কুতুবদিয়ায় জোয়ারের ঢেউয়ে ভাঙন আতঙ্কে ৫ গ্রামের মানুষ
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
এম এ মান্নান, কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) থেকে : কুতুবদিয়া কৈয়ারবিল বেড়িবাঁধের পাশে প্রতি জোয়ারেই ভাঙছে ঘরবাড়ি। অমাবশ্যা ও পূর্ণিমার অতিরিক্ত জোয়ারের কারণে ঢেউয়ের ধাক্কায় বেড়িবাঁধসংলগ্ন দোকানের অর্ধেকটা বিলীন হয়ে গেছে সাগরে। ফলে ভাঙন আতঙ্কে রাত কাটছে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের অন্তত ৫ গ্রামের মানুষের। স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জরুরি ভিত্তিতে বালুর বস্তা ফেলার প্রতিশ্রæতি দিলেও সরকার পরিবর্তনের কারণে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। কবে নাগাদ ভাঙনকবলিত এলাকা মেরামত হবে, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই গ্রামবাসীর।
জানা যায়, মতির বাপের পাড়া, ফকির পাড়া, মাঝির পাড়া, বিন্দা পাড়া ও মধ্যম কৈয়ারবিল গ্রামের বেড়িবাঁধসংলগ্ন প্রায় ২ শতাধিক কাঁচা ঘর ভাঙনের কবলে। একই সঙ্গে বেড়িবাঁধসংলগ্ন দোকানের অর্ধেকটা আছে, বাকি অর্ধেক সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। ফকির পাড়ার মো. জামাল, মতির বাপের পাড়ার তাহাজুল ইসলাম জানান, প্রতি জোয়ারেই কমবেশি ভাঙন থাকে। ধীরে ধীরে এ ভাঙন ভেতরের দিকে চলে আসায় ঢুকছে জোয়ারের পানি। অধিকাংশ জায়গা বালু জমি হওয়ায় সহজেই সাগরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের। জরুরিভাবে ভাঙন ঠেকাতে তারা বালুর বস্তা ফেলার দাবি জানান। এছাড়া সাবেক সরকারের প্রভাবশালী কিছু বালু ব্যবসায়ী সমুদ্র্রসৈকত থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করায় ভাঙন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার কফিল উদ্দিন বলেন, দিন দিন ভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জরুরি মেরামতের জন্য নিদের্শনা এলেও তা অন্যত্র সরিয়ে নেন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিরা। ফলে সৈকত পাড়ের অন্তত ৪টি গ্রামের জরুরি কাজ সময়মতো হচ্ছে না। ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু আহমদ বলেন, প্রতি জোয়ারের সময়ই ভাঙতে থাকে। টেকসই বেড়িবাঁধ না হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটায় বাসিন্দারা। সাবেক এমপি পরিদর্শন করে জিও ব্যাগ ফেলার আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেটা কখন হবে তা বলতে পারছেন না তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আকবর খাঁন বলেন, কৈয়ারবিলে ভাঙনরোধ করতে যাদের কাজ দেয়া হয়েছিল তাদের পরিবর্তে পানি উন্নয়ন বোর্ডর তত্ত্বাবধানে বাঁধ নির্মাণ করা হলে টেকসই হবে। কারণ অসাধু ব্যক্তিরা বারবার নি¤œমানের কাজ করায় ভোগান্তি কমছে না বলে তিনি মনে করেন।
কুতুবদিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী এলটন চাকমা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের ভাঙন রোধে জরুরি কাজের কিছু অংশে কাজ শুরু করা হয়েছে। জিও ব্যাগ মজুত না থাকায় বাকিগুলোতে শুরু করা যাচ্ছে না।