×

সম্পাদকীয় ও মুক্তচিন্তা

নিত্যপণ্যের মূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনুন

Icon

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নিত্যপণ্যের মূল্য ক্রয়ক্ষমতার  মধ্যে আনুন

চলতি বছরের জানুয়ারিতে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করার ৭ মাসের মধ্যেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপে পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিগত বছরগুলোতে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সবচেয়ে বেশি কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছিল নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের ব্যাপক তফাৎ থাকায় নাগরিকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল দেশব্যাপী। নিয়মিত চড়ামূল্যে নিত্যপণ্য ক্রয়ের মাঝেই প্রায় সময় পেঁয়াজের মূল্য ২৫০ টাকা, ভোগ্য তেলের মূল্য প্রতি লিটার ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২২০ টাকা, ব্রয়লার ডিম ১৬০ টাকা ডজন পর্যন্ত বিক্রির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। পণ্যমূল্য কমানোর জন্য আহ্বান জানানো হলেও কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। নিত্যপণ্যের চড়া মূল্যের জন্য সিন্ডিকেটকে দোষারোপ করা গেলেও সেই সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হয়নি কখনই।

আশার কথা, সরকার পরিবর্তনের পর সিন্ডিকেট ভাঙার ঘোষণা দেয়া হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে। সাধারণ নাগরিকদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে পণ্যের মূল্য নির্ধারণের জন্য কথা হচ্ছে সর্বত্র। ইতোমধ্যে ফেসবুকে সেনাবাহিনীর নির্ধারিত পণমূল্য শিরোনামে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য তালিকা প্রকাশ পেলেও এই পণ্য তালিকা সঠিক নয়, অর্থাৎ গুজব হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। কেননা বাজারে এখনো পূর্বের মতো দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে সব পণ্য। দোকানিদের ভাষ্য মতে, ‘সিন্ডিকেটের কারণে দাম বৃদ্ধি হয়েছে। আমরাও খুব বেশি লাভ করতে পারি না। তাই পণ্যের দাম বৃদ্ধি বা কমলে আমাদের আলাদা কোনো লাভ-ক্ষতি নেই। তবে পণ্যের মূল্য কমলে আমাদের বাড়তি মূলধনজনিত সমস্যা কমে যায় এবং ক্রেতারাও স্বাচ্ছন্দ্যে বাজার করতে পারে।’

বাজারে এখনো ভোগ্য তেল প্রতি লিটার ১৬৭ টাকা, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, রসুনের কেজি ২০০ টাকা, ব্রয়লার ডিম ১৬০ টাকা, চিনি ১৫০ টাকা, মসুর ডাল ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমনকি যে আলু শতভাগ দেশেই উৎপাদন হয়, সেই আলুর স্বাভাবিক মূল্য সিজনে ২০ টাকা এবং অফসিজনে ৩০ টাকার পরিবর্তে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে নিয়মিত। ডিমের মূল্য ৮০ টাকা ডজন থেকে এক লাফে ১৬০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে এবং বর্তমানে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে নিয়মিত, গরুর মাংস ৬০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি হওয়ার পর বিগত কয়েক মাস ধরে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির মূল্য স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্যাকেটজাত সব পণ্য স্বাভাবিক দামের তুলনায় ৫০-১০০ ভাগ বৃদ্ধি করে বিক্রি চলছে। অথচ পণ্য উৎপাদনকারী কৃষক-শ্রমিকরা পাচ্ছেন না ন্যায্যমূল্য।

এরূপ অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান থাকবে নিত্যপণ্যসহ মৌলিক অধিকারের অন্যতম সব ধরনের খাদ্যপণ্যের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পণ্যের নতুন মূল্য বিষয়ে দেশব্যাপী প্রচার চালাতে হবে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে। গ্রামাঞ্চলের বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখার জন্য নাগরিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই নিত্যপণ্যের মূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে এনে জনজীবনে স্বস্তি ফেরাতে হবে।

জুবায়রে আহমদে : সাবেক শিক্ষার্থী, বিজেম, ঢাকা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

এবার সালমান শাহ-শাবনূরের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন সামিরা

এবার সালমান শাহ-শাবনূরের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন সামিরা

যেভাবে হবে পুলিশ সংস্কার

যেভাবে হবে পুলিশ সংস্কার

আজ বিচার বিভাগের রোডম্যাপ তুলে ধরবেন প্রধান বিচারপতি

আজ বিচার বিভাগের রোডম্যাপ তুলে ধরবেন প্রধান বিচারপতি

যে পদ্ধতিতে ৪০ পেরিয়েও ত্বক থাকবে টানটান

যে পদ্ধতিতে ৪০ পেরিয়েও ত্বক থাকবে টানটান

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত
নির্বাহী সম্পাদক: এ কে সরকার

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App