×

সম্পাদকীয় ও মুক্তচিন্তা

ডায়াবেটিস ও মুখের স্বাস্থ্য

Icon

অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ডায়াবেটিস ও মুখের স্বাস্থ্য

৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির (বাডাস) প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের মৃত্যুবার্ষিকী। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে মানুষকে সচেতন করে তুলতেই বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুবার্ষিকীর দিনটিকে ‘ডায়াবেটিক সেবা দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের অবদান চিরস্মরণীয়। মহান সেই ব্যক্তির আদর্শ ও চিকিৎসাসেবায় প্রয়োগ পদ্ধতির মূল কথা হলো- রোগীর সমস্যা ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারলে রোগীর আস্থা বাড়বে, চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তি মানসিক শান্তি পাবেন, চিকিৎসক পরোপকারের সামাজিক স্বীকৃতি পাবেন এবং এর দ্বারা সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে উভয়ের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উপায় ও উপলক্ষ তৈরি হবে। দেশে অজস্র চিকিৎসক তার সেই নীতি অনুসরণ করেন। তাকে ‘রোল মডেল’ মেনে পেশায় আত্মনিয়োগ করেন।

ডায়াবেটিস বর্তমানে একটি মহামারি রোগ হিসেবে চিহ্নিত এবং এই রোগ সারাজীবনের রোগ। নিয়ন্ত্রণে থাকলে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করা যায়; কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের জটিলতা অনেক। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ডায়াবেটিস বৃদ্ধির হার বেশি। আইডিএফ ডায়াবেটিস এটলাস ডায়াবেটিসের বৈশ্বিক প্রভাব সম্পর্কে সর্বশেষ যে পরিসংখ্যান এবং তথ্য দিয়েছে তাতে দেখা যায়- ২০২১ সালে ৫৩.৭ কোটি মানুষ (প্রতি ১০ জনে ১ জন) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। ২০৩০ সালের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৬৪.৩ কোটিতে এবং ২০৪৫ সালে ৭৮.৩ কোটিতে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ২৪ কোটি মানুষ (প্রতি ২ জনে ১ জন) জানে না, তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাদের অধিকাংশই টাইপ-২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত। ১২ লাখেরও বেশি শিশু ও কিশোর (০-১৯ বছর) টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ২০২১ সালে বিশ্বের ৬৭ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসের কারণে মৃত্যুবরণ করেন। ২০২১ সালে ৯৬৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয় ডায়াবেটিসের কারণে, যা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতে মোট ব্যয়ের ৯ শতাংশ।

ডায়াবেটিসের সঙ্গে মুখের স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন ডায়াবেটিস রোগী যদি তার ডায়াবেটিসের সুগার লেভেল স্বাভাবিক রাখতে চান তবে তার নিয়মিত ওষুধ (ট্যাবলেট বা ইনসুলিন) ব্যায়াম ও খাদ্য গ্রহণের ব্যাপারে যেমন শৃঙ্খলা বা নিয়মকানুন (ডাক্তারের পরামর্শ ও পথ্যবিদের খাদ্য তালিকা) মেনে চলবেন ঠিক তেমনভাবে তিনি কিন্তু মুখের ভেতরের অংশ যেমন দাঁত, মাড়ি ও জিহ্বার যতœ করবেন। কারণ মুখের ভেতরের দাঁতে, মাড়িতে, জিহ্বার বা গালের কোনো অংশে প্রদাহ বা ইনফেকশন থাকলে ডায়াবেটিস রোগীদের ব্লাড সুগার বা শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। ভালো দাঁতের যতœ মুখের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। মুখে যখন কম লালা প্রবাহিত হয়, তখন দাঁতের রোগ, মাড়ির রোগ এবং মুখের অন্যান্য সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস লালায় গøুকোজের পরিমাণও বাড়িয়ে দিতে পারে। রক্তে গøুকোজের মাত্রা, যাকে ব্লাড সুগারও বলা হয়, যখন খুব বেশি হয় তখন ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকে। ডায়াবেটিস মুখের ভেতরের অনেক অংশের যেমন দাঁত ও মাড়িতে ছাড়াও শরীরের অনেক অংশকে প্রভাবিত করে। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের মাড়ির রোগ মুখ-গহ্বরের বিভিন্ন অংশ এবং দাঁতের অন্যান্য সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

নিয়মিত স্কেলিং করা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ দাঁত এবং মাড়ির ভালো যতœ নিলে এই সমস্যাগুলো প্রতিরোধ করতে বা আরো খারাপ হওয়া অবস্থা বন্ধ করতে সহায়তা করবে। মুখ বা মুখ-গহ্বরকে সুস্থ রাখলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখা এবং ডায়াবেটিস-সম্পর্কিত স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন হৃদরোগ এবং কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা অনেক সহজ হবে। ডায়াবেটিস লালা পরিবর্তন করে মুখকে প্রভাবিত করতে পারে তরল, যা মুখকে ভিজা রাখে। মুখের ভেতরের লালা দাঁতের ক্ষয় রোধ করে, খাবারের টুকরো ধুয়ে ফেলে, ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিরোধ এবং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা উৎপাদিত এসিডের বিরুদ্ধে লড়াই করে। লালায় খনিজ উপাদান রয়েছে, যা মুখের টিস্যু রক্ষা করতে এবং দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের ফলে লালা কমে গেলে মুখে ডেন্টাল ক্যারিজ বা দন্তক্ষয় বেশি হয়। ডায়াবেটিস এবং ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত কিছু ওষুধের কারণে মুখের লালা গ্রন্থিগুলো কম লালা তৈরি করতে পারে। যখন কম লালা প্রবাহিত হয়, তখন মুখ-গহ্বর ও মাড়ির রোগ এবং মুখের অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ডায়াবেটিস লালায় গøুকোজের পরিমাণও বাড়িয়ে দিতে পারে। যখন ডায়াবেটিস দেখা দেয় তখন রক্তে গøুকোজের মাত্রা বা ব্লাড সুগার খুব বেশি হয়। রক্তে উচ্চমাত্রার গøুকোজও লালায় গøুকোজ তৈরি করতে পারে। এই গøুকোজ ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া খাবারের সঙ্গে মিলিত হয়ে প্লেক নামক নরম আঠালো ফিল্ম তৈরি করে, যা দাঁতে গর্ত বা ক্ষয় সৃষ্টি করে। যদি খাবারের আবরণ অপসারণ না হয় তবে এটি মাড়ির লাইনের কাছে দাঁতের ওপর তৈরি হতে পারে এবং টার্টার নামক শক্ত আবরণ হয়ে যেতে পারে, যা মাড়ির রোগের কারণ হতে পারে। চিকিৎসা না করা হলে মুখের এই সমস্যাগুলো থাকলে দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি হতে পারে।

মাড়ির রোগ : মাড়ির রোগ যাকে পিরিওডন্টাল গাম ডিজিজও বলা হয়, এটি ডায়াবেটিস সম্পর্কিত মুখের সবচেয়ে বেশি লক্ষণীয় রোগ এবং গুরুতর সমস্যা সৃষ্টিকারী রোগ। চিকিৎসা না করা হলে রোগটি পর্যায়ক্রমে অগ্রসর হয়, মাড়ি ফোলা বা রক্ত পড়া অবস্থা থেকে দাঁত পড়ে যাওয়া পর্যন্ত। রক্তে গøুকোজের উচ্চমাত্রা উপস্থিতি মাড়ির রোগ মৃদু থেকে গুরুতর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। যেমন জিনজিভাইটিস থেকে পিরিওডন্টাইটিজ।

মাড়ির প্রদাহ ও জিনজিভাইটিস : মাড়ির রোগের প্রথম পর্যায় হলো মাড়ির প্রদাহ। দাঁতের চারপাশে নরম টিস্যুগুলো অর্থাৎ মাড়ির একটি হালকা প্রদাহ। মাড়ির কাছে দাঁতে প্লাক এবং টারটার তৈরি হলে মাড়িতে জ্বালাপোড়া এবং প্রদাহ সৃষ্টি হলে মাড়ির প্রদাহ হয়। ফলস্বরূপ মাড়ি লাল এবং ফুলে যেতে পারে এবং সহজেই যেমন দাঁত ব্রাশের সময় বা শক্ত ফল খাওয়ার সময় রক্তপাত হতে পারে।

মাড়ির প্রদাহ ও পিরিওডন্টাইটিজ : চিকিৎসা না করা হলে, মাড়ির প্রদাহ পিরিওডন্টাইটিজে অগ্রসর হতে পারে, মাড়ি এবং হাড়ের একটি সংক্রমণ, যা দাঁতকে মাড়ি থেকে আলগা করে রাখে। মাড়ি দাঁত থেকে সরে যেতে থাকে, পকেট তৈরি করে, যা ধীরে ধীরে সংক্রমিত হয়। মুখের ব্যাকটেরিয়া এবং সংক্রমণের ফলে দাঁতকে ধরে রাখে এমন হাড় এবং টিস্যু যেমন পিরিওডন্টাল মেমব্রেন ও এলভিউলর বোন ভেঙে দিতে শুরু করে। যদি পিরিওডন্টাইটিজের চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে দাঁত আলগা হয়ে যেতে পারে এবং এমনকি তুলে ফেলার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় নিজে থেকেই দাঁত নড়তে নড়তে পড়ে যেতে পারে।

শুকনো মুখ লালার অভাব, যা মুখের ভেতরে ঘা বা আলসার এবং অন্যান্য সংক্রমণ রোগের কারণ হতে পারে। এ অবস্থাকে ড্রাই মাউথ বলা হয় অনেক সময় ওষুধের পার্শ^প্রতিক্রিয়ায়ও এমন হয়। থ্রাশ একটি ছত্রাক সংক্রমণ, যা মুখে বেদনাদায়ক, সাদা দাগ সৃষ্টি করে। বানিং মাউথ সিনড্রোম মুখের ভেতরে একটি জ্বলন্ত অনুভূতি, যা অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রক্তে গøুকোজের মাত্রার কারণে হয়। রক্তে গøুকোজের মাত্রা বৃদ্ধিসহ স্বাস্থ্যের যে কোনো পরিবর্তন সম্পর্কে ডেন্টিস্টকে আপডেট রাখা জরুরি এবং নিয়মিত পরিষ্কার বা স্কেলিং এবং চেকআপের জন্য কত ঘন ঘন আসা উচিত তা জিজ্ঞাসা করাও প্রয়োজন।

ডায়াবেটিস থেকে মুখের সমস্যাগুলো কীভাবে প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা করা যায় সে সম্পর্কে দাঁতের ডাক্তারের বা ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ অনুসরণ করা প্রয়োজন। যদি ডেন্টিস্টের কাছে যেতে নার্ভাস বোধ করেন, তাহলে ডেন্টিস্ট এবং কর্মীদের ভয় সম্পর্কে বলুন। ডেন্টিস্ট প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

কীভাবে মুখ সুস্থ রাখা যায়?

রক্তের গøুকোজের মাত্রা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখা প্রয়োজন। ডাক্তার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে এবং সুগার খুব বেশি বা খুব কম হলে কী করবেন তা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে।

স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পানীয় গ্রহণের ব্যাপারে ডায়েটিসিয়ান যেভাবে আপনার ওজন উচ্চতা ও বয়স মেপে খাবার পরিকল্পনা করেছেন তা অনুসরণ করা ভালো।

নিয়মিত একজন ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। দাঁতের ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন কীভাবে বাড়িতে দাঁতের যতœ নিতে হয়। ডেন্টিস্ট আপনার প্রয়োজন অনুসারে একটি দৈনন্দিন রুটিন নিয়ম করে দেবেন।

দাঁতের যতœ নেয়া সবসময় সহজ নয়। চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে একজন ডেন্টিস্ট খুঁজে পাওয়া যিনি নিয়মিত সাহায্য করতে পারেন, পরিচর্যার তালিকা একটি ডেন্টাল রুটিন চার্ট তৈরি করে দেবেন, যা আপনার উপযোগী মুখের যতেœ কাজ করে এবং দাঁতের যতœ সম্পর্কিত নিয়মিত কাজ মেনে অভ্যাস করতে সক্ষম।

মুখের যতœ নেয়ার জন্য খুব বেশি সময় অপেক্ষা করলে বা দেরি করলে অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে।

তামাক ও ধূমপানের সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্ক ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ধূমপান ও তামাক সেবন ডায়াবেটিসের ভয়াবহতা, মুখের সমস্যা এবং জটিলতা অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা তরুণ বয়সে ধূমপান শুরু করে তারা পরবর্তী সময় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে। ডায়াবেটিস আছে এমন কেউ যদি ধূমপান, তামাক সেবন করে তবে তাদেরও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। ফলে তাদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক ও পায়ের পচনশীল রোগ ‘গ্যাংগ্রিন’ হওয়ার সম্ভাবনা ৫ গুণ বেশি। তাছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীদের ধূমপানের কারণে ‘মাড়ির রোগ বা পিরিওডেন্টাল ডিজিজ’-এর জটিলতা বেশি হয় এবং অকালে দাঁত পড়ে যায়।

অতএব, মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বা মুখের রোগ প্রতিরোধে যেমন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় তেমনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও মুখের যতœ বা রোগ প্রতিরোধ বা চিকিৎসা করানো জরুরি। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের অমর বাণী- ‘প্রত্যেক ডায়াবেটিক রোগী যদি তিনটি উ- উরবঃ, উৎঁম, উরংপরঢ়ষরহব অর্থাৎ পরিমিত খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ এবং রক্ত পরীক্ষা ও নিয়মিত ব্যায়াম এই তিনটি নীতিকে নিষ্ঠার সঙ্গে প্রতিদিন মেনে চলেন তাহলে তারা অবশ্যই স্বাভাবিকের কাছাকাছি, সামাজিকভাবে উপযোগী, সৃজনশীল কাজে সক্ষম ও সম্মানজনক জীবন নির্বাহ করতে পারবেন।’ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই শ্রেয়, সস্তা ও নিরাপদ।

অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী : বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কলাম লেখক; প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস)।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

পেশাদার সাংবাদিকতা করেছি, আমি সরকারের সুবিধা নেইনি

রিমান্ড শুনানিতে শ্যামল দত্ত পেশাদার সাংবাদিকতা করেছি, আমি সরকারের সুবিধা নেইনি

১৭ সেপ্টেম্বর: সারাদিন যা যা ঘটলো

১৭ সেপ্টেম্বর: সারাদিন যা যা ঘটলো

শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র কতটা গুরুত্ব বহন করে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র কতটা গুরুত্ব বহন করে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

কবির, নূরুল, তৌফিকসহ আরো যারা গ্রেপ্তার হলেন

কবির, নূরুল, তৌফিকসহ আরো যারা গ্রেপ্তার হলেন

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App