পাবনা
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে সড়ক অবরোধ
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খানের অপসারণ ও নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করেছে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। এ সময় ক্যাম্পাসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। গতকাল রবিবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে কলেজের সামনে পাবনা-ঈশ্বরদী বাইপাস সড়ক অবরোধ করে তারা। পরে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। এ সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণ ও বিচার দাবি করে স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি- গত ১২ বছর ধরে কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খান আওয়ামী লীগের পরিচয় দিয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ দখল করে আছেন। তার পদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবৈধ ঘোষণা করলেও প্রভাবশালীদের প্রভাবে তা তোয়াক্কাই করতেন না। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পলাতক থাকায় কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
শিক্ষকরা বলেন, বিভিন্ন সময়ে তাকে অপসারণের উদ্যোগ নেয়া হলে পাবনার সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা কলেজে এসে শিক্ষকদের হুমকি-ধমকি দিত, যে কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে সাহস পেত না। অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও নানা অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি করেন শিক্ষকরা। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোস্তফা কামাল, সহকারী অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন, ইসলামের ইতিহাসের সহকারী অধ্যাপক মাখসুদা আক্তার খুশি, সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, আব্দুল মোমিন, মোকাদ্দেশ আলী, সাইদুল ইসলাম, মাসুদ করিম, শামসুল আলম, নাছিমা খাতুন, আবু সাঈদ, আব্দুর রাজ্জাক-২, নজরুল ইসলাম, এ কে এম আফজাল হোসেনসহ কয়েক শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি, তার কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।