মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি : মতলব উত্তর উপজেলায় অটোরিকশা চালক মো. খবির উদ্দিন হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামিদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নে মান্দারতলী গ্রামে মৃত গোলাম মোর্তজার ছেলে খবির উদ্দিনকে (৩৫) হত্যা করে মান্দারতলী বেপারি বাড়ির সামনে খালে ফেলে রাখা হয়।

এ ঘটনায় নিহত খবির উদ্দিনের স্ত্রী মাসুদা আক্তার বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় বায়েজিদ সরকারকে প্রধান আসামি করে ২৩ জনের নামোল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ৫-৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

এ মামলায় আবদুর রহমান ও তৌহিদুল ইসলাম সৈকত নামে পিতা ও পুত্রকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে একই গ্রামের বেপারি বাড়ির পুরুষ লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন।

এই সুযোগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদের বাড়িতে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সরজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বেপারি বাড়ির ৪টি ঘরের আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ ধান-চাল, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার পরে ঘরগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা এবং একটি ভবনের জানালা দরজা ভাঙচুর করা হয়। এতে সিটু বেপারির ছেলে আল আমিন বেপারি গুরুতর আহত হয়ে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাতে খবির উদ্দিন হত্যার সন্দেহে ওবায়েদ বেপারি, মামুন বেপারি, মাসুদ বেপারি, সাকিল বেপারির বসত ঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় এবং সোহেল বেপারির ঘরের জানালা ভাঙচুর করেন প্রতিপক্ষরা।

বসত ঘরে আগুন দেয়া নারী ও শিশুরা প্রাণে বাঁচলেও ঘরে থাকা যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় ফার্নিচার, ফ্রিজ, টিভি, হাঁস, মুরগিসহ অন্তত ৫০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষতি হয়েছে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মতলব উত্তর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সানোয়ার হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।