কাগজ প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁকড়ার ব্যাপক চাহিদা থাকায় বাংলাদেশে কাঁকড়া চাষ সম্প্রসারণ ও এ খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ লক্ষ্যে আরো গবেষণা পরিচালনা এবং সে আলোকে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি। গতকাল পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ভবনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে কাঁকড়া শিল্পের সম্ভাবনা, বিদ্যমান সমস্যা ও সম্ভাব্য করণীয়’ শীর্ষক একটি কর্মশালায় বক্তারা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।

পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন ওয়ার্ল্ডফিস বাংলাদেশের ইনটেরিম কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. বিনয় কুমার বর্মন। প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের। গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড-এর (জিসিএফ) অর্থায়নে পিকেএসএফ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন জবংরষরবহঃ ঐড়সবংঃবধফ ধহফ খরাবষরযড়ড়ফ ঝঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ ঃড় ঃযব ঠঁষহবৎধনষব ঈড়ধংঃধষ চবড়ঢ়ষব ড়ভ ইধহমষধফবংয (জঐখ) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এ কর্মশালা সঞ্চালনা করেন পিকেএসএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমাদ।

কর্মশালায় ‘পিকেএসএফ পরিচিতি ও কাঁকড়া খাতে পিকেএসএফের কার্যক্রম’ নিয়ে উপস্থাপনা প্রদান করেন মো. আবু নাসির খান, সহকারী মহাব্যবস্থাপক, পিকেএসএফ। এছাড়া ‘বাংলাদেশে কাঁকড়া শিল্পের সম্ভাবনা, বিদ্যমান সমস্যা ও সম্ভাব্য করণীয়’ নিয়ে ইউএনডিপি বাংলাদেশের কর্মকর্তা ড. মো. মজিবর রহমান এবং ‘বাংলাদেশে আর্টেমিয়া চাষের অগ্রগতি ও সম্ভাবনা’ নিয়ে উপস্থাপনা প্রদান করেন ওয়ার্ল্ডফিস বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

সভায় জানানো হয়, কাঁকড়া চাষ বিকাশে পিকেএসএফ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্য রয়েছে উদ্যোক্তা পর্যায়ে কাঁকড়ার হ্যাচারি স্থাপন ও কাঁকড়ার পোনা (ক্র্যাবলেট) উৎপাদন, নার্সারি স্থাপন ও কাঁকড়া চাষ প্রযুক্তি স¤প্রসারণ। বিশ্ববাজারে কাঁকড়ার ব্যাপক চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে কাঁকড়া রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে পিকেএসএফ। এ লক্ষ্যে (আরএইসএল) প্রকল্পের আওতায় বিশেষায়িত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

কর্মশালার মুক্ত আলোচনা পর্বে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, পিকেএসএফের সহযোগী সংস্থাসমূহ থেকে আসা প্রতিনিধিরা কাঁকড়া চাষ নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।