×

সম্পাদকীয় ও মুক্তচিন্তা

কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা

Icon

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা

কিশোর গ্যাং এখন মস্তবড় সমস্যা। অনেকেই বলছেন, এ জিনিস নতুন প্রজন্মের জন্য শুধু প্রমাদ নয়, অভিশাপ বটে। কিন্তু সমাধান কী? গ্রেপ্তার ও শাস্তি? তাতে যে কাজ হচ্ছে না, সেটা তো দেখাই যাচ্ছে। তদুপরি এমন অভিযোগ রয়েছে, কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রভাবশালীরা রয়েছেন। প্রভাবশালীরা ক্ষমতাবান এবং সেই ক্ষমতার মূল উৎস হচ্ছে সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের ওপরে রাজনৈতিক চাপ না থাকলেও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের চাপ আছে, তারা অনেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত [দেশ রূপান্তর, ২৯ এপ্রিল]। চাপ কীভাবে কাজ করে, তার একটা ধারণা পাওয়া যায় আরেকটি আলোচনা সভায় ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের প্রধানের বক্তব্যে। তিনি বলেছেন, ‘প্রভাবশালীদের ফোনে অনেক সময় ধরার পর গ্যাং সদস্যদের ছেড়ে দিতে হয়’ [ইত্তেফাক, ১৯ মে]। এই ধরা আর ছাড়া চলবেই এবং এর ফাঁকে গ্যাংয়ের সদস্য সংখ্যা ও তৎপরতা বাড়তেই থাকবে। কারণ সমস্যাটির আসল উৎস হচ্ছে বিদ্যমান আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক ব্যবস্থা, যে ব্যবস্থা কিশোরদের করার মতো কাজ দেয় না এবং তাদের সামনে কোনো ভালো দৃষ্টান্ত ও আদর্শ তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়। এমনকি আশা যে জাগাবে, তাও পারে না।

কিশোর গ্যাংয়ের অভ্যুদয়ের সূত্রপাত ঘটে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই। গুণ্ডা-বদমাশ আগেও ছিল; তাদের একসময়ে মাস্তান বলা হতো। কিন্তু সংঘবদ্ধ কিশোর অপরাধী দল আগে ছিল না। স্বাধীনতার পর সুযোগ-সুবিধা অনেক দিক দিয়েই প্রসারিত ও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে, অপরাধের বেলায়ও একই ঘটনা। তরুণরা যখন সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজি ও জবরদখল শুরু করল, তখন তাদের বলা হতো সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীরা নিজেদের ‘বীর’ মনে করত এবং অপরাধের মাধ্যমে বীরত্বের প্রকাশ ঘটাত। তারা বেপরোয়াও ছিল। খুন জখম করত, কলহ বাধিয়ে নিজেরা যে মারা পড়ত না এমনও নয়। প্রথম দিককার সন্ত্রাসী কেউ কেউ মারা গেছে, কেউ চলে গেছে বিদেশে, কারাগারেও রয়েছে কিছুসংখ্যক। প্রকাশ্যে না এলেও জীবিতদের কয়েকজন এখনো তাদের অনুসারীদের মাধ্যমে চাঁদাবাজি অক্ষুণ্ন রেখেছে। আবার এও জানা যাচ্ছে, সন্ত্রাসীদের বর্তমানে এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে, তারা ভাড়াটে লোক দিয়ে কাজ সারে। নিম্ন আয়ের লোকেরা ভয়ংকর সব কাজে ভাড়া খাটে।

পেশাদার সাবেক সন্ত্রাসীদের একজনের জীবন-ইতিহাসের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে তারুণ্যের কী নিদারুণ অপচয় এরা ঘটিয়েছে। বলা যায়, ঘটাতে বাধ্য হয়েছে। এই খবরটা সব কাগজেই বেরিয়েছে, তানভীর ইসলাম জয় নামে একজন সাবেক সন্ত্রাসী কুয়ালালামপুরে মারা গেছে। সে অসুস্থ ছিল। একাকিই থাকত একটি ঘরে। কিডনির অসুস্থতার জন্য নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাত। মালয়েশিয়ায় সে বাংলাদেশি পরিচয়ে যায়নি, গেছে ভারতীয় পরিচয়ে সে দেশের পাসপোর্ট নিয়ে। তানভীর ছিল এক ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান, ছাত্র ছিল মিশনারিদের স্কুলের। মেধাবী ছাত্র হিসেবে জানত সবাই। সেই কিশোর আশপাশের অন্য কিছু বিপথগামী তরুণের পাল্লায় পড়ে সন্ত্রাসী দলে নাম লেখায়। একসময়ে নিজেকেই সে একটি ‘দুর্ধর্ষ’ দলের প্রধান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। ২০০১ সালে তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে বলে সরকারি ঘোষণা জারি করা হয়েছিল। সে সময়ে ১ লাখ টাকা অনেক টাকা। তানভীর ধরাও পড়েছিল। কারামুক্ত হয়ে সে চলে যায় কানাডায়। বদলে ফেলে নিজের নাম। তার নতুন নাম হয় রানা অ্যাজাক্স। টরেন্টোতে একটা ভালো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছিল। এরপর যায় ভারতে। পরবর্তী সময়ে ঘুরে ঘুরে মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ইত্যাদি দেশে বসবাস শুরু করে। তার দুই বিয়ে। প্রথমবার বিয়ে করেছিল, সম্পর্কে তিনি তানভীরের আপন মামি। দ্বিতীয় স্ত্রী বিদেশি। উভয় স্ত্রীরই একটি করে সন্তান রয়েছে। মৃত্যুর পর তার একমাত্র বোন অস্ট্রেলিয়া থেকে গিয়ে তার লাশ গ্রহণ করে। বোঝা যায় অত্যন্ত সাহসী, উদ্ভাবনশীল ও কর্মক্ষম ছিল এই তরুণ। তার কাজকর্ম রোমহর্ষক। যে পথে তার গমন ও পরিণতি, সে দিকে তার যাওয়ার কথা ছিল না। কেন সে সমগোত্রীয় হলো সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ, মুর্গি মিলনের মতো পেশাদার সন্ত্রাসীদের? তার নাম কেন উঠেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের তালিকায়? হ্যাঁ, ব্যক্তির নাম করা যাবে, যারা তাকে নষ্ট হওয়ার পথে টেনে নামিয়েছে; বলা যাবে বন্ধুদের সংসর্গে নষ্ট হয়েছে; কিন্তু আসল কাজটা তো তার বন্ধুরা করেনি, বন্ধুদের সে রকমের ক্ষমতা ছিল না, করেছে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা। যার শিকার তার নষ্ট হয়ে যাওয়া বন্ধুরা নিজেরাও।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় তরুণদের একাংশ ভেবেছিল বিপ্লবের জন্য দুয়ার খুলেছে। তারা এগিয়ে গেছে। কিন্তু বিপ্লব ঘটেনি; কারণ রাষ্ট্রক্ষমতা চলে গিয়েছিল যাদের হাতে তারা মুখে সমাজতন্ত্রের কথা বললেও ভেতরে ছিলেন পুঁজিবাদেরই অনুরাগী। রাষ্ট্র তাই এগিয়ে চলল পুরনো পুঁজিবাদী পথ ধরেই। এবং ওই ব্যবস্থার অধীনে থেকে বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য তৎপর হয়ে উঠল তানভীরের মতো দুঃসাহসী তরুণদেরই একাংশ। ব্যক্তির দায়িত্ব যে ছিল না, তা নয়। অবশ্যই ছিল। কিন্তু মূল কাজটা করেছে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার নব-জাগরণ। সেখানে লুণ্ঠন চলেছে নানা পন্থায়। আইনি-বেআইনি নীরব সশস্ত্র কোনো পন্থাই বাদ থাকেনি। অপরাধে লিপ্ত সন্ত্রাসীরাও ছিল লুণ্ঠনকারী ওই দলেরই সদস্য। স্বাধীনতার পর সমাজ পরিবর্তনের কাজটা যে প্রধান হয়ে উঠতে পারল না, সেটা ওই লুণ্ঠনলিপ্সার কারণেই।

তানভীর ইসলাম জয়ের কাহিনি শরৎচন্দ্রের ‘পথের দাবী’ উপন্যাসের সব্যসাচীর কাহিনির মতোই রোমাঞ্চকর। পার্থক্যটা অবশ্য একেবারেই মৌলিক। সেটা এখানে যে সব্যসাচী লড়ছিলেন সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে; আর তরুণ তানভীর পরিণত হয়েছিল পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদের অভিশপ্ত এক ক্রীতদাসে। বিদ্যমান এই ব্যবস্থার অধীনে যে বাস্তবতাটা তৈরি হচ্ছে, তাতে গল্প আছে, ভয়ংকর সব গল্প; কিন্তু ওই সব গল্পে কোনো আকর্ষণ নেই, নেই কোনো উপসংহার। একই গল্প ঘুরেফিরে আসে; বাস্তবতাটা সুখবর বহন করে না। সেখানে তাকালে দেখি নানা রকমের দৃশ্য, যেগুলোই এখনকার গল্প। এসবের কথা এরই মধ্যে বলা হয়ে গেছে। তবু তাদের কিছু কিছু ঘটনা দেখে রাখার মতো, যাতে বুঝতে পারি কী ঘটছে এবং জিজ্ঞাসা করতে পারি কেন ঘটছে।

কিশোর গ্যাংয়ের খবরগুলোতে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ধরতে চায়। আসলে কৈশোর তো পরের ব্যাপার, শৈশবই তো অপহৃত হয়ে যাচ্ছে। গত বছর শতকরা ৪৬ জন শিশু স্কুলের বাইরে ছিল, ২০১৭-তে পরিমাণটা ছিল শতকরা ২৯ [ডেইলি স্টার, ২৫ মার্চ]। ওদিকে এটাও দেখা যাচ্ছে, স্কুল ছেড়ে শিক্ষার্থীরা চলে যাচ্ছে মাদ্রাসায়, যেখান থেকে তারা শিক্ষার অভিমান নিয়ে ফিরবে। কিন্তু যে শিক্ষাটা পাবে তার কোনো ব্যবহারিক মূল্য থাকবে না। গত তিন বছর ধরেই এটা ঘটছে [ইত্তেফাক, ২ এপ্রিল]। এর কারণ মাদ্রাসায় শিক্ষা স্বল্পমূল্যে, অনেক ক্ষেত্রে বিনামূল্যেই পাওয়া যায়। ওদিকে যারা স্কুল-কলেজে পড়ছে, পাস করছে, ভর্তি হতে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের দশাটা কী? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করেছে শতকরা ৮৯ জন [খবরের কাগজ, ২৯ মার্চ]।

দেশে এখন নাকি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সংখ্যা ২ হাজার ৩৭২ জন [প্রথম আলো, ২২ মে]। চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন দন্ত্য-চিকিৎসক কুরবান আলী; পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ১২ জনের বিরুদ্ধে নালিশ করেছিলেন চিকিৎসকের স্ত্রী। পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে, বাকিদের নাকি খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয়, ওই তিনজনও জামিন নিয়ে বের হয়ে এসে হুমকি দিচ্ছে পরিবারকে। বাবার মৃত্যুর পরে এখন শঙ্কায় রয়েছেন ছেলেটির মা।

নাটোরে ইফতার খাবার পরে ৪ বন্ধু মিলে এক বন্ধুকে পরিত্যক্ত একটি ভবনে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। এরা সবাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল। পুলিশের ধারণা উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিপণ আদায় করা [প্রতিদিনের বাংলাদেশ, ২৭ মার্চ]। সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছে এক যুবক [ইত্তেফাক, ২৬ এপ্রিল]। ঈশ্বরদীতে যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে; সন্দেহ গ্যাংকেই [ইত্তেফাক, ২৯ এপ্রিল]। টাঙ্গাইলের নাগপুরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, এ খবর শুনে কাজটা বিএনপিপন্থি ছাত্রদলের ছেলেরা করেছে এমন সন্দেহ কেউ করবে না, ধরেই নেবে যে নামেই হোক গ্যাং-স্বভাবের তরুণদেরই কাজ [ইত্তেফাক, ২৩ মার্চ]।

গ্যাং যে শুধু গ্যাং নামে আবির্ভূত হয়, তা নয়। তারা নানা নামে চলে। যেমন বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি করেছে রাষ্ট্রদ্রোহী কেএনএফ বাহিনী। অপরাধী হিসেবে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের মধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিও রয়েছে। তাকে গ্যাং-বাদী ছাড়া অন্যকিছু ভাবা কি সম্ভবপর? [আজকের পত্রিকা, ১৯ এপ্রিল] ঢাকা শহরে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সংসদ ভবনের সামনে কোন পক্ষ আগে রাস্তা পার হবে, তা নিয়ে সংঘর্ষে যখন ছাত্রলীগের এক সদস্য নিহত হয় তখনও তো ভাবতে বাধ্য হই যে কাজটা খুব-উন্নয়নমূলক নয়; কিশোর গ্যাং-পর্যায়ে নেমে এসেছে।

কিশোররা যাবে কোথায়? সুস্থ বিনোদনের জন্য মিলবে তারা কোনখানে? বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময়ে ছাত্র সংসদ ছিল, এখন নেই। পাড়া-মহল্লায় খোলা জায়গার খোঁজ পাওয়া যায় না। ঢাকা শহরে থাকার কথা কমপক্ষে ৬১০টি পার্ক, আছে মাত্র ২৩৬টি। গত আট বছরে হারিয়ে গেছে ১২৬টি [খবরের কাগজ, ২৬ এপ্রিল]।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া শতকরা ৭৬ ছাত্রী জানিয়েছে, তারা কোনো না কোনো সময়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। [খবরের কাগজ, ২৫ মার্চ] ওদিকে আবার খবর এই, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে এবং প্রশ্নের সমাধান ‘বৈজ্ঞানিক’ উপায়ে ক্রেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। কাজটাতে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র এবং কাজটি তারা করেছে অন্য কোনো স্থান থেকে নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের শহীদ ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ভবনের একটি কক্ষ থেকে [ইত্তেফাক, ২৬ এপ্রিল]। কেউ কী কখনো ভেবেছিল, স্বাধীনতার জন্য জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতাকে প্রাণ দিতে হবে? এবং স্বাধীনতার পরে তার স্মৃতিকে ধারণ করবে যে আবাসিক হল তার ব্যবহার হবে ওই ধরনের কর্মে? এবং কাজটা করবে ছাত্ররাই?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) জন্মদিন পালন নিয়ে যা ভাবছেন যুবকরা

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) জন্মদিন পালন নিয়ে যা ভাবছেন যুবকরা

‘তুমি কে, আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগান বিকৃতির প্রতিবাদ

‘তুমি কে, আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগান বিকৃতির প্রতিবাদ

পোড়া লাশ দাফনের পর জানা গেল রিফাত বেঁচে আছেন, অতপর...

পোড়া লাশ দাফনের পর জানা গেল রিফাত বেঁচে আছেন, অতপর...

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App