হালদার খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
এম. রমজান আলী, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে : দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর শাখা খাল নয়নজুড়ী খাল। খালটির অবস্থান চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের দক্ষিণ পাশ ঘেঁষে। নোয়াপাড়া কলেজ এলাকা থেকে শুরু হওয়া এ খালটি মিশেছে মদুনাঘাট সেতু-সংলগ্ন হালদা নদীর সঙ্গে।
খালের দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন। কাপ্তাই সড়কের পাশের অংশে খালের পাড় দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দোকান।
সরেজমিন দেখা যায়, নয়নজুড়ী খালের দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন। কাপ্তাই সড়কের পাশের অংশে খালের পাড় দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দোকান। খালের দক্ষিণ অংশেও গড়ে উঠেছে বেশকিছু বহুতল ভবন। বইজ্যাখালী গেট-সংলগ্ন এলাকায় নয়নজুড়ী খালের দক্ষিণ পাড়ে সাইফুদ্দিন গড়ে তুলেছেন এসএ টাওয়ার নামে বহুতল ভবন। এসএ টাওয়ার নির্মাণে প্রায় ৭০ ফুট খাল ভরাট করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এতে খালের পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সাইফুদ্দিনের অবৈধ দখলের বিষয়টি নজরে এসেছে স্থানীয় প্রশাসনের।
অভিযোগ রয়েছে, উরকিরচর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে হালদা নদীর শাখা খাল অবৈধভাবে দখলে নিয়ে ভরাট করেছেন সাইফুদ্দিনসহ আরো কয়েক ব্যক্তি। সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে অবৈধভাবে দখলপূর্বক খাল ভরাট করে ভবন নির্মাণের সত্যতা পেয়েছেন বলে জানান রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিদুয়ানুল ইসলাম। তিনি বলেন, নয়নজুরী খালটির প্রশস্ত কোথাও ১০০ ফুট, আবার কোথাও ৭০ ফুট। প্রভাবশালীদের দখলের কারণে খালটির কোনো কোনো অংশ ১০-২০ ফুটে ঠেকেছে। তিনি আরো বলেন, খাল দখল করে কিছু লোক যে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন সেটার সত্যতা পেয়েছি। অচিরে অবৈধ দখলকৃত খালটি সংস্কার ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হবে।
অবৈধভাবে দখলপূর্বক খাল ভরাট করে ভবন নির্মাণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুর জব্বার সোহেল।