×

এই জনপদ

রাজাপুরে স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর কারণ জানতে চান মা

Icon

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি থেকে : ঝালকাঠির রাজাপুরে এক বছর আগে ইউসুফ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিনথিয়া আক্তারের (১৪) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখন ওই মৃত্যুর কারণ জানতে চান সিনথিয়ার মা। একই সঙ্গে মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের দাবি করেন তিনি। গতকাল রবিবার দুপুরে সিনথিয়ার মা আসমা বেগম শহরের একটি রেঁঁস্তোরায় সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান। সিনথিয়া আক্তার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট কৈবর্তখালী এলাকার মো. মিজানুর রহমানের মেয়ে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আসমা বেগম বলেন, গত বছরের ২৪ আগস্ট আমার ছোট মেয়ে সিনথিয়ার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্বজনরা। সেই সময়ে আমি চাকরির সুবাদে ঢাকায় ছিলাম এবং সিনথিয়া তার দাদির কাছে থেকে লেখাপড়া করত। উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পুটিয়াখালী এলাকার মহারাজ তালুকদারের ছেলে রাকিব তালুকদারের সঙ্গে আমার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে, যা শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়। একপর্যায়ে রাকিব বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মানসিক নির্যাতন শুরু করে। কিন্তু সিনথিয়াকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল নাকি মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছে জানতে পারিনি। রাকিবের কারণেই আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ মৃত্যুর দায় সে কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।

তিনি বলেন, আমার মেয়ের মরদেহ হাসপাতালে থাকা অবস্থায় রাজাপুর থানার এসআই হেলাল মেয়ের স্কুলে গিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে এবং আমার বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং তাদের ভয়ভীতি দেখান। আসমা বলেন, ২৪ আগস্ট রাতেই রাজাপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয় এবং সেই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় এসআই রফিককে। এসআই রফিক আমার মেয়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আনার জন্য ৭ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন আমার কাছে। পরে আমার মেয়ের বিদ্যালয়ের শিক্ষককে দিয়ে ডেকে রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এনে অভিযুক্তদের পক্ষে ইন্দ্রপাশার নান্নু হাওলাদার টাকার বিনিময়ে আপোস মিমাংসার অফার দেন। অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিলে বলে ছোট মেয়ের ভালো চাইলে চুপচাপ থাকতে। ১ বছর ধরে আমি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য এসআই রফিকের কাছে বারবার বললেও তিনি কোনো পাত্তা না দিয়ে উল্টো আমাকে গালাগাল করেন। এখন এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন করে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন আসমা বেগম। রাজাপুর থানার এসআই হেলাল বলেন, তৎকালীন ওসি পুলক চন্দ্র রায়ের নির্দেশে তাৎক্ষণিক ওই ছাত্রীর বাড়ি ও স্কুলে গিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করি আমি। এ কারণে ওই ছাত্রীর মা আমাকে দিয়ে মৃত্যুর কারণ ও অপমৃত্যুর মামলাটি তদন্ত করার দাবি করেছিলেন। বর্তমানে ঘটনাটির তদন্তের দায়িত্ব এসআই রফিক পাওয়ায় আসমা বেগম এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। রাজাপুর থানার এসআই রফিক টাকা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে ময়নাতদন্তে রিপোর্ট এসেছে। যার অনুলিপি ওই ছাত্রীর মাকে নিতে বলা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

মমতাকে সামাজিকভাবে বয়কটের ঘোষণা দিলেন গভর্নর

মমতাকে সামাজিকভাবে বয়কটের ঘোষণা দিলেন গভর্নর

ইতিহাসের পাতায় নিউজিল্যান্ড-আফগানিস্তান টেস্ট

ইতিহাসের পাতায় নিউজিল্যান্ড-আফগানিস্তান টেস্ট

বন্যা: ভারতের দুই রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় নিহত ১৬

বন্যা: ভারতের দুই রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় নিহত ১৬

আমি পদত্যাগ করিনি, আমি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী: শেখ হাসিনা

আমি পদত্যাগ করিনি, আমি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী: শেখ হাসিনা

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App