ঠাকুরগাঁও
সাবেক ২ এমপিসহ ৯১ জনের নামে মামলা
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : গত ৫ আগস্ট সদর উপজেলার ছিট চিলারং এলাকায় দুর্বৃত্তদের আগুনে মো. আবু রায়হানসহ ৪ জন নিহতের ঘটনায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত মো. আবু রায়হানের পিতা মো. ফজলে আলম ওরফে রাসেদ বাদী হয়ে গতকাল সোমবার ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলাটি করেন।
মামলায় ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) রমেশ চন্দ্র সেন ও ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটোসহ ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। বিচারক নিত্যানন্দ সরকার মামলাটি ঠাকুরগাঁও সদর থানাকে এজাহারভুক্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মো. আবু রায়হানসহ নিহত ৪ জন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল। আসামিরা ওই ৪ জনকে আন্দোলন থেকে সরে যেতে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। তবে তাতে কাজ না হলে তাদের আর্থিক প্রস্তবও দেয়া হয়। এতে ওই চারজন রাজি না হলে আসামিরা কৌশলে ছাত্র আন্দোলনের আলোচনার কথা বলে ৯ নম্বর আসামি পৌর কাউন্সিলর একরামোদ্দৌলা সাহেবের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে মো. আবু রায়হান, মো. রাকিবুল হাসান (রকি), মো. আল মামুন (মামুন) ও শাওন পারভেজকে ঘরের ভেতরে কথা বলার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে আগে থেকেই মামলার ১-১৪ নম্বর এবং ১৫-৯১ নম্বর আসামিরা উপস্থিত ছিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পরে ওই চারজনকে ঘরে আটকে রেখে আসামিরা বাহিরে বের হয়ে যান। ঘরের ভেতর আগ থেকেই গ্যাস সিলিন্ডারের মুখ খুলে বাহিরে থেকে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। আগুনে দগ্ধদের চিৎকারে আশপাশের মানুষ এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আবু রায়হানকে ঢাকায় রেফার্ড করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ আগস্ট তার মৃত্যু হয়। আল মামুন (মামুন) ঢাকা নেয়ার পথে মারা যায়। এছাড়া বাকি দুজনের মৃত্যু হয়।