টুঙ্গিপাড়ায় সরকারি জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি : টুঙ্গিপাড়ায় সরকারি গুচ্ছগ্রামের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করে ক্যারাম খেলার নামে জুয়ার ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় চাঁন মিয়া নামে এক ব্যক্তি ও তার ৫ ছেলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, পাশের সরকারি জায়গায় আরো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের চেষ্টা করছেন। এতে স্থানীয়রা বাধা দিলে উল্টো তাদের হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় গতকাল রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে একই এলাকার বেলায়েত ফকির।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৯-১০ সালে টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া সড়ক নির্মাণ করতে গিমাডাঙ্গা মৌজার বিআরএস ১২০৩৩ দাগে চান মিয়া ও তার শরিকদের ১৩ শতক জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। এছাড়া ওই সড়কের পাশে রয়েছে সরকারি গুচ্ছগ্রাম। সেই জায়গায় ২-৩ বছর আগে থেকে চাঁন মিয়া ও তার ছেলেরা দোকান নির্মাণ করে ক্যারাম খেলার নামে জুয়ার ব্যবসা পরিচালনা করছেন। বর্তমানে সেই দোকানের পাশে আরো দোকান নির্মাণের বালি ও মিস্ত্রি এনে মাপামাপি করছেন। এতে স্থানীয়রা বাধা দিলে চাঁন মিয়া ও তার ছেলেরা উল্টো তাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।
অভিযুক্ত চাঁন মিয়ার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে ফয়সাল ফকির বলেন, এলএ কেস নাম্বার ০৫/ ২০০৯-১০ মূলে এই জায়গা সরকার অধিগ্রহণ করে। তখন প্রত্যেকেই যার যার অংশের টাকা তুলে নিয়ে গেছে।
এখন এই জায়গা সরকারি খাস সম্পত্তি হওয়ার পরেও দোকান নির্মাণ করে ক্যারাম বোর্ড জুয়া পরিচালনা করছে। এছাড়া যুব উন্নয়নের জায়গাও দখল করে দোকান দিয়ে ভাড়াও খাচ্ছে তারা। সরকারি সম্পত্তি দখল করার অধিকার কারো নেই।
লিখিত অভিযোগকারী একই গ্রামের বেলায়েত ফকির বলেন, চাঁন মিয়া একজন ভূমিদস্যু হিসেবে চিহ্নিত। তিনি এভাবেই বিভিন্ন সরকারি সম্পত্তি দখল করে দোকান নির্মাণ করে সেগুলো ভাড়া দিয়ে টাকা নেয়। গুচ্ছগ্রামের জায়গা দখল করেছে, এখন তার পাশের জায়গাও দখলের পাঁয়তারা করছে। তাই খাস সম্পত্তির উপরে অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণকারীদের শাস্তির দাবি জানাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চাঁন মিয়া ওই স্থানে তার কিছু জায়গা আছে দাবি করে বলেন, আমি ওখানে বালি ভরাট করেছি কিছু চলা (জ¦ালানি) রাখার জন্য। কোনো দোকানঘর উঠাব না। সবাইকে এ ব্যাপারে ভুল বোঝানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈকত রায়হান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আর সরকারি জায়গা দখল করা অপরাধ। সরজমিন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।