×

সম্পাদকীয় ও মুক্তচিন্তা

১০৪ বছরে বাঙালির জ্ঞান ও প্রজ্ঞার বাতিঘর

Icon

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

১০৪ বছরে বাঙালির জ্ঞান ও প্রজ্ঞার বাতিঘর

পৃথিবীর নানা দেশ জ্ঞানের বিকাশ, গবেষণার আবশ্যকীয়তা, সভ্যতা-সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধন আর ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণের তাগিদে এবং সময়ের চাহিদা পরিপূরণ ও সমৃদ্ধ জাতি-গঠনের মানসে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গোড়াপত্তন করেছে। কিন্তু একটি বিশ্ববিদ্যালয় তার সংগ্রামী ইতিহাস আর ঐতিহ্যিক উত্তরাধিকার দিয়ে কোনো জাতিসত্তা ও জাতিরাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করেছে- বিশ্ব-ইতিহাসে তা বিরল। এখানেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাতন্ত্র্য মহিমা; যে তার ঐতিহাসিক সংগ্রামী বৈশিষ্ট্য দিয়ে বাঙালি জাতির ভাষার অধিকারসহ স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব-মানচিত্রে বাংলাদেশের গোড়াপত্তনে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে। বাঙালির প্রাণের সেই বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠার ১০৪ বছর উদযাপনের এক শুভলগ্ন অতিক্রম করছে। ১৯২১ থেকে ২০২৪; এই ১০৪ বছরে পদার্পণকারী বিশ্ববিদ্যালয়টি বাঙালি জাতির শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য, গবেষণা-উদ্ভাবন, মুক্তবুদ্ধি চর্চা, প্রগতিশীল ভাবনা, জাতি-গঠন ও দেশাত্মবোধক চেতনার এক তেজোদীপ্ত আলোকবর্তিকা; বাঙালির সামগ্রিক আশা-আকাক্সক্ষার শতবর্ষী এক অনন্য বাতিঘর।

আজ ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। এ বছর ‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চশিক্ষা’ এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আরো অধিকতর মহিমান্বিত ও তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ এ বিদ্যাপীঠ ইতোমধ্যেই তার প্রতিষ্ঠার গৌরবোজ্জ্বল শতবর্ষ অতিক্রম ও উদযাপন করে এসেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অর্গানাইজিং কমিটি’ কর্তৃক আয়োজিত ‘সেলিব্রেটিং দ্যা হান্ড্রেড ইয়ারস অব দ্য ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা : রিফ্লেকশন্স ফ্রম দ্য অ্যালামনাই-ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড ন্যাশনাল’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহীত ছয়টি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই সাবেক গর্বিত শিক্ষার্থী, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মূলত এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা সূচিত হয়েছিল। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেশের সর্বপ্রাচীন এ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষ উদযাপনকে আরো অর্থবহ ও কার্যকর করে তুলতে বেশকিছু ইতিবাচক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। এসব গৃহীত কর্মসূচির আওতায় দৃষ্টিনন্দন মল চত্বরে ল্যান্ডস্কেপিংসহ ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধারণ করে একটি ‘সেন্টেনারি মনুমেন্ট’ নির্মাণের কাজ সমাপ্তির পথে রয়েছে। শতবর্ষ পূর্তিকে আরো স্মরণীয় করে তোলার জন্য আয়োজন করা হয়েছিল নানা বিষয়ে গবেষণা মেলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন ও প্রত্যাশা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যকার রচনা প্রতিযোগিতা ও শীর্ষ ১০০ জনকে পুরস্কৃত করা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইদের স্বরচিত কবিতা নিয়ে কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করা, মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ, মৌলিক গ্রন্থাবলি রচনা ও প্রকাশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পত্রিকাগুলোর আধুনিকায়ন ও শতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ, অত্যাবশ্যকীয় বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি সংযোজনসহ বিশ্বদ্যিালয়ের গবেষণাগারগুলোকে মানসম্মত করা, শতবর্ষের ওপর বিশেষ স্যুভেনির প্রকাশ, প্রামাণ্য তথ্যচিত্র নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকশপে স্যুভেনির কর্নার স্থাপন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা, পৃথিবীর বিভিন্ন মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গবেষণা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম বৃদ্ধিকরণ, শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার আয়োজন ও সেরাদের পুরস্কৃতকরণ এবং সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনও শতবর্ষ উদযাপনের কার্যসূচিতে ছিল। এছাড়া বাঙালির ইতিহাস নির্মাণ, ঐতিহ্য সংরক্ষণ, সাংস্কৃতিক জাগরণ এবং জাতি-গঠনের পরতে পরতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনস্বীকার্য অবদানকে কেন্দ্র করে বাংলা ও ইংরেজিতে মৌলিক গ্রন্থ রচনাসহ বছরব্যাপী পালনের জন্য বিস্তর কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা, পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার আলোকে গবেষণা ও প্রকাশনার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অভূতপূর্ব কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে উপাচার্য প্রদত্ত এক শুভেচ্ছা বাণীতে বলা হয়- ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি রাষ্ট্র সৃষ্টি এবং একটি জ্ঞাননির্ভর সচেতন সমাজ বিনির্মাণে অবদান রেখেছে। একই সঙ্গে এ দেশে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিকাশ এবং মানবসম্পদ তৈরিতে নেতৃত্ব দিয়েছে। সেদিক থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনন্য। তবে সেসব ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে বর্তমান শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ ও মোকাবিলা করার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন আঙ্গিকে রূপান্তর করতে হবে। র‌্যাঙ্কিং নামক বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার দৌড় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর পৃথিবীর হাতছানি থেকে আমরা নিজেদের সরিয়ে রাখতে পারব না। কাজেই বর্তমান বাস্তবতা আর আগামী দিনের ভিশন পরিকল্পনার নিরিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ এবং শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। বর্তমান যুগের ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করতে হবে। বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশে উন্নীতকরণের জন্য বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত ‘রূপকল্প ২০৪১’ এবং ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ বাস্তবায়নেও প্রয়োজন হবে ‘স্মার্ট সিটিজেন’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন শিক্ষা, গবেষণাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানের মানকে আরো সমৃদ্ধ করার ব্রত নিয়ে নানামুখী সময়োপযোগী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছেন। এসবের সুফলও আমরা লাভ করতে শুরু করেছি; সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিংয়ে আমরা এর প্রতিফলনও লক্ষ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের শিক্ষা ও গবেষণাসহ সামগ্রিক কার্যক্রমের চলমান গতিধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার প্রত্যাশিত অবস্থান নিশ্চিত করতে পারবে- এ আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।

মূলত শতবর্ষ অতিক্রমকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে শত সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও বৈশ্বিক সব সূচকে প্রত্যাশিত উন্নতি ঘটাতে প্রয়োজন একটি সুচিন্তিত, সুদূরপ্রসারী ও সামগ্রিক মহাকর্মপরিকল্পনা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে একটি সময়োপযোগী ‘মাস্টারপ্ল্যান’ প্রণয়ন করেছেন। এবার প্রয়োজন সরকারের আর্থিক সহযোগিতা নিশ্চিত করে প্রণীত এই ‘মাস্টারপ্ল্যান’-এর সফল ও কার্যকর বাস্তবায়ন; তবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ফ্লোর স্পেস ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭০০ বর্গফুট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫৯ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ বর্গফুট হবে। এছাড়া আধুনিক গবেষণাগারের অভাব, লাইব্রেরির সুযোগ-সুবিধার স্বল্পতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অপ্রতুলতা, জলাবদ্ধতার সমস্যা, যথাযথ ওয়াকওয়ে ও সাইকেল লেনের অভাব, যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি ও দুর্ঘটনার শিকার হওয়া, মানসম্পন্ন খেলার মাঠের স্বল্পতা (বিশেষ করে ছাত্রীদের কোনো নির্দিষ্ট খেলার মাঠ নেই) এবং ছাত্রছাত্রীদের আবাসন সংকটসহ বিদ্যমান বহুমাত্রিক সমস্যার বাস্তব সমাধান মিলবে। একই সঙ্গে লাইব্রেরির সুবিধা বৃদ্ধি, সুইমিংপুল নির্মাণ, বৃষ্টির পানি ধারণ, সৌরশক্তি উৎপাদন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, সৌন্দর্যবর্ধনসহ সবুজ চত্বর ও উন্মুক্ত স্থান বৃদ্ধি পাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের মাতৃসম এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। মায়ের অসম্মান ও অমর্যাদা যেমন কেউ চায় না, বরদাশত করতে পারে না; ঠিক তেমনি আমরাও এ প্রিয় বিদ্যাপীঠের কোনো রূপ অবমাননা সহ্য করতে পারি না। বিগত সময়ে নানা মহল থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক প্রচারণা আমাদের নেহায়েত কষ্ট দেয়; সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ট্রলের শিকার হওয়া যেন এক নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কোনো কোনো বুদ্ধিজীবী একে আর বিশ্ববিদ্যালয়ই মনে করছেন না। তবে আমাদের উচিত, দেশের সর্ববৃহৎ, সর্বপ্রাচীন ও সর্বশ্রেষ্ঠ এ বিদ্যাপীঠের নাম-যশ-খ্যাতির সঙ্গে সুবিচার করে সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের উপযোগী কর্মপন্থা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করা, এটি কেবলই একটি বিশ্ববিদ্যালয় নয়; বরং জ্ঞান-প্রজ্ঞা ও মানসম্পন্ন গবেষণার সুতিকাগার হিসেবে এটি সত্যিকার অর্থেই বিশ্বমানে উত্তীর্ণ এক অনন্য বিশ্ববিদ্যালয়। আর এমনটি নিশ্চিত করতে পারলেই কেবল আমরা দায়মুক্ত হতে পারি।

এ দেশের মানুষের সব মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ধারাবাহিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সর্বশেষ এক যুগ পূর্বে ওয়ান ইলেভেনের ভয়াল দুঃসময়ে অন্ধকারের অগণতান্ত্রিক শক্তি যখন জগদ্দল পাথরের ন্যায় গোটা জাতির ওপর চেপে বসেছিল, এ অবস্থার উত্তরণে তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই গর্জে উঠেছিল; পালন করেছিল তার ঐতিহাসিক ভূমিকা। কারারুদ্ধ জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি, অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা ও নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে অহিংস অথচ প্রবল গণ-আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল চত্বর থেকেই; ক্রমান্বয়ে তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং গণ-বিস্ফোরণের রূপ পরিগ্রহ করে। শিক্ষকদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন, শিক্ষক সমিতির তলবি সভা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত মিছিল ও সেøাগান, কারাগারে বন্দি দেশরতœ শেখ হাসিনার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে স্বল্পসংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের স্বাক্ষর সংবলিত ও গণমাধ্যমে প্রেরিত এবং প্রকাশিত প্রথম বিবৃতি, কলাভবনের শীর্ষ চূড়ায় প্রচণ্ড ঘৃণা ও বিক্ষোভ প্রকাশের প্রতীক হিসেবে কালো পতাকা উত্তোলন- এসবই হয়েছিল বিপদাপন্ন দেশ, দুঃশাসন কবলিত জাতি, সংকটাপন্ন গণতন্ত্র ও বিপন্ন মানবতাকে সুরক্ষার মহান তাগিদে এবং সর্বোপরি দেশের গণমানুষের বৃহত্তর স্বার্থে; সেই বিভীষিকাময় মুহূর্তে দুঃসাহসী আন্দোলনে জীবন-মাল বাজি রেখে নেতৃত্ব দিয়েছিল এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই কিছু অসম সাহসী মানুষ।

তাই দেশ ও জাতির প্রতিটি ক্রান্তিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অপরিসীম ও অনস্বীকার্য; ১০৪ বছরে পদার্পণের এই মাহেন্দ্রক্ষণে সরকার ও রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকগণ দেশ ও জাতির পরম গর্বের এ বিশ্ববিদ্যালয়কে সে আলোকেই মূল্যায়ন করবেন- এ আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন : সাবেক চেয়ারম্যান

ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

ফের ৫ দিনের রিমান্ডে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান

ফের ৫ দিনের রিমান্ডে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান

জাতিসংঘে মোদি ও ইউনূসের বৈঠক হচ্ছে না

জাতিসংঘে মোদি ও ইউনূসের বৈঠক হচ্ছে না

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচসহ টিভিতে আজ যা দেখবেন

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচসহ টিভিতে আজ যা দেখবেন

যে কারণে দেবকে চান চয়নিকা

যে কারণে দেবকে চান চয়নিকা

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App