মহম্মদপুরে গরুর খামারে সফল উদ্যোক্তা বিউটি
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মুরাদ হোসেন, মহম্মদপুর (মাগুরা) থেকে : মুহম্মদপুরে গরুর খামার করে সফল হয়েছেন নারী উদ্যোক্তা বিউটি খাতুন। এলাকার অনেকের কাছে তিনি এখন অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন।
মহম্মদপুর উপজেলার ধোয়াইল গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিউটি খাতুনের বাড়ির ভেতরে বড় একটি গরুর খামার। এ খামারে রয়েছে বিভিন্ন জাতের ছোট-বড় ১০টি গরু। এর মধ্যে উন্নত জাতের যে গাভীগুলো রয়েছে তার প্রতিটির বাজারমূল্য আড়াই লাখ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. নুরুল্লাহ মো. আহসান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিহির কান্তি বিশ্বাস ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুব্রত সেন বিশ্বাস বিউটির খামার পরিদর্শন করেছেন এবং সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। সরজমিন আরো জানা যায়, ২০১৪ সালে মাত্র একটি গাভী দিয়ে শুরু হয় বিউটির খামার। ধীরে ধীরে গাভী বাড়তে থাকে এবং সমস্যাও সৃষ্টি হতে থাকে। স্থানীয় পশু ডাক্তার ও উপজেলা পশু হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে এখন তিনি সফল খামার ব্যবসায়ী এবং এলাকায় একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে বেশ পরিচিত। এলাকার অনেকের কাছে বিউটি এখন অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। বিউটিকে অনুসরণ করে অনেকেই নিজ উদ্যোগে স্বাবলম্বী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন। বিউটি খাতুন বলেন, আমি স্বামীর অনুপ্রেরণা ও নিজের প্রচেষ্টায় একটি গাভী গরু দিয়ে খামার গড়ে তোলার চেষ্টা করি। সে অবস্থা থেকে এখন আমি মোটামুটি সফল। আমার খামারে বিভিন্ন জাতের ১০টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি গাভী এখন দুধ দেয় এবং ৩টি গাভী বাচ্চা দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ লিটার দুধ দেয়। এর থেকে ২০ লিটার মিল্কভিটা কোম্পানি নেয় এবং বাকি দুধ স্থানীয় মিষ্টি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়।
বিউটির খামারে কাজ করা পাখি খাতুন বলেন, এই খামারে অনেকগুলো গাভী আছে। বাড়ির পাশে তাই কাজ করতে পারছি। কিছু টাকা পাই। এটা দিয়ে আমার সংসারের উপকার হয়।
উপজেল প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুব্রত সেন বিশ্বাস বলেন, উদ্যোক্তাদের জন্য আমরা সব সময় কাজ করে থাকি। পশু হাসপতালের মাধ্যমে সরকারিভাবে যেসব সহযোগিতা আসে, আমরা চেষ্টা করব বিউটি খাতুনের খামারের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করার।