ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধি : সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী কুশিয়ারা নদীর ওপর নির্মিত শেরপুর সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেতুর নিচের অংশে ফাটল দেখা দেয়ায় যানবাহন চলাচলের সময় নিচের অংশের ঢালাই খসে পড়ছে। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়েই চলছে সব ধরনের যানবাহন। সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল অব্যাহত থাকলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, সারাদেশের সঙ্গে সিলেট জেলার সড়ক যোগাযোগের মাধ্যম শেরপুর সেতু। সেতুটির ওপর দিয়ে সিলেট জেলার সঙ্গে যোগাযোগে প্রতিদিন লক্ষাধিক যানবাহন চলাচল করে। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও সংস্কারে কর্তৃপক্ষের কোনো দৃষ্টি নেই। গত সোমবার রাত থেকে সেতুটির উত্তর-পূর্ব দিকে বালুভর্তি বস্তা রেখে সতর্ক করে কর্তৃপক্ষ। সড়ক সরু হওয়ায় সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের সময় দেখা দিয়েছে যানজট। গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে সেতুতে যানবাহনের চাপ কমাতে এক লেন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে সেতুটি। এদিকে সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের সময় নিচের অংশের ঢালাই ভেঙে পড়ায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সেতুর নিচ দিয়ে শেরপুর নতুন বাজার-লামা তাজপুর রাস্তা। রাস্তাটি দিয়ে ৮-১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াত। গত সোমবার রাতে রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় সেতুর নিচের অংশ থেকে ঢালাইয়ের একটি টুকরা গায়ে পড়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি আহত হন। আহত সুয়েব আহমদ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আছেন। এখন আতঙ্ক নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছে মানুষ। তাই সেতুটি দ্রুত মেরামতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ যানবাহন চালক ও স্থানীয়রা। সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মুছা বলেন, সেতুর নিচের অংশের ঢালাই গায়ে পড়ে একজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। আমি সেতুর নিচের অংশ পরিদর্শন করেছি। দেখেছি ঢালাই ভেঙে রড বেরিয়ে এসেছে। তিনি সেতু মেরামতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করে দুর্ঘটনা এড়াতে শেরপুর নতুন বাজার-লামা তাজপুর রাস্তা ব্যবহার না করার পরামর্শ দিচ্ছেন স্থানীয়দের। ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপমা দাশ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ শেরপুর সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, শেরপুর সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার খবর পেয়েছি। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।