বিজিবি ও ছাত্র-জনতার উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণ
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মাসুদ পারভেজ রুবেল, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) থেকে : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বিজিবি ও ছাত্র-জনতার উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের গয়টাপাড়া গ্রামের জিঞ্জিরাম নদীর উপর প্রায় ৪৫০ ফিট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফিট প্রস্থের সাঁকোটি ফিতা কেটে উদ্বোধন করে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এতে এলাকায় ফিরেছে স্বস্তি।
স্থানীয়রা জানান, সাধারণ মানুষ হাট-বাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্য আনা-নেয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ নৌকা পারাপারে চরম দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন।
অনেকদিন আগে এলাকাবাসীর উদ্যোগে একটি সাঁকো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বন্যার পানির ¯্রােতে তা নষ্ট হয়ে যায়। এমতাবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপারে দুই পাড়ের ৮ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়েন। দীর্ঘদিন থেকে অবহেলিত এই জনপদের জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে কেউ এগিয়ে আসেনি। স্থানীয়ভাবে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
দুর্ভোগ লাঘবে বিষয়টি জামালপুর ব্যাটালিয়নের (৩৫ বিজিবি) অধিনায়ক গয়টাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার এবং এলাকার ছাত্র-জনতার দৃষ্টি পরিলক্ষিত হয়। পরে বিষয়টি গয়টাপাড়া বিওপি কমান্ডার অধিনায়ক ৩৫ বিজিবি জামালপুরকে অবগত করেন। বিষয়টি রিজিয়ন কমান্ডার সরাইল এবং সেক্টর কমান্ডার ময়মনসিংহকে অবগত করলে সবাই ব্রিজ স্থাপনের ব্যাপারে সম্মতি দেন। পরে বিজিবি এবং এলাকার ছাত্র-জনতা নদীর উপর একটি বাঁশের সাঁকো স্থাপনের জন্য উদ্যোগ নেন। এলাকার ছাত্র-জনতা ও বিজিবির সহযোগিতায় ব্রিজটির কাজ সম্পন্ন হয়।
বিজিবি এবং ছাত্র-জনতার উদ্যোগে এলাকাবাসী উচ্ছ¡সিত।
স্থানীয় শিক্ষার্থী পারভেজ মোশারফ বলেন, এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বিজিবি ও ছাত্র-জনতার সার্বিক সহযোগিতায় সাঁকো নির্মাণ হলো। এখন আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।
গাড়িচালক মায়নুল বলেন, আগে নৌকা দিয়ে পারাপারে অসম্ভব ছিল। বর্তমানে সাঁকো নির্মাণ করায় গাড়ি দিয়ে চলাচল করা যায়।
এ ব্যাপারে গয়টাপাড়া বি?জি?বি ক্যা?ম্পের ক্যাম্প কমান্ডার না?য়েব সু?বেদার এ বি সি?দ্দিক জানান, জনসেবামূলক কাজের অংশ হিসেবে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।