দুই সিএনজি স্টেশনে গ্যাসের সঙ্গে দেয়া হচ্ছে বাতাস
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিকুল চক্রবর্তী, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) থেকে : শ্রীমঙ্গলের দুটি সিএনজি স্টেশনে গাড়িতে গ্যাসের সঙ্গে বাতাস ভরে দেয়ার প্রতারণার অভিযোগে ফুঁসে উঠেছেন ড্রাইভার ও শ্রমিকরা। ড্রাইভার, শ্রমিকদের জিম্মি করে গ্যাসের সঙ্গে ৩০ ভাগ বাতাস দিয়ে প্রতিদিন বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সিএনজি স্টেশন মালিকরা। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন ড্রাইভার ও শ্রমিকরা। তারা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ড্রাইভাররা অভিযোগ তুলে বলেন, শ্রীমঙ্গল শহরতলীর হবিগঞ্জ সড়কে সখিনা সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে ও উপজেলার মৌলভীবাজার সড়কে কালাপুর মেরিগোল্ড ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নিলে গ্যাসের সঙ্গে বাতাস দিয়ে প্রতারণা করা হয়। এটা হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। কাালিঘাট রোড সিএনজিচালক সমতির সাধারণ সম্পাদক রুমন হোসেন জানান, দীর্ঘদিন তারা এ ধরনের প্রতারণার শিকার। তিনি বলেন, বিগত সরকারের লোকজনের সঙ্গে আতাঁত করে ওজনে গ্যাস কম দিয়ে বাতাস ভরে দেয়ায়, তারা ক্ষতিগস্ত। এতে গরিব সিএনজিচালকরা দিন শেষে বাজারের খরচের টাকা তুলতে পারেন না। প্রায় সময় শতকরা ৫০ ভাগ গ্যাস কম দেয়া হয়। এ ব্যাপারে মাইক্রোবাস চালক নাসির উদ্দিন এবং সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, সিএনজি স্টেশন দুটি থেকে ১ হাজার টাকার গ্যাস ভরলে ৩০০ টাকার গ্যাসের হিসাব পাওয়া যায় না। জেলার অন্য পাম্প থেকে গ্যাস ভরলে শ্রীমঙ্গলের পাম্প থেকে ভরা গ্যাসের সঙ্গে ৩০০ টাকার গড়মিল পাওয়া যায়। তারা বলেন, এখন কোনো রাজনৈতিক সরকার নেই। দেশ চলছে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে। এই সরকারের কাছে তারা এ দুর্নীতি বন্ধ করার দাবি জানান।
শ্রীমঙ্গল বিষামনী সড়কের সিএনজিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন বলেন, উল্লেখিত বিষয়ে তারা সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। দ্রুত এই দুর্নীতি বন্ধ করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশা করি। ইউএনওর কাছে একই অভিযোগ দিয়েছেন শ্রীমঙ্গল হবিগঞ্জ রোড সিএনজিচালক সমিতি ও শ্রীমঙ্গল কাালিঘাট রোড সিএনজিচালক সমিতি।
সখিনা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিক শের আলী হেলাল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এমন অভিযোগে গত ২৮ ও ২৯ আগস্ট পৃথক দুই দিন সিলেট জালালাবাদ গ্যাসের ভিজিলিস্ট টিম তাদের পাম্প পরীক্ষা করে কোনো অনিয়ম পাননি বলে মন্তব্য খাতায় লিখে গেছেন। অন্যদিকে শ্রীমঙ্গল মেরিগোল্ড সিএনজি পাম্পের মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, তাদের সংযোগ মেইন লাইন থেকে শুধু গাড়ির লম্বা লাইন হলে পেশার কমে যায়। এটা মাঝে মধ্যে হয় সব সময় না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তালেব জানান, তিনি পৃথক অভিযোগ পেয়েছেন। তবে শ্রীমঙ্গল থেকে এটি পরীক্ষা করার কোনো এক্সপার্ট টিম নেই। তিনি পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বা সংশ্লিষ্ট বিভাগে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।