×

এই জনপদ

জামালগঞ্জে স্কুল নেই ৩৩ গ্রামে

Icon

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : জামালগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও বিদ্যালয়বিহীন রয়েছে ৩৩টি গ্রাম। এসব গ্রামে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেড় সহস্র্রাধিক। উপজেলায় অধ্যয়নরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২৪৬০ জন। এর মধ্যে ৮.৩৫ % ঝরে পড়া শিশু। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের রসুলপুর, বিজয়নগর, ভেদারপুর, জলিলপুর, আব্দুল্লাহপুর, বেহেলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া, সহদেবপুর, রহিমাপুর, নিতাইপুর, আরশীনগর, বাগানী, কুমরিয়া, প্রকাশনগর, রহমতপুর, ভীমখালী ইউনিয়নের বড়ঘাগটিয়া, গোলামীপুর, চান্দেরনগর, জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের মুমিনপুর, ইনচানপুর, হোসেনপুর, ঝুনুপুর, মুসলিমপুর, মাছুমপুর, সদরকান্দি, পূর্ব কালীপুর, পশ্চিম কালীপুরসহ ৩৩টি গ্রামে নেই কোনো বিদ্যালয়। সম্প্রতি নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকসহ উপজেলায় ৬২৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২৪৯০ জন। ৩৩ গ্রামে স্কুল না থাকায় ঝরে পড়া শিশুর সংখ্যা বেড়ে তারা ক্ষেত খামারে, হোটেল রেস্তোরাঁয়, এমনকি মৎস্য আহরণে হাওরে জড়িত হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম রাব্বি জাহান বলেন, দুই হাজার জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করার বিধান রয়েছে, এখানে প্রতিটি গ্রাম ছোট ও বিচ্ছিন্ন এবং জনসংখ্যা কম থাকায় বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রতিবেদন পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। যেগুলো সম্ভব তা নিয়ে অর্থাৎ জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের রসুলপুর, যশমন্তপুর, ভীমখালী ইউনিয়নের চান্দের নগর, উত্তর ইউনিয়নের সদরকান্দি, হোসেনপুর, মুমিনপুর ও সাচনাবাজার ইউনিয়নের নূরপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ ৭টি গ্রামে স্কুলের জন্য আমি গত বছরের ২৫ মে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। করোনা মহামারির পর থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে সব শিক্ষকের প্রতি ঝরে পড়া রোধ করতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া আছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App