প্রধান শিক্ষককে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানোর অভিযোগ
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : জেলার দৌলতপুর উপজেলার খলসী ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর জিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করানোর অভিযোগ উঠেছে। সরজমিন জানা যায়, ২৫ তারিখ দুপুর ১২টায় স্থানীয় জনতা, বিএনপি নামধারী কর্মী এবং ওই স্কুলের সাবেক সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান করে বিক্ষোভ মিছিল করে।
এ সময় ওই বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করা রিপন (২১) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে তাদের ১১ দফা দাবি জানান। এছাড়া রিপনসহ অন্য বহিরাগত ছাত্ররা প্রধান শিক্ষকের কাছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে থাকে। এ সময় উপস্থিত বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী, স্কুলের কিছু সাবেক শিক্ষার্থী, স্থানীয় লোকজন, কিছু অভিভাবক অফিস কক্ষে হইচই করতে থাকে। এ আন্দোলনের মূল সংগঠক সাবেক শিক্ষার্থী রিপন (২১) জানায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বেচ্ছায় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। আপনারা একটি পক্ষের হয়ে কাজ করেছেন এবং প্রধান শিক্ষককে হেনস্তা করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছেন এমন প্রশ্ন করা হলে রিপন কোনো উত্তর দেননি।এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, নিষ্ঠার সঙ্গে আমি দীর্ঘ নয় বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। সাম্প্রতিক সময়ে এলাকার একটি কুচক্রী মহল কিছু সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে আমার অফিস কক্ষে ঢুকে আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। আমাকে হুমকি দিয়ে জোর করে কাগজে স্বাক্ষর নেয়। বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র রাখা আলমারির চাবি নিয়ে নেয়। আমি শারীরিক লাঞ্চনার হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং প্রাণ বাঁচাতে চাবি ও স্বাক্ষর দিয়েছি। পরবর্তীতে লিখিতভাবে আমি ইউএনও স্যারের কাছে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়েছি। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিয়ান নুরেন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। কোনো শিক্ষককেই জোর করে পদত্যাগ করানো যাবে না এবং হেনস্তা করানো যাবে না। যদি কারো বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ থাকে সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা
নেয়া হবে।