বাগেরহাট পৌরসভার ৭০ ভাগ সড়কেই খানাখন্দ : দুর্ভোগ চরমে
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাট পৌরসভা প্রথম শ্রেণির হওয়ার কারণে পৌরবাসীর যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, তা পাচ্ছেন না পৌরবাসী। প্রথম শ্রেণির একটি পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও অধিকাংশ সড়কের বেহাল দশা। যান চলাচলে বহু ঝক্কি পোহাতে হয়। যাত্রীদের ওপর দিয়ে যায় নানা ধকল। খানাখন্দে ভরা পৌর সড়কগুলোয় যান চলতে গিয়ে লাফিয়ে ওঠে। এতে দুর্ঘটনায় পড়তে হয় যানবাহনকে।
পৌরসভার ৭৮ দশমিক ৩০ কিলোমিটার সড়কের ৭০ ভাগই খানাখন্দে ভরা। বাগেরহাট পৌরসভাটি ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আয়তন ১৫ দশমিক ৮৯ বর্গকিলোমিটার। ১৯৯১ সালে পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১৭টি মহল্লায় প্রায় দেড় লাখ মানুষের বসবাস। জেলা সদর হওয়ায় জেলার ৯টি উপজেলার প্রচুর মানুষের পদচারণা ঘটে বাগেরহাট শহরে।
সরজমিন পৌর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শহরের নূর মসজিদ থেকে এলজিইডি মোড়, রাহাতের মোড় থেকে চানমারী ব্রিজ পর্যন্ত, পুরাতন বাজার থেকে সম্মিলনী স্কুল, নূর মসজিদ থেকে সরকারি মহিলা কলেজ রোড, মুনিগঞ্জ থেকে হাড়িখালী রোড যান চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
এছাড়া বাগেরহাট শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা, খারদ্বার, বাসাবাটী, শাহাপাড়া, দশানী, গোবরদিয়া, সোনাতলা, সরুই এলাকার অভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। শহরের ইজিবাইক চালক ফরিদ বলেন, এই নূর মসজিদরে মোড় থেকে এলজিইডি মোড় পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে চলতে অনেক কষ্ট হয়। দুর্ঘটনাতেও পড়তে হয়। আমরা চাই এ সড়কটি দ্রুত মেরামত করা হোক।
মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী সুমন শেখ বলেন, আমি সদর উপজেলার কাড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। অনেক দরকারি কাজে প্রায়শই শহরে আসতে হয়। কিন্তু পৌরসড়কগুলো ভীষণ নাজুক অবস্থায় রয়েছে। চলাচলে অসুবিধা হয়। শিক্ষক আবু সাঈদ শুনু বলেন, পৌরসভার সড়কগুলো এত খারাপ, এটি দেখার কেউ যেন নেই। বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের সামনে নরসুন্দর সুনীল বলেন, কিছুদিন আগেও এই ভাঙা রাস্তায় ভ্যান উল্টে এক গর্ভবতী নারীকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে। এমন দুর্ঘটনা সড়কে প্রায়ই ঘটেছে।
বাগেরহাট বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তালুকদার আব্দুল বাকী বলেন, বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পৌরসভার আওতাধীন। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারকাজ না করায় টার্মিনালের রাস্তাগুলোর অবস্থা নাজুক। এতে গাড়ির বিভিন্ন যত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা মালিক সমিতি সমস্যা সমাধানে একাধিকবার ইট, বালি দিয়ে ভাঙা স্থান মেরামত করেছি। আমরা চাই পৌর কর্তৃপক্ষ এর সংস্কার করে নতুন করে তুলুক।
পৌর সড়কগুলোর দীর্ঘদিন বেহাল অবস্থায় থাকলেও এ নিয়ে কথা বলতে চান না মেয়র খান হাবিবুর রহমান। তবে তিনি জানান সড়ক মেরামতের কাজ দ্রুতই শুরু করা হবে।