার ওপর নজরদারি রেখেছে গোয়েন্দা সংস্থা। এবার দিল্লির উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছিলেন জ্যাকুলিন। আবেদনে তিনি দাবি করেন, ‘ইডি যেসব নথি দাখিল করেছে, তাতেই প্রমাণিত তিনি সুকেশের ষড়যন্ত্রের শিকার। তাকে ঠকানো হয়েছে, ফাঁসানো হয়েছে। যদিও সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। এমনকি দেশ ছাড়ার জন্যও ইডির অনুমতি দরকার হয় জ্যাকুলিনের।
:: মেলা ডেস্ক