পুঁজিবাজারের উন্নয়নে অর্থ উপদেষ্টাকে ডিবিএর চিঠি
সামগ্রিক কার্যক্রমের ওপর তদন্ত দাবি
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ ও ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম-এর পুনর্মূল্যায়নসহ ডিএসইর পর্ষদ পরিচালক নিয়োগে সমতা এবং গত ১৫ বছর (২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত) পুঁজিবাজারের সামগ্রিক কার্যক্রমের ওপর তদন্ত চেয়ে অর্থ উপদেষ্টাকে পত্র দিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
গতকাল ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত পত্রটি অর্থ উপদেষ্টার দপ্তরে দাখিল করা হয়। একই তারিখে পত্রের অনুলিপি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানকে প্রদান করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ ও ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম-এর অধীনে ডিএসই পর্ষদে ৭ (সাত) জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের বিধান রয়েছে। এ ৭ জন স্বতন্ত্র পরিচালকের মধ্য থেকে পর্ষদ চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। অপরদিকে ডিএসইর ২৫০জন শেয়ারহোল্ডারদের প্রত্যক্ষ ভোটে ৪ জন শেয়ারহোল্ডার নির্বাচিত হয়ে পরিচালক হিসেবে পর্ষদে আসে।
চেয়ারম্যানসহ ৭ স্বতন্ত্র পরিচালকের সংখ্যাগরিষ্টতার ফলে ডিএসইসহ পুঁজিবাজারের যে কোন সিদ্ধান্তে তাদের একক আধিপত্য ও প্রভাব থাকে। স্বতন্ত্র পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের মধ্যে এহেন সংখ্যাগত বৈষম্যের ফলে ডিএসইর কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্তে ভিন্নতা ও বৈষম্য তৈরি হয়ে ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ডিএসই একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ডিএসইকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নে অর্থ উপদেষ্টার নিকট ডিএসইর ভূমিকা জোরদার করার সুপারিশ জানিয়ে ডিবিএর চিঠিতে বলা হয়, বিদ্যমান ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ ও ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম-এর পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে, ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের মধ্যে সমতা তৈরি করে সেক্ষেত্রে ৬ জন স্বতন্ত্র পরিচালক ও ৬ জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নিয়োগের বিধান রাখা এবং শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের মধ্য থেকে ‘চেয়ারম্যান’ নিয়োগ করতে হবে এবং বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরিয়ে আনতে গত ১৫ বছর (২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত) পুঁজিবাজারের সামগ্রিক কার্যক্রমের উপর তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।