×

সম্পাদকীয় ও মুক্তচিন্তা

অতি বামরাই অতি ডানদের কাছে কেন আত্মসমর্পণ করে?

Icon

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

অতি বামরাই অতি ডানদের কাছে কেন আত্মসমর্পণ করে?
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা একটি আলোচনা সভায় বলেছেন, ‘দেশের অতি বাম, অতি ডান- সবই এখন এক হয়ে গেছে। এই দুই মেরু এক হয়ে সরকারকে উৎখাত করার কথা বলছে।’ তিনি এ ধরনের বক্তব্য অতীতে আরো কয়েকবার দিয়েছেন। তার এই মন্তব্য নিছক রাজনৈতিক নয়, এটি গভীর জ্ঞানতাত্ত্বিক রাজনৈতিক পর্যালোচনারও বহিঃপ্রকাশ- এতে কোনো সন্দেহ নেই। যারা পড়াশোনা জেনে রাজনীতি করেন, রাজনীতির বিভিন্ন মতাদর্শের চরিত্র সম্পর্কে অবহিত, তারাই এ ধরনের পর্যবেক্ষণমূলক মন্তব্য প্রদান করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য মোটেও রাজনৈতিকভাবে ভুল কিংবা বিভ্রান্তিকর ছিল না, বরং স্বচ্ছ রাজনৈতিক ধারণারই প্রকাশ তিনি ঘটিয়েছেন। কিছু কিছু টিভি টকশোতে কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে নিছক রাজনৈতিক বলে চালিয়ে দিয়েছেন, আবার অতি বাম আদর্শের সঙ্গে যারা জড়িত, তেমন দু-একজনও প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করেছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির একটি সভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উত্তর দিয়েছেন তার নিজের মতো করে। তিনি বলেছেন, দেশে ডান-বাম শুধু নয়, আঠারো কোটি মানুষই এক হয়ে গেছেন সরকারের বিরুদ্ধে। মির্জা ফখরুলের অতীত রাজনীতি সম্পর্কে যারা জানেন তারা বলেন, তিনি বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন করতেন, বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন একসময় ভাসানী-ন্যাপের অনুসারী ছিল। পরে বাম নামধারী নানা দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তাদের রাজনীতি নানা হটকারী পথেই একসময় হারিয়ে যায়। তবে এক সময়ের এসব অতি বাম চিন্তার মানুষগুলো ডান তথা সাম্প্রদায়িক, ভারত ও আওয়ামীবিরোধী অবস্থান থেকে কেউবা বিএনপি, কেউবা জাতীয় পার্টি, কেউবা নানা ধরনের ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে নিজেদের বিলীন করে দিয়েছেন। রাজনীতিতে এমন আদর্শের বিচ্যুতি সব দলেই কমবেশি ঘটতে দেখা গেছে। তবে অতি বামদের নিজস্ব কোনো সংগঠন তাদের স্বপ্নে দেখা রাজনীতির আদর্শে তারা দাঁড় করাতে পারেননি। একসময় হয়তো তরুণদের মধ্যে কোনো কোনো নেতার কারণে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করতে দেখা গেছে; কিন্তু বাস্তবতা বিবর্জিত কর্মসূচির কারণে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই আন্দোলনের প্রচণ্ড ধাক্কা দলকে টালমাটাল করে ফেলে, নানা বিপর্যয় নেমে আসে। এর নানা মনগড়া তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দলের নেতাদের কেউ কেউ দিয়ে কিছুদিন কর্মীদের সন্তুষ্ট করে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাজনীতির নানা উত্থান-পতনে অনেকেই পিছু পড়ে যায় নানা জিজ্ঞাসা ও হতাশা থেকে মোহ ভঙ্গ ঘটলেও। কেউবা চিরতরে বসে যান, কেউবা ভিন্নপথ খুঁজতে থাকেন। এভাবেই এ দেশের অতি বামদের মধ্যে যারা নিজেদের অতি উত্তম ভেবে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছিলেন, তারা শেষ পর্যন্ত অতি উত্তম তো দূরের কথা সম্পূর্ণ বিপরীত আদর্শের দলের কাছে নিজেদের আত্মসমর্পণ করতে দ্বিধা করেননি। অথচ এরা একসময় প্রচণ্ড দেশপ্রেম নিয়ে ছাত্ররাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন, সেখানে নানা ধরনের তাত্ত্বিক আলোচনা-সমালোচনায় রাজনীতিকে শোষণহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তুত করতে নিজেদের উৎসর্গ করতে চেয়েছিলেন। অনেকে নিজেকে উৎসর্গও করেছেন। বহু মেধাবী তরুণ-তরুণী কঠিন এই রাজনীতির ভেতরের জটিলতাগুলোকে উপলব্ধি না করেই বিপ্লববাদের দীক্ষার নামে নিজেদের কোথায় এবং কার কাছে সমর্পণ করেছেন তা গভীরভাবে বুঝতে পারেননি। বিপ্লববাদী এসব সংগঠনের কিছু নেতা এমন কিছু ‘নিয়ম’ ও ‘শৃঙ্খলায়’ কর্মীদের আবদ্ধ করতে সব সময় তৎপর ছিলেন। বিপ্লবের পথ নাকি এমনি নিয়ম ও শৃঙ্খলায় একসময় তাদের গন্তব্য নিয়ে যাবে এমন ধারণাই তাদের মধ্যে দেয়া হয়েছিল। তারাও বিনা প্রশ্নে তা মেনে চলত। কঠিন এক রেজিমেন্টাল জীবনই নাকি বিপ্লবের পথ। সেই বিপ্লবের সৈনিক হওয়ার জন্যই তরুণরা বাম সংগঠনে প্রস্তুতি নিয়ে থাকে এবং সমাজ ও রাষ্ট্র পরিবর্তনে একসময় অনিবার্যভাবে বিপ্লব ঘটিয়ে মেহনতি মানুষের জন্য শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবেন বলে ধারণা দেয়া হয়। বাম ধারণাটি প্রথম ফ্রান্সে উচ্চারিত হয়। ১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই বাস্তিল দুর্গের পতন ঘটে। ফ্রান্সে তখন রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা চলতে থাকে, রাজাও তখন গভীর অর্থনৈতিক সংকট থেকে দেশকে উদ্ধার করতে করারোপের জন্য মৃত সংসদের অধিবেশন ডাকতে বাধ্য হন। সেই সংসদে ডান দিকে রাজতন্ত্রপন্থিরা লাল রঙের পোশাক পরে রাজার দিকে মুখ রেখে বসেন, রাজতন্ত্রবিরোধীরা সংসদের বাম দিকে কালো পোশাক পরে উল্টো দিকে মুখ করে বসেন। সেই থেকেই বামপন্থি শব্দটি প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার রাজনৈতিক শক্তিদের সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে। বিভিন্ন দেশে রাজতন্ত্র উচ্ছেদের আন্দোলনে যারা অংশ নেন, তাদের বামপন্থি নামে ডাকা হতো। তবে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার আন্দোলনে যারা যুক্ত হন, তাদেরও বামপন্থি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। একসময় রাজনীতিতে নানা ধারা, উপধারা সৃষ্টি হলে তখন আদর্শভিত্তিক ধারার নানা ব্যাখ্যা ও চরিত্র নির্ণয় করা হয়। রাজনীতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণার জন্যই এমনটি করা হয়েছিল। যেমন বুর্জোয়া শ্রেণির রাজনীতিকে ডানপন্থি বলে চিহ্নিত করা হতো। আবার এদের বিরুদ্ধশক্তিকে বামপন্থি নামে অভিহিত করা হতো। কালে কালে রাজনীতির যেমন নানা আদর্শগত পরিবর্তন ঘটেছে, নামেও সেই পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। এখন শুধু বুর্জোয়া তথা ধনিক শ্রেণির একক কোনো স্বার্থ এবং চরিত্র রাজনীতিতে আবদ্ধ করা যাচ্ছে না। ধর্মের নামধারী রাজনৈতিক সংগঠনও এই সময়ে বিভিন্ন দেশে নানারকম ভূমিকা পালন করেছে, কোনো কোনো ধর্মীয় রাজনৈতিক সংগঠন বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষাকারী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনীতি করে। কেউ সংস্কারবাদী আবার কেউবা বিপ্লববাদী পথে হাঁটছে। সেগুলোকেও ডান, উগ্র ডান, রাজনীতির ধারক বলা হয়ে থাকে। বাম রাজনীতি একসময় সোভিয়েত-চীন বিরোধে জড়িয়ে পড়ে, তাত্ত্বিক নানা জটিলতায় বাম, উগ্র বাম ইত্যাদি নানা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ধারা, উপধারায় বিভক্ত হয়ে পড়ে। আমাদের দেশেও মোটাদাগে ডান ও বামের নানা ধারায়, উপধারায় রাজনীতির প্রভাব ৪৭-পরবর্তী সময় থেকে রাজনীতিতে পড়তে থাকে। মুসলিম লীগ, জামায়াত, নেজামি ইসলামীসহ আরো কিছু সংগঠন ধর্মান্ধ উগ্র ডানপন্থায় অবস্থান করে। এরা পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের পক্ষে কতটা অন্ধবিশ্বাসী ছিল তা ১৯৭১-এ স্পষ্ট দেখা যায়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মুসলিম লীগের ডান সাম্প্রদায়িক আদর্শ থেকে বের হয়ে উদার জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। কিন্তু ১৯৫৭ সালে ভাসানীর নেতৃত্বে ন্যাপ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদবিরোধী আদর্শে প্রাণিত হয়ে যারা আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে যায়, তারা নিজেদের বাম ধারায় বিশ্বাসী বলে দাবি করে। তবে ষাটের দশকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের আন্দোলন ছয় দফার মাধ্যমে সূচিত হওয়ার পরই চরম রাজনৈতিক আদর্শিক পরীক্ষা দল ও নেতৃত্বের মধ্যে ঘটে, জনগণের মধ্যেও দেখা দেয়। আওয়ামী লীগেরই নেতৃত্বের ছোট একটি অংশ পিছু হটে, মওলানা ভাসানীসহ তাবত ডান-বামরা ছয় দফার বিরুদ্ধে চলে যায়। আবার ’৬৮-৬৯-এ নানা ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে যে গণঅভ্যুত্থান ঘটে, সেখানেও ডান-বামের হিসাব-নিকাশ ও অবস্থান ছিল বাস্তবতা বিবর্জিত। মুক্তিযুদ্ধেও বামের ন্যাপ-সিপিবি ছাড়া ভাসানীর খণ্ডিত অংশ মুক্তিযুদ্ধে ছিল থাকা না থাকার মতো। রাষ্ট্র নিয়ে বিভ্রান্তি তাদের যেমন ছিল, নিজেরাও ছিল বিভ্রান্ত। মুক্তিযুদ্ধের পর জাসদের জন্ম, সিরাজ সিকদারের সাম্যবাদী দল, নানা নামে কমিউনিস্ট গ্রুপ বিপ্লববাদের জোয়ার তুলতে গিয়ে শুধু বিপ্লবকেই ধ্বংস করেনি; নিজেরাও নানা বানোয়াট তত্ত্বের চোরাবালিতে আটকে পড়ে গিয়েছিলেন। সমাজ বাস্তবতা বিবর্জিত বিপ্লবী তত্ত্ব আসলে তাদের কাছে ধরা দিয়েছিল নানা রকম রোমান্টিক রাজনৈতিক প্রেমের মতো। এর পরিণতি যে কত ভয়াবহ হতে পারে, তা বোঝার ক্ষমতা তাদের কারোরই ছিল না। এরা হ্যামিলনের বংশীবাদকের মতো অসংখ্য দেশপ্রেমী সম্ভাবনাময় তরুণ-তরুণীকে বিপ্লবের নামে রাজনীতির উত্তাল নদীতে নিক্ষেপ করেছে কিংবা অন্ধকার গিরিপর্বতে ঠিকানাবিহীন পথে তুলে দিয়েছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী কালের এই তুখোড় নেতাদের বেশির ভাগই হারিয়ে গেছেন। দু-একজন রাজনীতিতে এখন এতিমের আর্তনাদ করছেন; কিন্তু একবারও তাদের রাজনীতির দোষ-ত্রæটি মূল্যায়ন করার কোনো উদ্যোগ নেননি। ১৯৭৮ সালে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান দল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিলে অতি বাম আবার কিছু অতি ডান এবং সুবিধাবাদী গোষ্ঠীরা অরাজনৈতিক নেতার পেছনে সারিবদ্ধ হলেন। কোথায় গেল বামদের সমাজ বিপ্লবের তত্ত্ব? এরপর ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর রাজনীতির সেই কৃত্রিম মসনদ ভেঙে গেল। এরশাদ ক্ষমতা দখলের পর আবার অতি ডান, অতি বাম এবং সুবিধাবাদীদের এরশাদের পেছনে লাইনে দাঁড়ানো দৃশ্যমান হলো। নতুন রাজনৈতিক দলও হলো। নাটকের পুনরাবৃত্তি ঘটল। দেশটাকে দক্ষিণ মেরুতে নেয়ার গোপন পরিকল্পনা সামরিক দুই শাসকের আমলেই বাস্তবায়িত করা হলো। তাতে ডানরাই লাভবান হলো। উগ্র বামরা যেসব মিথ্যাচার, অপপ্রচার রাজনীতিতে ছড়িয়ে আদর্শের রাজনীতিকে জটিল এক অবস্থার মুখোমুখি করেছে, তা বোঝার সাধ্য রাজনীতির মাঠের খেলোয়াড়দের মধ্যে খুব একটা দেখা যায় না। ১৯৯১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠন এবং সংসদ পরিচালনার দায়িত্ব পায়। তখনই ষাটের দশকের অতি বাম ছাত্রনেতাদের অনেকেই বিএনপিতে যোগদান করেন। নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা লাভ করেন। তাদের কেউ কেউ তাত্ত্বিক পণ্ডিত বলে রাজনীতিতে প্রচার লাভ করেন। তারা দাবি করেন যে, আওয়ামী লীগ মুসলিম লীগের মতো মৃত পথযাত্রী হতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগকে মূল্যায়নে তাদের এই ভাষ্যই বলে দেয় তারা ‘কত বড়’ মাক্সবাদী পণ্ডিত ছিলেন! এরাই দেশে একটি উদারবাদী গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা কোনো কালেই অনুভব করেনি। বামরা যখন এমন ‘বিশ্লেষণকে’ তাত্ত্বিক বলে চালিয়ে দেন, তখন এর রাজনৈতিক মূল্য সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর ছাড়া আর কিছু হয় না। তারা ২০০১ সালের পর রাষ্ট্রকে কতখানি উগ্র হটকারী জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিয়েছিল, তা ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না। ২০০৯-এর পর দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার গণজাগরণ মঞ্চের উত্থান এবং এর বিরুদ্ধে জামায়াত, বিএনপি ও হেফাজতের আস্তিক-নাস্তিকের বিভ্রান্তি ছড়ানোর পরিণতি বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে তা তারা কতটা উপলব্ধি করেছে বলা কঠিন। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদের মোড়কে বিএনপিসহ জামায়াতপন্থি ছোট-বড় সব দল এবং গোষ্ঠীকে নিয়ে রাজনীতিতে গত দুই বছর যুগপৎ আন্দোলনের যে ধারণা দেয়া হচ্ছে, তাতে কিছু অবশিষ্ট অতি বাম এখন বেশ প্রতাপের সঙ্গে মিডিয়া কাঁপিয়ে চলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের কাছে গণতন্ত্রের পাহারাদার। গণতন্ত্র ও জনগণের কথা এরা এখন প্রতিদিন শোনাচ্ছে। রাষ্ট্র মেরামত ও সংস্কারের কথাও বলছেন। কাদের দিয়ে এ কাজটি করবেন? যারা এই রাষ্ট্রকে ১৯৭৫-এর পর থেকে সাম্প্রদায়িক চরিত্র দানে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছেন। আসলে বাম রাজনীতিকে যারা পান্তা ভাত বলে গিলতে চেয়েছে তাদের বদ হজমই হয়েছে। চিকিৎসা করার মতো ধৈর্য তাদের নেই। রাজনীতিতে বাস্তবতা বিবর্জিত কিছু কথা আর স্বপ্ন দেখে যারা বাম সেজেছিলেন তারা এর কোনো কূলকিনারাই খুঁজে পাননি। এখন তাদের ঠিকানা অতি বাম পূর্বসূরিদের মতোই ডানদের কাছেই সমাদৃত, কারণ রাজনীতিতে যে মানস তারা তৈরি করেছেন, তাতে ডানের কাছেই তারা পরশ খুঁজে পান। মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App